সপ্তাহ খানেক আগে গুগল বাজে কে যেন আমাকে একটা ভিডিও লিঙ্ক পোস্ট করল। ভিডিও টা আমি চালু করে দেখি নাই, ফেইসবুক, ইঊ টিউব লিঙ্ক আমার অফিসে বন্ধ বলে আমার আগ্রহ ও ছিল না। তবে স্পষ্ট মনে আছে ভিডিওটার মেইন পেজে যে ছবি দেখা যাচ্ছিলো তা হচ্ছে, রাস্তার পাশে পার্ক করা একটা গাডীর উপর দিয়ে একটা সামরিক যান ‘ট্যাংক’ চালিয়ে দেয়া হয়েছে। চালক আবার সূটেড কোট পরা, দেখে সাধারন মানুষই মনে হয়।
পৃথিবীর কোন জীব এই গ্রহের সবচেয়ে বেশী দেখেছে- ভাবছেন নিশ্চয়ই অতল জলের নীল তিমি, কিংবা অক্লান্ত ডানায় ভর দিয়ে হাজার হাজার কিলোমিটার পরিভ্রমণ করা পরিযায়ী পাখি, গহন বৃষ্টি অরণ্যের কোন জন্তু, অতলান্তিক মহাসাগরের অজানা মাছ বা নদীর সরীসৃপ। কিন্তু এই মহান গর্বের, আমাদের নীল গ্রহটাকে সবচেয়ে ভাল করে দেখবার, ভ্রমণ করবার, উপভোগ করবার তকমা যার গায়ে তিনি আমার-আপনার মতই মানুষজাতির সদস্য, ডেভিড অ্যাটেনবোরো!
প্রেগন্যান্সির প্রথম পাঁচমাস পর্যন্ত পাঁচতলায় ছিলাম। অফিস থেকে এসে বেহুশের মতো শুয়ে থাকতাম। বর আসতো আমার আরো ঘন্টা দুয়েক পরে। একদিন ফোন করলো -দিহান, একটা পাখি আনবো?
-কি পাখি?
-ঈগল পাখি।
-ঈগল আমরা কোথায় রাখবো? আচ্ছা নিয়ে আসো।
বর ফিরলো। আমি বললাম ‘পাখি কই’?
-আরে পাখি নাতো, আমি একটা শীতল পাটি কিনবো কিনা সেটা জিজ্ঞেস করেছিলাম। তুমি ভেবেছো পাখি?
-আমি ভেবেছি ঈগল পাখি!!
রবীন্দ্রনাথের প্রতি আমার একরকম চাপা ক্ষোভ আছে। কোন বিষয় নিয়ে ভাবলেই দেখা যায়, তিনি আগেই সবচে সুন্দর কথাটিই লিখে ফেলেছেন তা নিয়ে। প্রত্যহের যেকোন আবেগে, যেকোন মুহুর্তে তিনি এসে হাজির হন; অন্য যে কারো আগেই। তাঁর জন্যই হয়তো আমার কখনো লেখক হওয়া হবেনা।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৬ অনুচ্ছেদ বলছে, “জনস্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে বাংলাদেশের সর্বত্র অবাধ চলাফেরা, ইহার যে কোন স্থানে বসবাস ও বসতি স্থাপন এবং বাংলাদেশ ত্যাগ ও বাংলাদেশে পুনঃপ্রবেশ করিবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে।”
জীবনে কতকিছুই যে ইছা করত তার সীমা নেই। এই বুড়ো(!) বয়সে এসে একটা পূর্ণ করতে চেস্টা করছি তা হলো একটি ভালো মানের বই উপহার দেয়া।তাও অনুবাদ করে। এখন পাঠক খুজে পাই না । আপনাদের কাছেই আমার এই নিবেদন।
আমার প্রিয় একটা বই এর সম্পূর্ণ অনুবাদ করছি। যা আপনাদের পছন্দ হবে বলে আশা করছি। আপনাদের পরিচিত সলোমনের গুপ্তধন এর নায়ক এলান কোয়াটারমেইন এর আরো একটি বই। আপনাদের সমালোচনা আমাকে ভালো করতে উৎসাহ দিবে।
ডিস্ক্লেইমারঃ দেশের বিদ্যুৎব্যবস্থার অতুলনীয় উন্নতির ঘর্মাক্ত সাক্ষী আর সেইসাথে মশককুলের মনোহারিণী সঙ্গীতসহকার ভালোবাসায় বিদ্ধ হতে হতে মনে মনে রচিত নিম্নোক্ত অতি আজাইরা পঙক্তিমালা। সুতরাং নিজের মূল্যবান সময় অপচয়ের ইচ্ছা না থাকলে এখানেই ক্ষ্যামা দ্যান।
ঘোরলাগা সন্ধ্যায়
একা বসে বারান্দায়
ঘরে ফেরে পাখি উড়ে, মানুষ রাস্তায়
এলোমেলো সোনারঙা মেঘেদের আনাগোনায়
**কখনো ভাবিনি যেই সচলায়তনে আমি অনুকাব্য, কবিতা, ছড়া লিখেছি; সেই সচলায়তনে আমাকে এক অসহায় সন্তান হয়ে দুঃখগাঁথা লিখতে হবে। বড় বিক্ষিপ্ত, হতাশা-ভারাক্রান্ত মন নিয়েই আজ লিখছি। তাই অনুরোধ জানাই ভুলভ্রান্তিগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্যে…**
আমার ছেলে অনুভব। বয়স সাড়ে তিন বছর। সিগারেটের সাথে ইতিমধ্যে তার এক ধরনের সম্পর্ক তৈরী হয়ে গিয়েছে। এই সম্পর্ক নিয়েই আমার এই লিখা। তবে মূল ঘটনায় যাওয়ার আগে অনুভব সম্পর্কে ২/১ টা কথা বলে নেয়া ভাল। অন্যান্য সকল বাচ্চাদের মতই সেও তীব্র কৌতুহল আর ক্রিয়েটিভিটি নিয়ে জন্মেছে। আমরা সবসময়ই চেষ্টা করি আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব তার কৌতুহলকে উৎসাহ দেয়ার। আর তার ক্রিয়েটিভিটির ঘটনাগুলো নিয়ে অনেকদিন ধরেই ইচ্ছা
সবুজ আলোয় ঢেউ তোলা তরল
পুকুরজুড়ে কেন্দ্রাতিগ বৃত্ত এঁকে গেল
আর নীল দ্রবণ একটু গা বাঁচিয়ে
জলের বালতিতে ছটফট করতে করতে
ঝাঁপ দিলো সবুজ বেড়ি ভেঙে নিজের দখল নিতে...
স্বর্গের ওপেনিং-ডে তে শয়তান এসে এমনই কিছু মন্ত্র পড়লেন
স্বর্গবাসীরা চুপ, শুধু সবার পকেটের টাকারা কথা বলে উঠলো
আনন্দময় করতালিতে ফেটে গেল চত্ত্বর
শয়তান আরও কিছু বললেন
নির্বাক মানুষের কাছ থেকে টাকাগুলো
হৈ-করে উড়ে গেল মঞ্চে