প্রথম পর্বের শেষ দিয়েই, দ্বিতীয় পর্বের শুরু...
৬টা বাজে। এত তাড়াতাড়ি বাসায় যাব? জীবন কত দ্রুত পাল্টে যায়। কিছুদিন আগেও অফিস থেকে এত তাড়াতাড়ি বের হতে পারলে ক্যাম্পাস-এ চলে যেতাম। আইবিএ অথবা বিজনেস ফ্যাকাল্টি’র বারান্দায় রাত পর্যন্ত চলত আড্ডা আর ইন্টারন্যাশনাল ব্রীজ। প্রেমে আর সাহিত্য চর্চার মত আড্ডা আর তাস খেলাটাও বোধহয় যৌবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
বেশকিছুদিন আগে কোনো এক বিকেল বেলা হলের মাঠে বসে বন্ধু কায়েসের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম। ওর সাথে আড্ডা মানেই সাহিত্য, গণিত, বিতর্ক আর বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠা। কেননা, এইসব বিষয়ে আপ-টু-ডেট থাকার ব্যাপারে আমার বড় একটা উৎসই হচ্ছে ও। ভার্সিটির ক্লাস, সেশনাল আর এক্সামের এতো এতো ব্যস্ততার মধ্যেও ও যে কীভাবে এইসব কো-কারিকুলাম এক্টিভিটিজের জন্য সময় বের করে, সেটা আমার কাছে একটা রহস্যই। প্রথমআলো বন্ধুসভা, গণি
শুরুতেই বলে নেই, আমি লেখাটা শুরু করেছিলাম তাসনীম ভাইয়ের শিশুপালন-১২ এর একটা প্রতিমন্তব্য করতে গিয়ে। দৈর্ঘ্য বড় হয়ে যাচ্ছে দেখে মনে হল, পোস্ট দিয়ে দেই, দেখা যাক আলোর মুখ দেখে কিনা। হলে তো উদ্বোধন করেই ফেললাম।
১। নী
গোল জানালাটির সামনে এসে দাঁড়ায় নী। আস্তে আস্তে হাত বাড়িয়ে ছোঁয় নীল বোতামটাকে। এখন সে হাত পায়। কয়েকমাস আগেও অত উঁচুতে হাত যেতোনা নী'র। তখন ওর সঙ্গে ওরাককে আসতে হতো। কিন্তু নী'র ভালো লাগতো না, কেমন যেন মনে হতো একা আসতে পারলেই ভালো হতো।
কম্পিউটার ঝামেলা করলে যেমন রাইট বাটন ক্লিক করে রিফ্রেশ চাপ দেই, আর তাতেই এই যন্ত্র মহাশয় নতুন উৎসাহে কাজ শুরু করে, আমার জীবনের সেই রিফ্রেশ বাটনের কাজটা পালন করে রন্টু। কেউ আবার ভাববেন না এটা তার আসল নাম। এই নামটা ছাড়া তার আরও সাত আটটা সুন্দর সুন্দর নাম আছে। একেকটা একেকজনের দেয়া। শান, সৌরভ, সৌমেন ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু শেষ মেষ রন্টু নামটাই টিকে গেল, বাকিগুলো সব বাদের খাতায়।
মন খারাপ নাকি মেজাজ খারাপ ঠিক বুঝতে পারছিনা। তবে এতটুকু বুঝতে পারছি যে, অফিসে ভাল লাগছেনা। মাত্র দু’সপ্তাহ হল আমি একটা লম্বা ছুটি কাটিয়ে ফিরেছি। এরই মধ্যে বেজায় ক্লান্তি জেঁকে বসেছে। গত কদিন ধরে চিত্তে উচাটন, বালুর মাঠ - কাশ বন ছাড়িয়ে ছুটেই চলেছে কল্পনাপ্রসূত মন। “ইচ্ছে করে যাই চলে যাই অনেক দূর...”।
সেই মেয়েটার চোখের তারার ঝলকে,
মন ছেলেটার কি উচাটন পলকে,
পথ হারালো তার গুচ্ছ অলকে।
স্বর্গ বুঝি আসলো নেমে ভূলোকে!
কি মনোরম রাঙালো দিনগুলোকে,
রাখলো তারে অসাধারণ পুলকে।
নরওয়ে-০১
তারেক মাহমুদ
[justify]
জীবনের সাথে মেগাসিরিয়ালের অনেক মিল আছে। প্রথম মিলটা হচ্ছে দৈর্ঘ্যে। দুটোই বিরক্তিকরভাবে লম্বা, প্রায় সারাজীবন ধরেই চলে। দ্বিতীয় মিলটা হচ্ছে দুটোই মোটামুটিভাবে বোরিং। এভাবে খুঁজলে আরও অনেক মিল পাওয়া যায় কিন্তু সবচেয়ে বড় অমিলটা হচ্ছে সিরিয়ালগুলোর কাহিনিতে গিঁট লেগে যাওয়ার পরে হাতে নিদেনপক্ষে সাতদিন সময় পাওয়া যায়। অর্থাৎ নায়িকার অন্য ছেলের সাথে বিয়ে হয়ে যাবে, ঢং ঢং শব্দের সাথে নায়কের মুখের ক্লোজ-আপ দেখিয়ে ওই পর্বটা ওখানেই শেষ করা যায়। জীবনে সেই সব সুযোগ নেই – যেটা করার সেটা প্রায় তড়িঘড়ি করেই করতে হয়।
তুমি কিংবা তোমাকে লেখার চাইতে বরং এইসব কথা - নিজস্ব কথোপকথন নিজস্বতার সাথে। নিজস্বতায় নিজেকে মেলানোর চাইতে বরং তুমি নিজস্ব দূরত্বে থেকে দেখো - আমাদের অনন্যতর নিজস্বতা অনন্য কোন অভিন্নতা খুঁজে পেলো কিনা ----