বাস থেকে নেমে প্যান্টের পেছনের পকেটে হাত দিয়েই টের পেল, নেই।
থাকার কথাও না। চিড়ে চ্যাপটা ভিড়ে জনসমক্ষে মানিব্যাগ খুলে ভাড়া দিয়েছে। ভাড়া মেটানোর পরপরই গেছে বোধহয়। মানিব্যাগে পাঁচশো টাকার আটটা নোট ছিল, কিছু খুচরো দশ-বিশ-পঞ্চাশ টাকার নোট, কিছু টুকরো মলিন কাগজ, লন্ড্রির স্লিপ, কয়টা আধময়লা ভিজিটিং কার্ড এবং সিনে ম্যাগাজিন থেকে কেটে রাখা মডেল জয়ার ছবি।
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
(আগের পর্বগুলোর লিংক এখানে পাবেন )
------------------------------------------------------------------------------------------------------
বাবুরাম সাপুড়ে
কোথা যাস বাপুরে।।
একটা চিঠি লিখতে ভীষণ ইচ্ছে করে।
আট প্রহরের কান্না-হাসির শব্দে সুরে,
কাঠপাথুরে শহরতলীর বৃষ্টি,রোদে,ধোঁয়ায়,ধুলোয়,
সাদায়-কালোয়,
আলোয় কিংবা অন্ধকারে ...
একটা চিঠি লিখতে ভীষণ ইচ্ছে করে।
সেই চিঠিটা পৌছে যাবে তোর জানালায় -
যখন আমার ধূসর আকাশ লাটাই বিহীন একটা সাদা ঘুড়ির শোকে নীল হয়ে যায়,
যখন আমার পাতার মত সবুজ বুকে কয়েক বিন্দু আষাঢ়-শ্রাবণ,
যখন আমার একটা দু'টো বিষণ্ণতার আলতো কাঁপন -
আগের পর্বগুলো পড়তে এখানে ক্লিক করুন
পর্ব ৬
সুজনদাকে অফিসেই পাওয়া গেল। একটা লেখা সম্পাদনা করছেন। তরুণ শিশু সাহিত্যিক এই ভদ্রলোকটি অর্ণবের অত্যন্ত প্রিয়পাত্র। বাংলা ছন্দের ওপর তাঁর রয়েছে অসাধারণ দখল। অর্ণব তাঁকে জোর করেই বাইরে নিয়ে এলো। একটি কাজে সুজনদার জরুরী সাহায্য লাগবে। ওঁর অফিস থেকে বাংলা একাডেমি মাত্র ক মিনিটের পথ।
সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হওয়ার আগে বাংলাদেশ বহির্বিশ্বে ইন্টারনেটে যুক্ত হওয়ার জন্য ভিস্যাটের উপর নির্ভর করত। ভিস্যাটের মাধ্যমে তথ্য আদানপ্রদান অনেক ধীরগতির এবং অনির্ভরযোগ্য। তাই প্রয়োজন ছিলো দ্রুততর ফিজিক্যাল মাধ্যমে বহির্বিশ্বে যুক্ত হওয়া। অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে তথ্য আদানপ্রদান অবিশ্বাস্য রকমের দ্রুতগতির, তাই একটা বহুজাতিক কনসোর্টিয়াম গঠন করে সমুদ্রের নীচ দিয়ে বয়ে যাওয়া অপটিক্যাল ফাইবারের সংয
মাঠের মধ্যে চৌকোনা একটা বড় জায়গায় খানিকটা মাটি তুলে ফেলে সাদা বালি দিয়ে ভরাট করা, সেই বালিটুকুর একটু আগে চুন দিয়ে একটা সাদা মোটা দাগ দিলেন সুচরিতাদি, উনি ছিলেন আমাদের স্পোর্টসের দিদিমণি। বললেন, ঐ দূর থেকে দৌড়ে এসে এই দাগের আগে থেকে লাফ দিয়ে উঠে উড়ে গিয়ে পড়তে হবে ঐ বালিতে।
ধর্মপ্রচার নয়, বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে যৎসামান্য জানার প্রচেষ্টা মাত্র।
ধর্মসার- (১) লাও-ৎসু ও 'তাও'
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/42052
ধর্মসার- (১) লাও-ৎসু ও 'তাও' এর বাকি অংশ
১.
আমার সবচেয়ে প্রিয় গল্পটির নাম আত্মজা ও একটি করবী গাছ। প্রিয় গল্পকার হাসান আজিজুল হক। এই রকম গল্প একদিনে লেখা যায় না। একা লেখা যায় না। বংশপরম্পরায় লিখতে হয়। একটি জনপদের সবাই মিলেই লেখেন।
আগের পর্ব
পর্ব ৫
দূর থেকেই অর্ণব দেখল রহিম কাকা বারান্দায় উন্মুখ হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন! বাড়িতে রহিম কাকা আর ও ছাড়া আপাততঃ কেউ নেই। এই লোকটা সেই ছোট বেলা থেকে অর্ণবকে আগলে রেখেছেন। কখন থেকে তিনি এ বাড়িতে অর্ণব ঠিক বলতে পারবে না। কিন্তু হুঁশ হবার পর থেকে রহিম কাকাকে তার সাথী হিসেবে পেয়ে এসেছে ও। তাই অর্ণবকে সবার চেয়ে তিনি বোঝেনও বেশি। বাবা-মা তাকে কখনোই রাত-বিরেতে বাইরে থাকতে দিতেন না! রহিম কাকাও চাননি তবে অর্ণব তাকে ম্যানেজ করে ফেলেছে ঠিক। ‘কাউকে না জানিয়ে সারারাত বাড়ির বাইরে থাকা কি ভালো?’ একটা কাকুতি যেন ঝরে পড়ল রহিম কাকার কন্ঠ থেকে। উত্তরে মিষ্টি করে একটু হাসল ও শুধু। অর্ণব জানে এই হাসির বদৌলতে সাত খুনও মাফ হয়ে যেতে পারে!
আমাদের সেই উমনো ঝুমনো ছেলেবেলায় শীত আসত রাজার মত|