চোর ডাকাতেরা জানতো না ফাঁকা মাঠের মাঝে এই বাড়িটার দরোজাগুলো কতো নাজুক। ভেতর থেকে কোনমতে বন্ধ করা গেলেও বাইরে তালা দেবার কোন উপায় নাই। এ বাড়ির কেউ কখনো একসাথে কোথাও যায় না। কেউ না কেউ থাকেই।
সচলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে লেখা দিতে ইচ্ছা করলো। তাই টেরি প্র্যাচেটের ডিস্কওয়ার্ল্ড এর পর্ব-২। আগের পর্বে নাম ভিন্ন ছিলো, সেটা এখন আর পছন্দ হচ্ছে না। তাই পালটে দিলাম।
প্রথম পর্ব এখানেঃ চাকতি-জগতঃ জাদুর রঙ। পর্ব ১
সৃষ্টিকর্তাদের সৃষ্ট বিশ্বজগত কারিগরিভাবে যতই নিখুঁত হোক না কেন, কল্পনাশক্তির অভাবে তা চক্রাধামের দৃশ্যপটের কাছে তা খুবই মামুলি মনে হবে।
আতিক খুব মনোযোগ দিয়ে তার মানিব্যাগের দিকে তাকিয়ে আছে। নিজের মানিব্যাগ এতক্ষণ ধরে দেখার কিছু নেই, রেক্সিনের সস্তা মানিব্যাগ, জায়গায় জায়গায় রঙ চটে গেছে, ভেতরেও তেমন কিছু নেই যা এভাবে একদৃষ্টিতে দেখতে হবে। আসলে আতিক কিছুই দেখছিল না, তার ভ্রূ কুঁচকে আছে আর নীচের ঠোঁট কামড়ে ধরা। যখন খুব চিন্তায় থাকে তখন ঠোঁট কামড়ে ধরা আতিকের অভ্যাস। মানিব্যাগে সব মিলিয়ে বত্রিশ টাকা আছে। তিনটা দশ টাকার নোট, একটা দুই টাক
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: আমার চিত্রনাট্য লেখার উপর কোন আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ নেই। যেহেতু এটি আমার বর্তমান পেশা না কাজেই আমি চিত্রনাট্যকারদের সাথে খুব বেশি আড্ডাও দেইনি। তাই বন্ধুদের সাথে সাথে ঘুরে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগও হয়নি।
যে বাড়িতে মানুষ মারা যায় সে বাড়িকে সেই মৃত্যুরদিন বা ঠিক তার পরের দিন পর্যন্ত আমাদের এলাকায় মরার বাড়ি বলে । অন্য অঞ্চলেও সম্ভবত তাই বলে, অথবা অন্য কোন শব্দবন্ধে এই ভাবটাই হয়তো প্রকাশ করা হয়। বলার কথাটা হলো এই মরার বাড়ির অভিধাটা থাকা পর্যন্ত সে বাড়িতে রান্না নিষেধ। প্রথাটা এখনও অনেক জায়গাতেই পালিত হয়। আমার আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে এই প্রথাটা বরাবরই পালিত হতে দেখেছি। আমার বাবা মারা গেলে আমাদের বাড়িতে দ
কলকাতার তথ্যচিত্র নির্মাতা কিউ-এর একটি সাক্ষাতকার পড়ছিলাম। একটি বর্ণনা খুব ভাল লাগলো। কিউ বলছেন, কোনো শহর নিজেকে যদি শহর হিসেবে পরিচয় দিতে চায় তাহলে তার কিছু কারণ থাকা দরকার। কিউয়ের মতে, কলকাতার সেই কারণগুলোর ক্ষয় হতে হতে এখন এমন একটি জায়গায় এসেছে যে শহরটার রং ধূসর না, মনে হচ্ছে বাদামি। আমার মনে হলো বর্তমান ঢাকা সম্পর্কে ঠিক এমন একটি চিন্তাই আমার ভেতরে ছিল। আমি প্রকাশ করতে পারছিলাম না, আর কিউ মোক্
--"এইসব কী ঘটছে রে ভাই ডাইনে এবং বাঁয়ে?"
--"ভরসা রাখুন নায়ে"
--"মুখেতে তালা, চোখেতে ঠুলি, শিকল পরা পায়ে--"
--"ভরসা রাখুন নায়ে"
--"স্কুল সিলেবাস পাল্টে গেছে শফি হুগুরের রায়ে"
--"ভরসা রাখুন নায়ে"
--"পূজার বেদী তছনছ করে মূর্তি ভাঙ্গছে পায়ে"
--"ভরসা রাখুন নায়ে"
--"হিজাব আর টুপি পরেই দেশটা পাল্টাবে মদীনায়ে?"
--"ভরসা রাখুন নায়ে"
--" সেলিম ওসমান দিব্যি আছেন, শ্যামলকান্তি জেলে
[justify]সর্বশেষ পোস্টটি দিয়েছিলেন আজ থেকে ঠিক আট বছর কুড়ি দিন আগে। তারপর কেন আর পোস্ট দেননি সেটা আপনি জানেন। অভিমান করেছিলেন কি? অথবা রাগ? জানতে পারিনি। অথবা হয়তো ভেবেছিলেন, কিছুদিন থাক এসব। তাও জানতে পারিনি।
পরিচয় নেই, সেটিই কি মুখ্য?
না, মোটেই তা নয়!
প্রতিরাতে কত পাতা ঝরে
ঝরে পড়া অগুনতি নক্ষত্রকে
তবু হাত নেড়ে বলি, 'বিদায়!'
মানুষেরা মরে গেলে মানুষেরই হৃদয় কাঁদায়...