একটি প্রতিমন্তব্যে আশালতা জানিয়েছিলেন, " জীবনের গল্পে আবার ধনী-গরিব কিসের ? " আর তারেক অনু লিখেছিলেন, " সাদামাটা অনেক অনেক ঘটনায় মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখবেন, দেখবেন কেমন রত্নরাজি হয়ে ওঠে সেগুলো।"
সাহিত্য রচনা বরাবরই আমার আয়ত্বের বাইরে ছিলো, আছে এবং থাকবে। হাসান মামুনের "এলান কোয়াটারমেইন ও আয়েশা" পোস্টে অনুবাদ, পরিভাষা হেন তেন নিয়ে বিরাট পণ্ডিতি দেখানোর পর মনে হলো, উনি তো তাও সাহস করেছেন একটা উপন্যাসের অনুবাদ শুরু করার। আর আমি শুধুই বুলি কপচাচ্ছি, কখনো তো এক লাইন লিখেও দেখলাম না। কি আছে জীবনে, আমিও শুরু করে দিলাম। ভুল অবশ্যই অজস্র আছে। আপনাদের চাঁছাছোলা মন্তব্য আশা করছি। ক্রমশঃ শুধরে নেব।
--------মধ্য প্রজন্ম
হালকা হালকা বাতাসে শুভ্র সাদা কাশফুলগুলো দুলছে, আকাশেও সাদা সাদা মেঘ, বছরের এই সময়টা খুব ভালো লাগে হৈমন্তীর| মাটিতে শুয়ে আনমনে কি সুন্দর আকাশটা দেখা যায়, কখনো কখনো মেঘ দিয়ে কি সুন্দর হাতি-ঘোড়া, আরও কতকিছু যে তৈরী হয়ে যায়, সবাই কি তা বোঝে? যখন বিলের ধারে ঘুরঘুর করে তখন হঠাৎ কখনো একটা সাদা বক সাই করে উড়ে যায় মাথার উপর দিয়ে, আর ঠিক বিলের মাঝখানটায় টুক করে বসে খপ করে একটা মাছ ধরে নেয়| কত মজার মজার জিনিস দেখা যায় নদীর কাছের জঙ্গলটায়, যে না গেছে সে কি করে জানবে? একটা বড় গাছ অনেক দিন হলো ভেঙ্গে গেছে, অর্ধেকটা পাড় এর জল ছুইছুই, সেটার উপর বসে একলা একলা পা দোলাতে ভালই লাগে| হৈমন্তীর এই ভালো লাগা গুলো ওর মা বুঝলে তো|
দু'বছর আগে কাপ্তাই বেড়াতে যেয়ে কিছু ছবি তুলেছিলাম কাপ্তাই লেকে ও তার আশপাশে। ছবি অতিনিম্ন মানের হয়েছে। কিন্তু দেশের কথা যখন খুব মনে হয় তখন ছবিগুলো দেখি আর ভাবি একদিন আমি আবারও...
১।
অনিয়ন্ত্রিত মুদ্রাস্ফীতি যেকোন অর্থনীতির জন্যই ভয়ানক একটি ব্যাপার। আর এই ব্যাপারটি যদি ঘটে থাকে বাংলাদেশের মত একটি স্বল্পোন্নত দেশের অর্থনীতিতে তাহলেতো কথাই নেই। বাংলাদেশের বিগত সরকারগুলোর মত বর্তমান সরকার ও মুদ্রাস্ফীতি রোধে ও নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। শুধু তাই নয়......বর্তমান সরকারের গৃহীত কিছু পদক্ষেপ আগুনে ঘি ঢেলে দেওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
মুরুগাপ্পা স্ট্রিট
ছবিটার নাম দেখে বোঝার উপায় নেই যে এই ছবিটা চট্টগ্রামের সেই বিদ্রোহের ঘটনা নিয়ে যার মহানায়ক সূর্যসেন। এত বছরেও বাংলাদেশ পারেনি সূর্যসেনকে নিয়ে একটা যুতসই ছবি তৈরী করতে, বোম্বে অন্ততঃ বাংলাকে সম্মান দেখিয়েছে ছবিটা তৈরী করে। সেই ভেবে মনে মনে পরিচালক Ashutosh Gowariker এর উপর কৃতজ্ঞতাবোধ নিয়ে ছবিটা দেখতে শুরু করি। কিন্তু ছবি যতই এগোতে থাকে কৃতজ্ঞতাবোধ কমতে থাকে আর মুখের ভেতর জমতে থাকে বিবমিষা তরল। মাঝ
-"ভালো হলে সেরে যাবে.."
-"কি ভালো হলে কি সারবে???"
অবশেষে কবিতার ছন্দ ও মিল নিয়ে লিখতে বসলাম। শুরুতেই অকপটে বলতে চাই, এ বিষয়ে লিখবার জন্যে যে ন্যুনতম জ্ঞান থাকা প্রয়োজন তার চিলতেটুকুও আমার নেই। আমি জানি এই সচলায়তনেই অনেক বাঘা বাঘা ছন্দ বিশারদ আছেন যাঁদের কাছে এই লেখা নিতান্তই কৈশোরসুলভ ঠেকবে। তবু লিখছি। কারণ দুটো। প্রথমটি হলো, পাঠক ও লিখিয়েদের মধ্যে যারা এ বিষয়ে আগ্রহী তাদের জন্য একটা দিলখোলা মিথস্ক্রিয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করা। আর দ্বিতীয়টি হলো, যাঁরা এ বিষয়ে সম্যক জ্ঞান রাখেন, অভিজ্ঞতার ঝুলিতে যাঁদের সঞ্চয় পর্যাপ্ত, তাদের কাছ থেকে নিজের ভুল-ভ্রান্তিগুলো শুধরে নেবার একটা সুযোগ তো পাওয়া যাবে। তাই শুরুতেই সবার কাছ থেকে অভয় ও সহযোগিতা চেয়ে নিয়ে শুরু করছি।
আমি যখন পণ্ডিতমশাই…(১)
আমি যখন পণ্ডিতমশাই…(২)
আমি যখন পণ্ডিতমশাই…(৩)
ছোটোবেলা থেকেই জেনে এসেছি স্টুডেন্ট মানে হলো শিক্ষার্থী বা ছাত্র-ছাত্রী। কিন্তু ভার্সিটিতে এসে আমার এই আটপৌরে ধারণা অচল বলে প্রতীয়মান হলো। বিশেষতঃ হলে উঠার পর প্রকৃষ্টরূপে জ্ঞাত হলাম যে, স্টুডেন্ট মানে ছাত্র-ছাত্রী নয়, স্টুডেন্ট মানে হলো শুধুই ছাত্রী। একজন ছাত্র হিসেবে তাৎক্ষণিকভাবে আমি এই স্টুডেন্টশীপ হারানোর ঘটনায় তীব্র মনঃক্ষুন্ন হলেও শেষ পর্যন্ত মেনে নিতে বাধ্য হলাম। তাছাড়া এ ঘটনার প্রতিবাদে বুয়েটের ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত বিক্ষোভ-সমাবেশ, অনশন-ধর্মঘট কিংবা মানববন্ধনের ন্যায় কোনোপ্রকার বলিষ্ট কর্মসূচী নেয়া হয়েছিলো বলে শোনা যায় না।