এক/
বুবুর ফ্রকটার রং ছিল লাল আর আমারটা নীল। জামাদুটো মা নিজ হাতেই সেলাই করেছিলেন। ওটা পরলে বাবা ডাকতেন ‘লাল পরি-নীল পরি’। ভেলভেটের ফ্রকটার ঘের এতোটাই ছিল যে দুই পাক ঘুরে ফুলিয়ে টুপ করে বসে পড়লে গোল তাবুর মধ্যে শুধু মাথাটাই দেখা দিত। যে বয়সে প্রিয় শব্দটার অর্থ ঠিকঠাক বুঝে ওঠার কথা নয়, সে বয়সে ঐ নীল জামাটা ছিল আমার সবচেয়ে “পিয়”। মনে পড়ে ওই নীল জামাটা পরেই প্রথমবারের মত স্কুলে পা রেখেছিলাম ভর্তি হবার জন্য।
আর স্কুল ড্রেসটার রং ও নীল। আকাশী নীল।
[justify]
মামাকে আমি খুব বেশি দিন পাইনি আমার অন্য বোনেদের মত। আমি যখন ক্লাস থ্রি কি ফোরে পড়ি, উনি তখন সরকারী চাকুরী নিয়ে বরিশালের গৌরনদী চলে যান। মাসে একবার কি দুবার ঢাকায় আসতেন, সাথে থাকতো ওখানকার বিখ্যাত মহিষের দুধের দই। মামার আগমনের এই একটাই ভালো দিক ছিল। চাকুরীতে যোগদানের আগের দিন পর্যন্ত আমাদের ব্যাপক জ্বালিয়েছেন মামাজান। বোনের ছেলেমেয়েদের সার্বিক দায়িত্বে থাকা উনি ছিলেন প্রচন্ড রকমের রুটিন-প্রিয় মানুষ।
“কোন দেশকে ভালো বুঝতে হলে অবশ্যই তার রাজধানীতে যেতে হবে” এই রকম কোন কথা কোন মনিষী বলে গেছেন কিনা জানি না, তবে আমরা ঠিক করলাম পরের গন্তব্য রাজধানীই হতে হবে। তাই বোস্টন থেকে নিউ ইয়র্ক ফিরে রাতের মাঝেই রওয়ানা দিলাম ডিসির উদ্দেশ্যে, বাহন যথারীতি মেগা বাস।
সকালে জগিং করতে বের হই আজ রোজকার মত। হাতের ব্যান্ডে আইফোন। পডকাস্ট শুনতে শুনতে এক ঘন্টা, দৌড়াই বা জোরে হাঁটি। সাথে একটা নোকিয়ার ফোন থাকে যেটা ওয়াই-ফাই হটস্পট হয়ে আমার আইপড টাচকে ইন্টারনেট কানেকশন দেয়। সবকিছুই ঠিক ছিল, কিন্তু হঠাৎ করে আইপড বন্ধ হয়ে গেল। আইপড বন্ধ হয়ে যাওয়ার একটু আগে যে পডকাস্টটিতে আগের রাতে ডাউনলোড হওয়া সংবাদ এপিসোড শুনছিলাম তাহল, স্টিভ জবস নেই। আই-গোত্রীয় হার্ডওয়্যার এবং সাথে সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যারের জনক তিনি, এর আগে ম্যাকিন্টস বিপ্লব ইত্যাদির নির্মাতা তিনি। আইপডটা বেশ কয়বার অন করার চেষ্টা চালালাম। একি! আইপডটা ভিজে উঠছে কেন! রুমাল দিয়ে মুছে নিচ্ছি, তাও বার বার ভিজে যাচ্ছে। আর অনতো হচ্ছেই না।
আইপড, আইফোন, আইপ্যাডের সেদিন ছিল শোক দিবস। তাদের জনক স্টিভ জবস দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন। তাই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা আজ কোন কাজ করবে না। প্রতিটি ডিভাইসই ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হওয়ায় তারা একত্রে এই সিদ্ধান্তটি নিতে পেরেছে।
(উৎসর্গ : সুজন চৌধুরী)
১..............................................................................................................................................
(১) "সম্ভাবনা"
স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হবার পর গ্রামে বেড়াতে যাবার রেওয়াজটা আজকাল উঠে গেছে কিনা জানি না। আমাদের সময় ওটাই ছিল বছরের সেরা রিক্রিয়েশান। প্রাইমারী পেরিয়ে হাইস্কুলে ওঠার পর গ্রামে গেলে মজা করা হতো খুব। শহরে আমার ভাবগুরু ছিল বড় মামার ছেলে তমাল। ক্লাসে আমার এক বছরের বড় হলেও গ্রামে গেলে আমরা বন্ধু। বড় মামা শহরে থাকতেন, মেঝমামা গ্রামে।
কোলাবোরেটিভ লার্নিং ই-বুক - "শিখবা নাকি ক্যামেরাবাজী?" যাত্রা শুরু করেছিলো মুর্শেদ ভাইয়ের উদ্যোগে এবং পরে তাতে শামিল হয়েছিলেন প্রকৃতিপ্রেমিক-ও, সেই সাথে শোমচৌ-এর কারসাজির ক্যামেরাবাজি সিরিজ মিলিয়ে সচলায়তনের ক্যামেরাবাজি ইস্কুল বেশ ভালোই চলছিলো। আলোচনা হয়েছে অ্যাপারচার বা আলোকছিদ্র, পর্দাগতি বা শাটারস্পীড, সংবেদনশীলতা বা ISO, উন্মুক্ততা বা এক্সপোজার, ফোকাল লেংথ, HDR ছবি, বাবুর ছবি, বোকে/বোকেহ (Bokeh) এর মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে। কিন্তু সময়ের সাথে ইস্কুলের ক্লাস অনিময়িত হয়ে যাওয়ায় চিন্তা করলাম সিরিজটাকে নিজের স্বার্থেই পুনরুজ্জীবিত করা প্রয়োজন। এরই মাঝে সচলে অনেক প্রতিভাবান ফটোগ্রাফারের সমাবেশ হওয়ায় আমার চেষ্টা থাকবে আলোচনার সূত্রপাত করা, বাকী আলোচনা এগিয়ে নেওয়া এবং আমাকে শেখানোর কাজ আপনাদের সবার ।
[ এই লেখাটার পেছনের উদ্দেশ্যটা বলছি, বেশ কিছুদিন আগে খুবই কাছের একজন আস্তিক বন্ধুর সাথে কিছু বিষয়ে কথা বলার সময় ধীরে ধীরে কথার প্রসঙ্গ বিবর্তনবাদের দিকে গড়ায়, স্বাভাবিক ভাবেই কৌতূহলী বন্ধুটি কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে, তখন তার কিছু সহজ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে দেখলাম, খুব সহজ ভাষায় ব্যাপারগুলো বর্ণনা করতে পারছিনা, বিবর্তন নিয়ে পড়ার পরেও সহজ ভাবে সেটি সেদিন বন্ধুকে বোঝাতে ব্যার্থ হয়েছিলাম, তারপর থেকেই