বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে, হবে ও। মাশরাফি কে কেন নেয়া হলোনা, সিডন্সের ক্কারী বেলালী, আশরাফুল সাহেব তো নিজেই একটা বিতর্ক, সেরা এগারো কি হবে, নাঈম না শুভ, রকিবুল না আশরাফুল, তিন পেসার না দুই পেসার, ব্যাটিং পাওয়ার প্লে কখন নেয়া উচিত, এই রকম আরো ২৩১৫৬ টা বিতর্ক আছে। আমাদের সবার ই নিজস্ব মতামত আছে; আছে যুক্তি, আবেগ, পছন্দ, অতি পছন্দ ও অপছন্দ। বাংলাদেশে নাকি উপদেশ দাতা, এম বি এ আর ক
[justify]আমাদের পাড়া দুপুরে একা একা ঝিমায়। মহাসড়ক থেকে প্রথমে পড়ে ইটের ভাটা। তার পাশের চিকন রাস্তা দিয়ে মাইল খানেক রিকশা বা হেঁটে আসলেই এই পাড়া। ইটের ভাটা দুপুরে বিশ্রাম নেয় না। সেখানকার চিমনি থেকে ধোয়া বেরোনোতে তাই কোনো বিরতি নেই। পাড়ার পুবদিকের বস্তির ছেলেবুড়ো অনেকেই ইটের ভাটায় কাজ করে। রোদ, ভাটার গরম ও ইটের গুড়োয় ভাটায় কাজ করা লোকগুলো গিরগিটির মতো রঙ পালটে লাল দানো হয়ে পড়ে। পাড়ার বাচ্চারা কখনো
রাত পোহালেই পর্দা উঠছে 'দ্য গ্রেটেস্ট শো অন বাংলাদেশ' - বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১১ এর। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি আমরা সবাই। যতটা উদ্বোধনের তার চেয়েও হয়তো বেশি আমাদের লাল-সবুজে বর্ণিল ঐ ১১ জনের মাঠে নামার অপেক্ষা।
অধিকাংশ জাতির কিছু গর্ব থাকে, থাকে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দেখানোর মতো কিছু ব্যক্তিত্ব৷ হতাশার বিষয়, আমাদের দেশে এমন ব্যক্তিত্বের বড় অভাব৷
[justify]তোমাদের এই শহরে একদা একটি রাস্তার পাশে একটি নাম না জানা বৃক্ষ ছিল। ইঠ-কাঠ-বালিতে ঠাসা এই শহরে রাস্তার পাশে বৃক্ষ থাকা নিতান্তই বেমানান। বৃক্ষ থাকবে না, থাকবে শুধু কিছু কান্ডহীন পাতাবাহারের সমাহার। তাও থাকবে রাস্তার মাঝখানের ডিভাইডার কিংবা আইল্যান্ডে। অন্য কোথাও থাকার সুযোগে নেই। মানুষ সভ্যতার সবটুকু আবর্জনা নিজে শোষণ করে না কখনও। ফেলে যায় সেসব পাতার উপর জমে থাকা ধূলোর আস্তরণে প্রতিদিন। সময়ের ঘূর্ণিচক্রে তা মাটিতে মিশে যায়, হয়ত ফাল্গুনের শুরুতে কিংবা বর্ষার শেষে। এ শহরের পৃষ্ঠদেশ পুরোটাই প্রায় কংক্রিটের বর্মে আচ্ছাদিত। এ শহরের মাটিকে মানুষ সূর্যালোকের স্পর্শ দেয়না। সে পায়না কোনো বৃষ্টির স্নিগ্ধতা, বাতাসের ঘ্রাণ, বৃক্ষের শিকড়ের বাহুডোর, ফুলের পবিত্রতার ছোঁয়া। মাটির অপেক্ষায় অভাবে আস্তে আস্তে সেগুলো পচে গলে গলে গড়িয়ে যায় নর্দমার ঢাল বেয়ে, মানুষের উচ্ছিষ্টের সাথে। নর্দমাগুলো সে উদ্দেশ্যেই তৈরি।
[justify]তোমার মৃত্যুতে পৃথিবীর তিনভাগ জল হয়ে গেছে অশ্রু, রাজপথ হয়েছে সাহসী মিছিল। অদ্ভুত সুন্দর এই বাক্যটির রচয়িতা মোজাম্মেল বাবু। বাবু বুয়েটে পড়ত, কবিতা লিখত, রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত ছিলো। সেসময় রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো না তেমন কোন ছাত্র আছে কি? “হঠাও এরশাদ বাঁচাও দেশ” শ্লোগান দেয়নি তেমন কুলাঙ্গার কাউকে খুঁজে বের করাটাই মুশকিল সে সময়য়ের জন্য। আমাকে যারা চেনে তারা নিশ্চয়ই আমার এই “কুলাঙ্গার” শব্দচয়নে একটু ভুরু কুঁচকাবেন। আসলে সেটা একটা সময় ছিলো আমাদের জন্য, নিজে বাঁচার আর আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের স্বার্থ সংরক্ষণের লড়াইয়ে যারা অংশ নেয়নি তাদের জোর গলায় কুলাঙ্গার বলাতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করব না আমি।
আমার শহরে বসন্ত মাস
আকাশে আজ হলুদ পাখি
আমার এখানে রোদের নদীতে
ফাল্গুনী মেয়ের শলমা সখী
আকাশ চূড়ায় উড়ছে কারো রঙ্গীন বেলুন ইচ্ছে ঘুড়ি
এই বিকেলে তোমায় দিলাম তোমার প্রিয়ার কাঁচের চুড়ি
তোমার সকাল আমার সাঁঝে নাক ছাবিটার মুক্তো খাঁজে
জরির মতো সবুজ মতি তারার চোখে তোমার ছবি