রাতের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নীরবতার আগ্রাসন। বাড়াবাড়ি শীত আজ। ভাঁজ করা হাঁটু দুটো কাঁপছে লুঙ্গির আচ্ছাদনে। শীত-ভয়ের বিপরীত প্রতিক্রিয়ায় বগলের নীচটা ঘামছে। কোথাও একটা কুকুর কেঁদে উঠলো। রাত বারোটার ঘন্টা শোনা গেছে অনেকক্ষণ হলো। এদিকে এখন কেউ আসবে না। গলা থেকে নীল মাফলারটা খুলে কোমরে বেঁধে নিল।
ডিসেম্বরের কয় তারিখ আজ? পৌষমাস এসে গেছে প্রায়। শীতটা তাই গত কদিনের তুলনায় বিশ্রী।
এটা চীনের উপকথা। এক শিল্পী-মা আর তার স্বপ্নের গল্প, এক মায়ের জন্য এক ছেলের জীবন তুচ্ছ করে অভিযানের গল্প।
শীত আর কুয়াশামোড়া এক উপত্যকায় একটি ছোট্টো গ্রাম। গ্রামের একেবারে শেষপ্রান্তে একটি জীর্ণ কুটির। কুটিরে থাকে এক বিধবা মহিলা আর তার তিনটি ছেলে। বড় আর মেজো প্রায় যুবক, ছোটোটি এখনো কিশোর।
এইখানে। শেষাবধি পেলাম ওটাকে। দৃষ্টি এড়ানোর ফন্দি আঁটতে আঁটতে হয়তো ওটার কেটে গেছে কয়েকটি দীর্ঘ সপ্তাহ। কত ছল-চাতুরী করতে হয়েছে, কতই না খেলতে হয়েছে লুকোচুরি। দুই ট্রাঙ্কের মাঝ দিয়ে চলে যাওয়া ইস্পাতের দেয়াল ঘেরা সরু গলি, পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে রাখা অব্যবহৃত লেপ-তোষকের আঁধার ঘুঁজি, পরিত্যক্ত আসবাবের দাঁতে শিরশির তোলা অমসৃণ ফোঁকর, পাট পাট করে বিছানো দৈনিক পত্রিকার স্তূপ, ষ্টোর রুমে রাখা সুগন্ধি চালের বস্তা
তার সাথে আজকেও আমার আবার দেখা হবে এটাই স্বাভাবিক। আমার সময়টা মনে আছে, ঠিক সাড়ে আটটায় ভদ্রলোক বের হবেন। সটান গিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম চৌরাস্তার মোড়টায়, যেখানে রহিম চাচা আজকাল মাঠা বিক্রি করে। এক গ্লাস মাঠা হাতে নিতেই দেখলাম লোকটা আসছে।
দ্বিতীয় সহস্রাব্দে যতগুলো ধারণা সাধারণ মানুষের হাজার হাজার বছর ধরে গড়ে উঠা চিন্তা ও বিশ্বাসের ভিতকে কাঁপিয়ে দিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো ভূ-তত্ত্বের নিরিখে গড়ে উঠা ভূ-তাত্ত্বিক কালপঞ্জি ও বিবর্তনবিদ্যা। পৃথিবী বিশ্বের কেন্দ্রে নয়, গ্যালাক্সির কেন্দ্রে নয় ধারণাটা সাধারণ বিশ্বাসকে নাড়িয়ে দিলেও বিষয়টা ততটা বোধগম্য নয় যতটা বোধগম্য হলো ‘মানুষের উদ্ভব সরাসরি ঘটেনি‘ধারণাটি; কারণ মানুষ বুঝতে পে
একজন মানুষের ছেলেবেলা তার সবচে প্রিয় সময়।আজকে আমি আমার ছেলেবেলা নিয়ে লিখবো।এ লিখার উদ্দেশ্য আমার ছেলেবেলার গল্প শোনানো না,এখনকার শহরের শিশু কিশোরদের সাথে আমদের ছেলেবেলার পার্থক্য আছে তা বলা।
ধন নয় মান নয় এতটুকু বাসা, করেছিনু আশা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
[justify]বসতবাড়ির প্রতি এই আশা সার্বজনীন। তা মানুষ-ই হোক আর পশুপাখি। বাড়ি তো কেবল আশ্রয় নয়, জীবনযাপনের অনুষঙ্গও বটে। বাড়ির সৌকর্যে রুচির প্রকাশ, নির্মাণে প্রতিভার। বাবুই পাখির মত ওস্তাদ কারিগর, মৌমছির মত স্থপতি বিস্ময়ের উদ্রেক করে। কিন্তু নির্মাণশৈলীতে যারা অপটু? আলোকচিত্রে আজকে তাদের কথাই বলবো।
শিরোনাম:: 'এক বিষাদ সন্ধ্যা নেমে আসুক বিষাদে'
মনন:: নাগরিক সন্ধ্যা যদি তার রূপ বদলায়।
এক বিষাদ সন্ধ্যা নেমে আসুক বিষাদে
ধূসর হবে না, হবে না ধূলিনির্ঝর;
অথচ পাতার মর্মর শব্দ থাকবে, শুকনো হলুদ
আভা বুনে গেঁথে যাবে শহর সরু পথ
ক্রিং ক্রিং আড়ষ্টে কুপোকাত হবে না বার্ধক্য
সোনালি মুখের শৈশব হাতে হেঁটে যাবে দিগন্তাবির ছুঁয়ে।
পাশে নদী থাকতে পারে, থাকতে পারে শীতল হাওয়াও!
*
তুমি বাড়ীর পথে ছিলে, যখন তুমি মারা যাও।
গাড়ীতে ছিলে, ভেঙ্গেচূড়ে পড়েছিলো তোমাকে নিয়ে। তোমার স্ত্রী আর দুই সন্তান রয়ে গেলো। মারা গেলে। সাদা এপ্রনের ওরা সব করেছিলো, যা কিছু করা যায়- কিন্তু। খুব করে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিলে তুমি, যেমন তোমার গাড়ীর সব কাঁচ, কিংবা সব স্বপ্ন তোমার। বিশ্বাস করো তোমার চলে যাওয়াই ভালো ছিলো সব থেকে।
তারপর, আমাকে দেখলে তুমি। আমি, তুমি।
[justify]বসুধাকে প্রথম দেখি কলেজ রোডে মায়াবাদীদের হাসপাতালে। সেখানে গিয়েছিলাম এক রোগীর অ্যাটেন্ডেন্ট হয়ে। আমার রোগী যখন মায়াবাদীদের নানা রকম নিয়ম-কানুনে বিরক্ত হয়ে বার বার ক্ষেপে উঠছিলো, তখন কথা বলার জন্য বসুধা আমাকে সুবিধাজনক মনে করলো। তার কথা আমার কান দিয়ে ঢুকছিলো কম, চোখে দেখছিলাম বেশি। সেকথা তারও না বোঝার কথা না, সেটা নিয়ে সে বিব্রতও নয়। দিনের মধ্যে নিশ্চয়ই কয়েক ডজন বার তাকে এই পরিস্থিতি সামলাতে হয়।