সেটা ছিল আমার পঞ্চম জন্মদিন, বড় চাচা আমার জন্য চারটা ছবি সহ রূপকথার বই কিনে আনলেন। ছুটির দুপুরে বারান্দায় বসে খুব কস্টে বানান করে করে বইগুলি পড়তাম। আমি ছিলাম বাবাদের ছয় ভাইদের যৌথ পরিবারের প্রথম সন্তান। দুপুরবেলা খাবার পর ছানাপোনাসহ আর সবাই যখন ঘুমাত, আমার কাজ ছিল আস্তে করে দরজা খুলে বাইরে চলে যাওয়া, না হলে রান্নাঘরের ভাতের হাঁড়ি থেকে ভাত নিয়ে কাঁক আর বিড়ালের মধ্যাহ্ন ভোজনের ব্যবস্থা করা
গোলাপ গোঁজা আম্মুজানের খোঁপায়
কন্যা দেখে বায়না ধরে, ফোঁপায়,
আমার কখন হচ্ছে অমন চুল?
গুঁজবো কবে রক্তজবার ফুল?
আব্বু যখন নেই থাকবেন বাড়ী,
পুত্র করে রেজর নাড়ানাড়ি,
আর ভাবে সে কখন হবে দাড়ি?
শেভটা করার বেজায় তাড়াতাড়ি!
জীবনের ছয় ছয়টা বছর যেখানে কাটালাম, তা নিজের বাড়ির মতই হয়ে গেছে। তাই রেনেসাঁর এই গানটাই মনে পড়ে গেল ছবিগুলো কম্পাইল করার সময়।
সচলায়তনের অনেকেই হয়তো চিটাগং ইউনিভার্সিটিতে যাননি। আইয়ূন আঁরার লয় চিটাগং ইউনিভার্সিটি গান এককানা ঘুড়ি জন……………।
আমি ভালোবাসি মেঘ. . .চলিষ্ণু মেঘ...ওই উঁচুতে...ওই উঁচুতে
আমি ভালোবাসি আশ্চর্য মেঘদল !
(অচেনা মানুষ/শার্ল বোদলেয়ার/অনুবাদ বুদ্ধদেব বসু)
[justify]
১.
[justify]
'বেলজিয়াম গ্লাস'
মেহগনি রঙ ফ্রেমের বাঁ ধারে খোদাই করে লেখা। আয়নাটা ঝুলছে পশ্চিমের দেয়ালে, অনেকগুলো বছর ধরে.. শাহানা এ বাড়িতে আসা অবধিই তো দেখছেন। দিন গড়িয়ে দেয়ালের রঙ বদলেছে, বদল এসেছে বাসিন্দাদের অবয়বে, আচরণে। নিরেট পাথরের মতো একই রকম রয়ে গেছে ঐ আয়না কেবল।
‘পিরানহা’ সম্বন্ধে অনেকেই হয়ত জানে, তবে বেশিরভাগ মানুষ হয়ত জানে না। কারন এটা আমাদের দেশে কম পাওয়া যায়। আমার এক বন্ধু কে জিজ্ঞেস করেছিলাম পিরানহা চিনে কিনা? ও বলল নাম শুনেছে তবে জানেনা। তারপর আমাকে জিজ্ঞেস করল, “এটা কি একটা পোকা?” এরকম ভুল ধারনা হইত অনেকেরই আছে। তাই আমি পিরানহা সমন্ধে কিছু বলতে ও জানাতে চাই।
জেলে যাবার পর ভেবেছিলাম তুমি একবার হলেও দেখতে আসবে। তোমাকে দেখতে পেলে জেল জীবনের সমস্ত কষ্ট একাকীত্ব এক লহমায় কেটে যেতো। প্রতিদিন বিকেল হলে অপেক্ষায় থাকতাম ভিজিটর রুমে ডাক আসবে। জেল জীবনের কষ্ট সয়ে নিচ্ছিলাম অপেক্ষায় অপেক্ষায়। পুলিশ যেদিন ধরে নিয়ে এলো তুমি তখন ঘরেই ছিলে। জানালায় পর্দার গিট দেয়া চিহ্নটা তাই বলে। তোমাদের সবুজ গেটটা পেরিয়ে আসার সময় প্রিজন ভ্যান থেকে বহুকষ্টে তাকিয়ে ছিলাম যদি জানালায়
দিনটা ছিলো বুধবার| ব্রাদার হোবার্ট সকাল থেকেই চিন্তিত, একটু পর পরই ব্যালকনিতে যাচ্ছেন আর এদিক ওদিক তাকাচ্ছেন| দেশের অবস্থা ভালো না, কখন কি ঘটে যায় কিছুই বলা যাচ্ছেনা| আবার এদিকে সকাল থেকেই মিলিটারির জীপ এদিক ওদিকে ঘুরছে, মাত্র ৬ দিন আগেই পাশের শাঁখারী বাজারে ওরা যে বিভৎস হত্যাকান্ড চালিয়েছে, তিনি সেটা জানেন| কিন্তু তার চিন্তা অন্যখানে, স্কুলের কম্পাউন্ডের ভেতরে বেশ কিছু পরিবার আশ্রয় নিয়েছে, তার উপরে তিনি নিজে স্কুলের তিনজন শিক্ষক আর তাদের পরিবারকে লুকিয়ে রেখেছেন উপরের ঘরে| কি যে হয় কিছুই বলা যাচ্ছেনা|
বন্ধুদের কাছে আমার সিভিক সেন্স রীতিমত প্রবাদতুল্য। আমার বাবা মা তাদের একমাত্র মেয়েকে সভ্য করতে কোনো কার্পণ্য করেন নি। এবং আমি প্রায় অচল পয়সার মতো সভ্য। রেগে গেলে আমি চুপ করে থাকি, অভিমান হলে কেঁদে ফেলি, চরম বিরক্তির বহিঃপ্রকাশ হিসেবে হয়তো কখনো সখনো উফফফফ করে উঠি। জীবনে এই প্রথম আমার ঘৃণা হচ্ছে। আমার খুব রাগ হচ্ছে, অসহায় লাগছে এবং একটা খুব বাজে গালি দিতে ইচ্ছে করছে। জীবনে প্রথমবারের মতো আমি বর্ণবাদ
[justify]কীটপতঙ্গে বেশিরভাগ মানুষেরই যেন এলার্জি আছে। অনেকে দু’চোখে দেখতে পারে না কোনো কীট। এই যে তাদের এই অপছন্দটা একবারে অযৌক্তিক - সেটাই বা কী করে বলি? রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেল আর কিছুক্ষণের মধ্যে আপনি টের পেলেন একটি হৃষ্টপুষ্ট তেলাপোকা আপনার শরীরকে আমিউসমেন্ট পার্ক মনে করে মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে!