হলে থাকতে প্রতি মিলেই কমন আইটেম ছিলো মুরগি- একটুকরো মাংস, একটুকরো আলু, আর কিছুটা ঝোল। ঝোল মানে হলুদ গোলানো পানি আরকি। বছরের পর বছর সেই মুরগি খেতে খেতে আরেকটু হলেই আমার মুরগির মত পাখনা গজিয়ে যাচ্ছিলো। তবে সে যাত্রা রক্ষা হয়েছে। পাখনা গজায়নি। কিন্তু শেষ রক্ষাও হয়নি পুরোপুরি। বাসায় বলুন, চাঙ্খারপুলের রেস্তোরাতেই বলুন, বা অন্য কোথাও- মুরগির মাংসের সেই হলুদগোলানো ঝোলের সাথে আদা, জিরা আর বিভিন্ন গরম মশল
পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে
রক্ত লাল রক্ত লাল
রক্ত লাল.........
[justify]১
বিকাল প্রায় পৌনে পাঁচটা। স্কুল আরও পনের মিনিট আগে ছুটি হয়ে গেছে। অর্ঘ্য আজ মহাখুশি। মহানন্দে পা নাচাতে নাচাতে এগুচ্ছে স্কুলের গেটের প্রাচীর ঘেঁষে অসাড় পড়ে থাকা ফুটপাথ ধরে। আজ আম্মু কিংবা আব্বু আসেননি গাড়ী নিয়ে তাকে নিয়ে যেতে। যদিও বাসা স্কুল থেকে বেশি দূরে নয়, হেঁটে মাত্র পনের থেকে বিশ মিনিটের পথ। আব্বু সাধারণত আসেননা,অফিসে থাকেন বলে। আম্মুই আসেন। আর আম্মু ব্যস্ত থাকলে কাদের চাচা, অর্ঘ্যদের গাড়ির ড্রাইভার।
আমি মেঘের কাছাকাছি থাকি।
দশ তলায়।
জানালা খুললেই রাস্তায় গাড়ির আওয়াজ।
আজব ব্যাপার হলো এইসব ছাপিয়েও রাত তিনটার দিকে আমি একটা কাকের ডাক শুনতে পাই।
প্রতিদিন।
ঠিক রাত তিনটায়।
এই রুটিন চলছে আজ সপ্তাহ খানেক হলো।
আগে কাকটার ডাকে আমার পাতলা ঘুম ভেঙ্গে যেতো।
আর এখন নিজেই অপেক্ষা করি।
ঘড়ি মিলিয়ে দেখি।
বিষণ্ণ পাগলাটে কাকটা এখন আমার সময়ের পাহারাদার।
একটু বিরতি দিয়ে আবারও এলো বিশ্বকাপ প্রেডিকশন গেম।
বহুদিন বাদে আমরা আবার বসলাম কবিতার আড্ডায়। নিত্যদিনের ব্যস্ততা ঠেলে এই ধরণের আড্ডায় সচরাচর বসা হয় না আমাদের। কিন্তু একবার বসলে সময়ের তশতরীতে চুমুক দিয়ে আমরা আকণ্ঠ শুষে নেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা। মধুরতম আলাপনে কেটে যায় প্রহরের পর প্রহর। মৃন্ময় স্বপ্নেরা একদল সবুজ শিশুর বন্ধনহীন আনন্দ ছড়িয়ে ছুটোছুটি করে আমাদের চোখের ভেতরের মধু-কুপি ঘাসের চত্ত্বরে।
কনকনে শীতল বাতাস। গলাবন্ধ সোয়েটারেও মানছে না। ঠকঠক করে দাঁতে দাঁত বাড়ি খাচ্ছে। কানমাথা সব ঢাকা আছে তবু এই বেদিশা ঠান্ডায় কাবু হয়ে আছে মুহিব। পকেট থেকে প্রায় চ্যাপটা হয়ে যাওয়া মার্লবরোর প্যাকেট বের করে গুনে দেখলো, মাত্র পাঁচটা বাকী আছে। সামনে যদিও দীর্ঘ রাত, হাতে সময় অল্প, এই পাঁচটাতেই হবে। গত পনের দিন ধরে রাতগুলো যেন সারাজীবন দেখে আসা রাতের চেয়ে অনেক বেশী দীর্ঘতর। সব দুঃসময়ের রাতই দীর্ঘ হয়।
সালেক খোকন
ভোর হতেই চারপাশের দৃশ্য বদলে যায়। হালকা কুয়াশার আবরণ চারপাশে। পাহাড়চেরা উঁচুনিচু রাস্তা ধরে ছুটে চলে আমাদের বাসটি। আঁকাবাঁকা সবুজে ঘেরা পথ। সকাল ঠিক ৮টা। সুপারভাইজার চেচিয়ে ডাকে ‘এক নম্বর ঘাট’। এই ঘাটটি দেশের একেবারে শেষ প্রান্ত টেকনাফে। সেখান থেকেই এলসিটি কুতুবদিয়া জাহাজটি ছেড়ে যায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে।
আমার আম্মার সম্পর্কে আগে সচলায়তনে একটা লেখা পোষ্ট করেছিলাম। আমার আম্মার গল্পঃ এ মাদার এ ওয়ারিয়র। খুলনায় এই মুহুর্তে অনেকগুলো জাতীয় পর্যায়ের সংগঠন মিলে ৫জন কৃতি নারীকে এবং একজন পুরুষকে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ১০০ বছরপূর্তীতে সন্মাননায় ভূষিত করছে। গতকালই তারা আম্মাকে এই সন্মাননার কথা জানিয়েছেন। এরা হচ্ছেন-
প্রিয় টাইগাররা,