যমদুতের সাথে সুসম্পর্কের কারণে শেষ মুহুর্তে বেঁচে গেল গোরখোদক ঠান্ডু মিয়া। বজ্রপাতটা ঠিক কান ঘেঁষে মাটিতে নেমে যাবার সময় কয়হাত দুরের বিশাল ইউক্যালিপটাস গাছটাকে দো-ফালা করে গেলেও টিকে গেছে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা হাড় জিরজিরে বুড়োটা।
১। ডক্টর জীশান আমাদের যখন ডাকিয়ে পাঠালেন তখন বিকালবেলা। আমি, অঞ্জলি, সোমক আর জর্জ মিলে এক বিশেষ ধরনের শৈবালের নমুনা সংগ্রহ করছিলাম এক সরু খাঁড়ির প্রান্ত থেকে। এই শৈবাল ও খুব ইন্টারেস্টিং বেশ কদিন ধরে এই নতুন ধরনের শৈবাল নিয়ে পড়ে আছি আমরা কজন। পরীক্ষা করে দেখা গেছে এর সালোকসংশ্লেষক্ষমতা চেনাজানা অন্য উদ্ভিদদের তুলনায় অনেকটাই বেশী, শুধু সূর্যালোকে না, আমরা কৃত্রিম জোরালো আলোয় এমনকি মৃদু আলোতেও পরীক্
মুখবন্ধ: ইহা কোন সাহিত্যকর্ম নয়। ইহা জীবনে প্রথমবারের মত একটি রেসিপি লেখার চেষ্টা মাত্র।
আজকের দৈনিক পত্রিকাগুলোতে ট্রানজিট নিয়ে বেশ কিছু খবর এসেছে। খবরগুলোতে অনেক তথ্য উপাত্য এসেছে। সেগুলো থেকে অন্তত এটুকু বোঝা যায় যে সবপক্ষই এই ব্যাপারটাতে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখে। আমি নিজে এই ব্যাপারটা খুবই জটিল বলে ভাবি। অনেক ধরণের হিসাব নিকাশ জড়িত এর ভেতরে। যার সবগুলো জানা বা বোঝা আমার পক্ষে সম্ভব কিনা জানি না। আর তাই আমি সাধারণত ট্রানজিটের প্রশ্নে কোন বিশেষ পক্ষে যেতে পারি না।
শিরোনাম:: 'অস্তিত্বহীন অস্তিত্ব'
মনন:: উৎসবেও নিরবত্ব
লিখিত:: ২২ এপ্রিল ২০১১।
সবাই তোমার ঘরে থাকে, আমি নেই
তাদের আসা যাওয়া পদভারে ভারী আকাশ
মেঘলা দেখি আমি তুমি নেই ওপারে নীলে
সবাই মিশে থাকে হরষে আমি তবু আড়ালে
কাঁপন তুলে পর্দায় তোমাদের সব কথামালা
ছিন্ন করে দ্বার- আসে এখানে আমার একার
পথচলা রাতে, পথ হয় না যে শেষ
শুনি উৎসব ঐখানে হুল্লোড়- আশা কত যে
সাবরিনা সুলতানা
-এই যে শুনছেন!
-উমম...
-উহু এসব উম-আম এসব চলবে না, একটু উঠুন তো
-হুমম ...এই ...
-বড্ড জ্বালান! উঠুন, নাহলে পানিতে ভিজিয়ে দেবো
-উফফ...এই রাত ভোরে কি শুরু করলেন!
-যা ইচ্ছা তাই ...এক্ষুনি উঠুন। দেখুন না কি অদ্ভুদ সুন্দর মেঘ রঙা আকাশ! বারান্দায় যাবো
-গেলেই হয়। আমাকে নিয়ে কেনো টানাটানি
-আহহা চলেন না প্লিজ... প্লিজ প্লিজ প্লিজ প্লিজ
[justify]আমার প্রথম স্কুলের স্মৃতি তেমন মনে নেই, অল্প কিছু ছাড়া। আমার যে ঘিলু, তাতে না থাকাই স্বাভাবিক। এইনিয়ে আমার আক্ষেপ নেই, শুধু মাঝে মাঝে একটু দুঃখ পাই। আমার পরিচিত বন্ধুরা কী সুন্দর করে তাদের প্রথম স্কুলের নানা স্মরণীয় ঘটনা আওড়ে নিজেদের শৈশবের অমৃত আস্বাদন করে। আর আমি তা শুনে শুনে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাই। ব্যাপারটা বড়ই বেদনাদায়ক। এবং নিজের কাছে চরম অস্বস্তিকর। মানুষের জীবনের অন্যতম চমৎকার একটা সময়ের স্মৃতি তেমন কিছুই মনে নেই! সব হজম করে ফেলেছি! এ কীভাবে সম্ভব? মাথায় মাঝে মাঝে একান্তে ঝাঁকি দিয়ে বোঝার চেষ্টা করি কোন মডেলের হাঁদারাম এটা। টকটক শব্দ হয় শুধু, আর কিছু মেলেনা। ইদানিং পরিচিত কয়েকজনের স্কুলের প্রথম অভিজ্ঞতার কিছু অসাধারণ রোমন্থন পড়লাম। তারপর থেকে বেশি বেশি মনে করার চেষ্টা করছি নিজের স্মৃতি। কিন্তু ঘুরেফিরে মনে থাকা ঘটনাই আবার চলে আসছে স্মরণে। নতুন কিছু মিলছেনা। কিন্তু সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হলো, সাথে একটা সেই সময়ের শোনা
মেঘ আর রোদ্দুর
---------------- প্রখর রোদ্দুর
লাল খামেতে চিঠি এলো
মন খারাপের রাতে
স্বপ্ন মাসি গাঙ্গ পেরুবে
ডাক পিয়নের নাতে ।
চিঠি ছিলো হলুদ খামে
সাদা, ধূসর হরেক রঙে
কমলা খামের বিলিও শেষ
নীল টা বাকী লুকোনো নামে ।
১.
হাইস্কুল জীবনটা ছিল মোটামুটি জঘন্য রকমের। ক্লাস সিক্সে ওঠার পর ভুগোল, ইতিহাস, ধর্ম, বাংলা ব্যাকরন, ইংরেজী গ্রামার,পাটীগনিত, জ্যামিতি ইত্যাদির অত্যাচারে দম বন্ধ হয়ে আসতো সময় সময়। সিক্স থেকে এইট এই তিন বছরের যেসব স্মৃতি আছে সব জ্যৈষ্ঠের খরতপ্ত দুপুরের মতো ঝলসানো। বেত নামক লিকলিকে ভয়ংকর বস্তুটার সাথে প্রতিদিন দেখা সাক্ষাত হলে, আর বাড়ির কাজ যথাসময়ে শেষ না করলে যা হবার কথা আর কি।