এর আগে আমার কিছু লেখায় আমি দেখানোর চেষ্টা করেছি আমরা কেন 'সচেতন চিন্তা' বা 'কনশাস থট' করতে চাই না। এটা কষ্টকর কাজ। আমাদের চিন্তার জ্বালানি আবার দৈহিক, আর আমাদের মস্তিষ্ক খুবই রিসোর্স-হাংরি একখান জিনিস। অফিসে কাজ করতে গিয়ে আমি নিজে পরিষ্কার টের পাই যে জটিল চিন্তার ক্যাপাসিটি দিন যেতে যেতে কমতে থাকে। এগুলো এড়ানোর উপায় নেই তা না; অনেক বড় একটি উপায় হল রিচুয়ালাইজ করে ফেলা, বা 'ক্রীড়া' হিসেবে নেয়া। পল গ
“মানুষ কীভাবে এই শহরে যেত যিকালী?”
“আমার মনে হয় সমুদ্র পথে, মাকুমাজন। তবে আমার ধারনা তোমার ঐ পথে না যাওয়াই ভালো। সমুদ্র পাঁড়ের জলাপথ এখন পার করা অসম্ভব। তোমার পায়ে হেঁটে যাওয়াই তোমার পক্ষে নিরাপদ”
“যিকালী তুমি কেন আমাকে এই অভিযানে পাঠাতে চাও? আমি জানি তুমি উদ্দেশ্য ছাড়া কিছু কর না।”
এই বিষয়টি নিয়ে আমার বরাবরই খুব আগ্রহ ছিল। ব্যক্তিগতভাবে আমার মাথায় সারাক্ষণই এ নিয়ে যুদ্ধ চলতে থাকে, বেশ স্ট্রাগল করি, হয়তো তাই। সেদিন ড্যানিয়েল গিলবার্ট উপস্থাপিত পিবিএস ডকুমেন্টারি 'দিস ইমোশনাল লাইফ'-এ এ নিয়ে খুব ভাল একটা আলোচনা দেখলাম। তখনই ইচ্ছা করছিল এ নিয়ে লেখতে, কিন্তু নানা কারণেই লেখা হয়নি।
আমার টিউশনি জীবনের শুরুর দিকে একটা ক্লাস সিক্সের ছেলেকে গুলশান-২ এ গিয়ে পড়াতাম। সেইরকম অভিজাত এক পরিবার! দারোয়ান, কেয়ারটেকার সহ আরো কয়েকজনের কাছে জবাবদিহিতা এবং কয়েক জায়গায় সাক্ষরদান ছাড়াও গার্জিয়ান ফোনে কনফার্ম করার পরেই কেবলমাত্র বাসায় প্রবেশের অনুমতি মিলতো। যাই হোক, সবই সয়ে নিয়েছিলাম কারণ মাস শেষের প্রাপ্তিটা বেশ খুশি করার মতোই ছিলো। আর তাছাড়া আমার টিউশনির বাজারটাতেও তখন বেশ মন্দা যাচ্ছিল। তো, টিউশনির শুরুতে বলা হয়েছিলো যে, সপ্তাহে চারদিন(সাধারণত তিনদিনের বেশি পড়ানো হয় না। কিন্তু ঐ যে বললাম, বাজারে মন্দা চলছিলো।) সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত পড়াতে হবে। কিন্তু সৌভাগ্য কিংবা দুর্ভাগ্যজনক ভাবেই হোক, টিউশনির প্রথমদিন থেকেই আমার মহাব্যস্ত স্টুডেন্টের শিডিউল পাওয়াটা ‘লাম্বার ওয়ান ছাখিব কান’ এর শিডিউল পাওয়ার চেয়েও কঠিন কাজ হয়ে দেখা দিলো।
[justify]আজকের বিষণ্ণ সকালটা ঠিক যেন দেশের শীতকালের কুয়াশাভরা সকাল কিংবা ধূসর বিবর্ণ বিকালের মত, যখন ঘুম থেকে উঠে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ও ঠিক বুঝা যেতোনা যে সময়টা সকাল না বিকেল। এখানে শীতকাল নেই, সারাবছরই গরম আর বৃষ্টি। এখানে আসার পর তাই শীতের দিনের জন্য মনটা কেমন যেনো আইঢাই করে। তবে শীতের দিনে যে খুব ভালো থাকি তা ও না। সবসময়ই শীত আসলে আমার গলায় কিছু একটা গরম কাপড় পেঁচানো থাকতো। সেই কোন ছোটবেলা
