বলো তুমি কেমন মানুষ?
ভেতরে কি পাহাড়, নদী
তার পাশে পথ; পথিক চাইলে হাঁটতে পারে?
আছে আকাশ? মেঘলা দুপুর—
গাছের ছায়ায় রাখালরা কি মনের সুখে বাঁশী বাজায়?
জানলা আছে? চুল ওড়ানো ফুলের বাতাস?
রোজ বিকেলে চিঠির আশায় কেউ কি বলো
দাঁড়িয়ে থাকে?
মানুষটা কি এমন তুমি?
পাল তোলা এক মনের মাঝে ‘বউ কথা কও’ পাখি পোষো,
যত্ন করে ছড়িয়ে রাখো সোনালী ধান উঠোন জুড়ে—
এইটা আসলে অনেক অনেক দিন আগে, যখন একটা বিশেষ নারী সপ্তাহ পালন হচ্ছিল, সেই সময়ে লেখার কথা ছিল । কিন্তু তখন নানা কারণে লেখাটা দেওয়া হয়ে ওঠে নি ।
এ কাহিনি তিন প্রজন্মের । শিশুবালা বনলতা মণিদীপার গল্প । দিদিমা মা মেয়ের এই তিন প্রজন্মের গল্প যেন একটা ছোট্টো আয়না, পরনির্ভরশীল পুরুষশাসিত সমাজের মধ্যে মেয়েদের স্থান কী, সুখ কী দুঃখ কী আর কালের সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে অবস্থার বদল হয়েছে সেই গল্প ।
গত ২১শে এপ্রিল, সারা বাংলাদেশকে অঝোরও ধারায় কাঁদিয়ে খসে পড়লো একটি নক্ষত্র, লাকী আখন্দ। লাকী আখন্দ, কে উনি? একজন সুরকার? গায়ক? যন্ত্রী? মুক্তিযোদ্ধা? নাকি একজন কিংবদন্তী…আসলেই কে উনি?
আর ইউ ওকে টু টক?
সামনে বসা পুলিশ অফিসারের প্রশ্ন। গলায় অঢেল কোমলতা। ধবধবে সাদা চামড়া। নীল চোখ। রিয়েল অ্যামেরিকান পুলিশ।
বাড়াকাত মোটেই ওকে না। ওকে থাকার কথাও না। পশ্চাৎদেশের ব্যথা কঠিন ব্যথা। কী যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কিসে, কভু আশীবিষে দংশে নি যারে!
বাড়াকাতের মনে হচ্ছিল অন্য কথা। এই ব্যথার চেয়ে আশীবিষের কামড় ভালো ছিল। হায় রে সাপ! তুই কামড় দিলি না, কামড় দিল অভিশাপ!
বৃত্ত ভাঙা নিয়ে ভাববার খুব একটা অবকাশ পাচ্ছিনা। এখানে এখন রুদেলান্তির সময়, ঈশ্বরের অনুগ্রহ হাত ভরে নেবার কাল। সোনালি স্রোতের যেন কোন শেষ নেই, শেষ নেই ছাঁকনদারদের ব্যাস্ততার, তারচেয়েও ব্যাস্ত বাদামিরা। এরই ফাঁকে আমাদের তল্লাটে বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। বৃত্ত গুলো এখন আরও বড়, আরও উষ্ণ। আর্দ্রতা কমে এসে অমৃতের স্বাদটাকে কেমন যেন পাল্টে দিয়েছে। তবে নিজেকে দারুণ শক্তপোক্ত আর চনমনে লাগে আজকাল, বাকি একুশ জনের দিকে তাকিয়ে টের পাই কলেবরে বেশ বেড়েছি আমি।
ঘটনাটা অনির যতবার মনে পড়ছে ততবার মজা লাগছে। কাঁথার ওম উপভোগ করতে করতে অনি মাঝে মাঝে আজমাইনের চেহারাটা মনে করে হাসছে। অনির আজ আনন্দের সীমা নেই। আজমাইন আজ বেশ একটা শিক্ষা পেয়েছে। অবশ্য এটার পুরো কৃতিত্ব সেই মেয়েটার। তবে রুমন যদি আজ সেই মেয়েটার কাছে আজমাইনকে দিয়ে মাফ না চাওয়াতো তাহলে আজ নির্ঘাত বিষয়টা মা-বাবা অবধি গড়াতো। আজমাইনের সবকিছুতেই সবজান্তা ভাব। অথচ রুমন কত কি জানে, গাদি গাদি বই পড়ে ও। অথচ রু
তাঁর বিপুল ছন্দে ছন্দে
মোরা যাই চলে আনন্দে,
তিনি যেমনি বাজান ভেরী মোদের তেমনি নাচের ভঙ্গি ॥
যাঁর নানা রঙের রঙ্গ মোরা তাঁরি রসের রঙ্গী ॥
----বুড়োটা আর বুড়ো হয় নারে!
তোমার জন্য লেখা এলোমেলো শব্দের ঝাঁক-৪(১)
এই যে তুমি কল্পনার পাখায় ভর করে বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাসে এলে, সে জন্য তোমার কোন ট্রাভেল ডকুমেন্টসের প্রয়োজন হল না। এ যেন তোমার আনন্দিত শৈশবে গেয়ে ওঠা রবি ঠাকুরের গান,
কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা মনে মনে!
মেলে দিলেম গানের সুরের এই ডানা মনে মনে।
হরিপূর্ণ ত্রিপুরা