হঠাৎ কালিম্পং! তুষারিত নদীটির তীর,
সেখানে লাবণ্যপ্রভা বসে থাকে অবসাদে একা
শেষের কবিতা রূপে সে বিষাদ হয়েছিলো দেখা
করুণ স্বপ্ন নিয়ে বুনে যায় আজো তার নীড়।
ভরপুর ঝরে পড়া ধাঁধাশীল ভালোবাসা তুই,
চেরাপুঞ্জির পথে ধাবমান নদীর ওপর
সন্ধ্যারা বাড়ি এলে পাখি পরে পাতার টোপর
চারফোঁটা নোনাজল সোনাঝরা আবেগী চড়ুই।
[justify]নির্লিপ্ত নটরডেম কলেজ থেকে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণে গিয়েছিল লৌহজং। তাদের সাথে হলিক্রস কলেজের কিছু মেয়েও গিয়েছিল। এদের মাঝে একজন ছিল অন্তরা বিশ্বাস। সেই সূত্রেই প্রথম পরিচয়। প্রথম পরিচয়ে অন্তরা অবশ্য নিজের সারনেম ভুল দিয়েছিল। সেই নামেই অন্তরাকে চিনে নির্লিপ্ত।
[justify]ফেসবুকে ঘোরাঘুরি করছিলাম। কারো বিয়ের ছবি, গ্র্যাজুয়েশনের ছবি, জন্মদিনের শুভেচ্ছা ইত্যাদি দেখছিলাম, টুকটাক মন্তব্য করছিলাম। এই ফেসবুক জায়গাটা আমার খুবই আজব লাগে। একটা নিউজ ফিডে হয়ত দেখছি, কেউ লিখেছে "অন ক্লাউড নাইন"। আর তার ঠিক নিচেই রক্তাক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম। এখন ভাল থাকার উপায় হল, সুখবরগুলি দেখা, এবং দুঃসংবাদগুলি এড়িয়ে যাওয়া। যে কোন খারাপ ঘটনাতেই আমার খুব প্রতিক্রিয়া হয়, আমি সাধারণত ফে
বাইরে রাগী বালকের মত ফুঁসছে দারুণ দুপুর।
কিছু বায়না করে না পাওয়া বালকের রাগ সামাল দিতে মায়ের হাসিমুখের উপস্হিতি যেমন বালকের রাগ মুছে নেয়, সেভাবে ঠান্ডা বিকেল এসে দাঁড়ায় সময় গড়িয়ে, রোদের রাগ মুছে নেয়।
প্রতিটি মানুষেরই জীবনে কখনো কখনো শখ থাকে। শখ বড়ই অদ্ভুত ব্যাপার। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ছোটবেলার শখ বড় হয়ে আর থাকে না কিংবা থাকলেও সেটার আবেদন আর আগের মত থাকে না। একেই কি শখের অপমৃত্যু বলে? তাহলে আমারো এরকম অন্তত দুটি শখের অপমৃত্যু হয়েছে বলা যায়।
শুরুতে দুটো ফেসবুক স্ট্যাটাস তুলে দিলাম, আলোচনার সঙ্গে যা প্রাসঙ্গিক। সেই সঙ্গে একটি স্ট্যাটাসের নিচে করা আমার মন্তব্য, যা অপর স্ট্যাটাসটির প্রতিক্রিয়া হিসেবে এসেছিল।
১. ফাহমিদুল হক/১৩ এপ্রিল: 'মেহেরজান'বিরোধীরা দলে দলে 'আমার বন্ধু রাশেদ' আর 'গেরিলা' দেখছেন তো?
নেয়ামত যখন মেট্রিক পাশ করে গ্রাম থেকে শহরে আসে তখন সে পাজামা-পাঞ্জাবীর সাথে কেডস পরে এসেছিল বলে কলোনিতে একটা হাসাহাসি হয়েছিল। নেয়ামত যে গ্রাম থেকে উঠে এসেছে সেখানে কেডসের সাথে জিন্স কিংবা পাজামার সাথে স্যান্ডেল পরতে হবে সেরকম কোন নিয়মকানুনের বালাই ছিল না।
[justify]আমরা তিন বন্ধু একসাথে হলেই একযোগে দস্তয়েভ্স্কিকে দেখি। ব্যাটা গোগলের রঙওঠা একটা ওভারকোট পরে থাকে সবসময়। এটা নিয়ে আমরা প্রায় হাসাহাসি করি। ঢাকায় গরম শীত সবকালেই তার গায়ে এই একই ওভারকোট দেখে আমরা তার নাম দেই শীতল রক্তবিশিষ্ট দস্তয়েভ্স্কি। আমাদের মধ্যে আজম দস্তয়েভ্স্কির প্রায় সব লেখাই পড়েছে, খালি ব্রাদার্স কারমাজভ ছাড়া। রবি বড় ও জটিল উপন্যাস পড়তে ভালোবাসে। দস্তয়েভ্স্কির ছোটোখাট লেখাগ
[justify]১
গালে হাত দিয়ে তন্দ্রা মন খারাপ করে বসে আছে সোফায়। পাশে আম্মু। আব্বু আর ভাইয়া উঠে গেছে নিজনিজ ঘরে। এত্ত মনখারাপ হয়েছে যে কী করবে তন্দ্রা খুঁজে পাচ্ছেনা। মন খারাপ হবেই না বা কেনো। কী চমৎকার একটা নতুন পর্ব দিয়েছে আজ টম এন্ড জেরির; আর আম্মু এসে বলা নেই, কওয়া নেই, খুট করে দিলো চ্যানেল বদল করে। আম্মু, আম্মু কিংবা না, না, বলে চিৎকারের সময়ও পায়নি সে। তার আগেই আম্মু বললো, লক্ষীসোনা, রাতে খাওয়ার সময় দেখো বাকিটুকু। এখন আমি নাটক দেখি। নাস্তা ঝটপট খেয়ে গিয়ে ততক্ষণে হোমওয়ার্ক সেরে নাও। আর নাস্তা খাওয়া। তন্দ্রা গাল ফুলিয়ে বসে থাকলো কিছুক্ষণ।
আমি মনে হয় একেবারে মুক্ত পাগল হয়ে যাচ্ছি, বদ্ধ পাগল স্টেজ পার হয়ে গেছে। আমাদের এক দিদিমণি আমাদের বোঝাতেন পাগল নানাপ্রকার- দিব্যোন্মাদ ভাবোন্মাদ বীভৎসোন্মাদ। এক সুরসিকা ছাত্রী বলেছিলো "না না দিদিমণি, শুধু এগুলো না, আরো দু'খানা আছে, বদ্ধোন্মাদ আর মুক্তোন্মাদ। " তারপরে কী হইলো জানে শ্যামলাল।