[i]ছুটে যাওয়া জানালার কাচে ঝাঁপিয়ে নেমে আসে তুমুল বৃষ্টির ঝরোখা। ভিতরের ঠান্ডা নিঝুম অন্ধকারে কুন্ডলী পাকিয়ে বসে চেয়ে থাকি ঐ ছুটন্ত চৌকো টুকরোটুকুর দিকে। বাইরের বৃষ্টিঝরোখা পার হয়ে দেখতে চেষ্টা করি পরপারে আছে কী বিস্ময়। জানালার কাচ বেয়ে গড়িয়ে যাওয়া বৃষ্টিধারার তরঙ্গিত লাবণ্য আমার চোখ টেনে রাখে, বাইরে সাদা হয়ে লেপেপুঁছে গেছে সবকিছু, মাটি থেকে আকাশ অবধি একটা সাদা পর্দা। ও পর্দা পার হবো কী করে?
দরজা খুলে অর্ণব অবাক হয়ে গেল। লম্বা, একহারা গড়নের একজন ভদ্রমহিলা দাঁড়িয়ে। অর্ণব তাঁকে কখনো
দেখেছে কি না মনে করার চেষ্টা করল। নাহ্ মনে করতে পারছে না। তাছাড়া ওঁর চেহারাও অর্ণবকে দারুণ ধাঁধায় ফেলে দিল। ভদ্রমহিলা বিদেশী! পাশ্চাত্যের অঙ্গে তাঁর প্রাচ্যের শাড়ী! অর্ণব অভিভূত হয়ে দেখতে লাগল।
শেষ রাতের ট্রেনটিতেই ঠিক ফিরবো আমি।
কোন অপেক্ষায় থেকোনা। অপেক্ষার প্রহরের
রিক্ততা আমি ভালভাবেই জানি। আমন্ত্রনটি
ছিল বসন্তের কাঠবিড়ালিটার।তার সখ্যতায়
ঝাড় লেজ, অভ্যর্থনার বাধায় শুধু শীতটি।
কলেজে থাকতে যে বিষয়গুলো আমাদের বেশি কষ্ট দিত তার মধ্যে একটা ছিল ‘প্র্যাক্টিকাল ক্লাস’। পদার্থবিদ্যা, রসায়ন আর জীববিদ্যার ভয়াবহ তিনটি ল্যাব আমাদের দিকে তাকিয়ে দাঁত বের করে হাসতো। সবচেয়ে অসহ্য ছিল জীববিদ্যা; বায়োলজি ল্যাব ক্লাস। গাছের শিকড়-বাকড় থেকে শুরু করে কেঁচো, ব্যাং, তেলাপোকার মত জঘন্য জিনিস কাটাকুটি করতে হত। আর এর জন্য প্রত্যেকের কাছে ‘ডিসেকশন কিট’ থাকা ছিল বাধ্যতামূলক। এর মধ্যে থাকতো
পাশ করেছি। পাশ করেছি।
এনাটমি, বায়োকেমিস্ট্রি নিয়ে ভয় ছিল না। ভয় ছিল ফিজিওলজি নিয়ে। শুধু ভয় না, খুবই ভয়। এক্সটার্নাল ছিলেন প্রফেসর মহিদুর রহমান, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ এর এক্স ইন্টার্নাল। স্টুডেন্ট মহলে তিনি তুমুল জনপ্রিয়। কারন, প্রফেশনাল বা পেশাগত পরীক্ষায় উনি প্রায় কিছু জিজ্ঞেস না করেই পাশ করিয়ে দেন।
ঠিক কবে থেকে যে চশমা পরি তা নিজেও অনেক চেষ্ঠা করে মনে করতে পারলাম না। ট্যানলাইনের মতন, আমারও নাকের উপরে চশমা তার ছাপ রেখে গেছে। বললে তো হাসবেন, কিন্তু মাঝে মাঝে চশমাতেও চুলকাতো। ভালোই ছিলাম, কিন্তু বিপত্তি ঘটালেন আমার উনি, শুভ। ল্যাসিক করলে বলে আর চশমা পড়া লাগবেনা, এই নিয়ে ঘ্যান ঘ্যান করে মাথা খারাপ করে দেওয়ার জোগাড়। আরে ব্যাটা বিয়ের আগে
সালেক খোকন
যে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কিংবা কোন অঙ্গ হারিয়েছেন, এমন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে যুদ্ধকালীন ঘটনার বর্ণনা রেকর্ডের কাজ করছি। ইতিমধ্যে দিনাজপুর ও ঢাকায় কাজ শুরু করেছি। কাজটি একেবারেই নিজ উদ্যোগে করার চেষ্টা করছি। ঢাকাতে বা ঢাকার বাহিরে কিংবা দেশের বাহিরে থাকেন আপনার জানামতে, এমন পরিচিত মুক্তিযোদ্ধা থাকলে অনুগ্রহ করে তাঁর নাম, ঠিকানা ও ফোন নং পাঠিয়ে সহযোগিতা করলে কাজটি শেষ করা সহজ হবে।
[justify]দুটো মানুষ এগিয়ে আসছে লালীর দিকে। একজনের হাতে একটা মোটা রশি, হরকা দেয়া। গোল ফাঁদটা দুটো পায়ে আটকে দিলেই মাটিতে পড়ে যাবে লালী। তারপর.........। আর ভাবতে পরেনা সে। মনের সমস্ত বিষাদ ঘৃনা হয়ে যায় মুহুর্তে। মানুষের প্রতি ঘৃনা। হঠাৎ গায়ে একটা প্রচন্ড শক্তি ঝাঁকুনি দিয়ে ওঠে তার। এরপর ছিঁড়ে যায় লালীকে বেঁধে রাখা দড়িটা। লালী দৌড়ায়। দৌড়াতে থাকে। তার পিছু পিছু ছুটতে থাকে কতগুলো মানুষ। এ
হাঁটছিলাম। কিংস ক্রস থেকে টাউন হল। প্রতি উইক এন্ডেই এমন হয়। কাজ শেষ হতে হতে বেশ দেরি হয়ে যায়। ট্রেন থাকে না। হেঁটে টাউন হলে গিয়ে নাইট রাইডার বাসে চড়তে হয়। ট্যাক্সিতে অবশ্য যাওয়া যায়। তবে সামন্য এই পথটুকুর জন্য বিশ ডলার খরচ করতে মন চায় না।
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
জমিদারির খোঁজে--------------------
কলিমখানের : জন্মসূত্র--হত্যাসূত্র-------------------------------------
বঙ্গীয় শব্দার্থ কোষে ৩৮৯ পৃষ্ঠায় কলিম খান রবি চক্রবর্তী লিখেছেন : জমি--(জমিদার, জমী, জমীন, জমীনদান)