সালেক খোকন
বইমেলা বলতে সবাই বুঝি একুশের বই মেলাকে। বইমেলা। শব্দটি উচ্চরণ করতেই লেখক ও পাঠকদের মনে অন্যরকম আনন্দ দোলা দেয়। প্রকাশকদের মুখেও দেখা দেয় একচিলতে হাসি। বইমেলাকে ঘিরেই বছরে একবার সারাদেশের লেখকদের সম্মিলন ঘটে। নারীর টানে ছুটে আসে প্রবাসে থাকা লেখকেরাও। তাই বইমেলা লেখক, প্রকাশ আর পাঠকদের মিলন মেলা।
গতকাল একবার, আজ আরেকবার কানে এলো এই গপ্পো। বাংলাদেশের কোনো এক মহিলা সাপ হয়ে গেছেন।
কেন?
তিনি নাকি তার হজফেরত স্বামীকে বলেছিলেন অতগুলো টাকা হজের পেছনে ব্যয় না করে ব্যাংকে রাখলেই বরং কাজে দিত। অর্থাৎ ইসলাম সম্পর্কে ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্যের অপরাধেই মহিলার এই করুণ পরিণতি।
তিন দিন পার হয়ে গেলো, কাজের ব্যস্ততায় ঢাকায় থেকেও বইমেলায় যেতে পারলাম না, মেজাজটা খারাপ ছিলো। তাই শুক্রবারে সকাল থেকে সাজ সাজ রব, বইমেলায় যাবো। নূপুর আর নিধি বিরাট এক সচল বাহিনীর সাথে পুরান ঢাকায় ঘুরতে গেছে। নিজের বউ নাই কী আর করা... পরের বউ নিয়েই মেলায় গেলাম... সঙ্গী রোয়েনা
কোথাও আজ বসন্ত, গাছে গাছে নতুন কুঁড়ি। শিসমহলে সূর্য-দীঘল পালা। সেখানে কৃষ্ণকলি জাগে। সেখানে গাঁথা হয় নাগচম্পার মালা। সেখানে তমালবনের ভিতর দিয়ে সবুজ রেলের গাড়ি চলছে চিকনঝিকন রোদ্দুরজাল ছিঁড়ে। কাছের গ্রামযমুনায় বাঁশি বাজে। সেখানে পাখিরা খুব ব্যস্ত নতুন নীড় বাঁধার কাজে।
জেমস জয়েসের প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘ডাবলিনার্স’। ১৯০৬ সালে বইটি প্রকাশকের কাছে পাঠালে প্রকাশক তা ফেরত পাঠিয়ে দেন। প্রকাশকের অভিযোগ, বইটি একই সঙ্গে অশ্লীল ও অশোভন ভাষা ব্যবহারে দুষ্ট। এর মাঝে আরো তিনবছর যায়। এ সময়ে প্রকাশক থেকে প্রকাশকের দপ্তরে ঘুরে বেড়ায় ‘ডাবলিনার্স’-এর পাণ্ডুলিপি। একদিন এক প্রকাশক উদ্যোগী হন। বইটি ছাপিয়ে ফেলেন। কিন্তু পরেই আবার তা নষ্ট করেন। কারণ, ওই একই অভিযোগ। পরে অবশ্য, এই প্রকাশকই
বাচ্চা বাজি বর্তমানে আফগান অঞ্চলের একটি ঘৃণ্য শিশু নিপীড়ণ প্রথা ; শিশু যৌন দাসত্ব ।
বাচ্চা বাজি একটি পশতুন/ফারসী শব্দ । সহজ বাংলায় ছেলে শিশুদের নিয়ে খেলা করা ।
।।এক।।
ছোটবেলায় আমার সবচেয়ে প্রিয় খবরের কাগজ ছিল ইত্তেফাক। বড়দের রাজনৈতিক আলোচনায় হয়তো "ইত্তেফাক" আর "সংবাদ" রেফারেন্স হিসাবে পাশাপাশি থাকত ("ইনকিলাব" আর "সংগ্রাম" বাদ দিয়ে, ওইগুলান ভিন্ন লাইনের), কিন্তু অনেক কিছুর বিচারেই ইত্তেফাক ছিল এক নম্বরঃ বেকারদের জন্য অজস্র চাকরির বিজ্ঞাপন, বাড়ি ভাড়া, বিদেশযাত্রার সংবাদ, বিবাহের খবর, দেশি বাংলা সিনেমার বিজ্ঞাপন (সেই আমলের সামাজিক-রোমান্টিক ছবি), আরও কত কী! কিন্তু আমার শৈশবের ইত্তেফাক প্রিয় হওয়ার একমাত্র কারণ ছিল 'টারজান'! সকালে স্কুলে যাওয়ার আগে টারজানের সেই তিনটা ব্লক পড়ার জন্য অধীর আগ্রহে পত্রিকাওয়ালার অপেক্ষায় বসে থাকতাম।
অনেকদিনের ভ্যাপসা গরম জীবনের রস-রূপ-স্বাদ-গন্ধ শুষে নিচ্ছিলো একেবারেই। তারপর সেদিন যখন দুপুর থেকেই আকাশ কালো হওয়া শুরু করলো তখন একটু স্বস্তি পেলাম। ঝড়ো বৃষ্টি না হোক, গরমটাকে তাড়াতে অন্তত একটু মাঝারি বৃষ্টিই হোকনা কেন? শেষমেশ সেই বৃষ্টি পড়ল অফিস থেকে বের হবার সময়ে। বৃষ্টিতে ভিজতে সবসময়েই ভালো লাগলেও সারাদিন অফিস করে রাস্তায় জমে থাকা কাদা পানি মাড়াতে হবে ভাবতে ভালো লাগে?
গোয়েন্দা ঝাকানাকা কমিকের আঁকার কাজ শেষ। রঙের কাজ শেষ পর্যায়ে। গত কয়েকদিন ধরে রং করতে করতে করতে করতে করতে করতে করতে করতে করতে করতে করতে করতে ... এত রংবাজির পর কি আর পোস্ট লেখা যায়?
আজকে আর একটা মুণ্ডু না, কয়েকটা দেখাতে চাই। কমিক বইয়ের লেআউট আর টুকিটাকি নিয়ে কিছু কথা বলি।