সবকটা জানালা খুলে দাওনা .. ‘জানালা’ খুলে দেবার বিষয়টা আমাদের গদ্যে,পদ্যে বিভিন্নভাবে বলা হয়েছে, বলা হচ্ছে, আরো বলা হবে। কিন্তু এই শব্দগুলো একসাথে শুনলে যে গানের কথা আমাদের মনে পড়ে তার সাথে আমাদের নিরাকার বোধ জড়িত। এই জানলা খুলে দেয়ার সাথে একটা দেশের কতটা আবেগ জড়িত হয়ে যাবে তাকি জানতেন প্রয়াত নজরুল ইসলাম বাবু যখন তিনি অক্ষরে অক্ষরে গেঁথেছিলেন এই অবিনাশী গান; কতটা বুঝেছিলেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল যখন তিনি ভেতরের সবটুকু আবেগ নিয়ে জল ছাপিয়ে যাওয়া দু’চোখে প্রথমবার সুরে গেঁথেছেন, কিংবা সাবিনা ইয়াসমিন, তিনি যখন প্রথম তার কিন্নর কণ্ঠে গানটা তুলেছিলেন। আমাদের ভাগ্য ভালো এখনো এই গানটির ফিউশন করার চেষ্টা কেউ করেনি।
[justify]২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৬-৭ তারিখে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর বাংলাদেশ সফরকালে উভয় দেশের মধ্যে যে সব দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সীমান্ত চুক্তি। এই চুক্তিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১৬২টি ছিটমহল হস্তান্তরের কথা রয়েছে। আমরা জানি, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের ১০৪টি এবং ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ৯০টি ছিটমহল আছে। তাছাড়া ছিটের ভেতর ছিট বা চন্দ্রছিট আছে ভ
নিজের ছাত্রজীবন এখনো শেষ না হলেও যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমাকেও ছাত্র আর গুরুর দ্বৈতভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠার আগে বাড়ি থেকেই টাকা নিতাম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে ওঠার পরপরই নিজেকে বড় বড় মনে হতে লাগলো। ফলে বাবার কাছে টাকা চাইতে গিয়ে মনের বাধাটা এলো দু’ভাবে। একদিকে স্বাবলম্বী হওয়ার তথা নিজের পায়ে(কেউ কি অন্যের পায়ে হাঁটে নাকি!) দাঁড়ানোর উত্তুঙ্গ বাসনা আর অন্যদিকে মধ্যবিত্ত বাবার কষ্ট
আমার মেয়ে ‘তুংকা’ খুব ভালো স্কুলে ভর্তিপরিক্ষায় উতরে যাবার পর আমার আকাশ ছোঁয়ার আনন্দ হয়েছিলো। ভর্তির নিয়ম কানুন ইত্যাদি জানার জন্য স্কুলে যাবার পর মাথায় বাজ পড়লো। স্কুল শুরু এগারোটায়। সর্বনাশ ওকে স্কুলে নামাবে কে? আগের স্কুল ছিলো নয়টায়, মেয়েকে নামিয়ে সময়মতো অফিসে পৌঁছে যেতাম। তুংকার বাবার এক দূরের চাচাকে অনেক অনুনয় করে স্কুল শেষে বাসা পৌঁছে দেবার কাজটা গছিয়ে দেয়া গিয়েছিলো। বিনিময়ে যখন তখন গাড়িটা তাকে ব্যবহার করতে দিতে হতো।
মহান তুমি বস,
তোমার খুশি আমার খুশি
খাইও যদি ডস।
তুমি শিরোমণি,
তোমার কথা আমার কাছে
বাণী চিরন্তনী।
যদি ওঠো হেসে,
সেই খুশিতে অ্যাজমা রোগী
মরে হেসে-কেশে।
তুমি যদি বলো,
বিকেল বেলা সকাল হবে
সাদা হবে কালো।
ডাকো যদি ঘরে,
ভয়ে মরি, চাকরি তবে
বাঁচাই কেমন করে?
মেজাজ যদি চড়ে,
দেখবে তুমি অফিস সুদ্ধ