১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের কোন একদিন ২৪ বছরের যুবক স্বপন ভাগ্যাণ্বেষণে উড়াল দিল সৌদি আরব। তখনও ঢাকা জেদ্দা সরাসরি ফ্লাইট শুরু হয়নি। যেতে হ’ত করাচী হয়ে। জীবনের প্রথম বিমান যাত্রা ভয় মিশ্রিত এক ধরণের শিহরণে উপভোগ করতে করতে আর বারংবার বিমানের উঠতে নামতে ক্রুদের ঘোষণার প্রথম অংশটুকু (যা বলা বাহুল্য ছিল আরবী ভাষায়) ‘না বুইঝ্যা’ শুনতে শুনতে যুবক প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় নিজের কাছে, এ ভাষাটা শেখা চাই তার।
তখন ক্লাস নাইনে পড়ি। ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ছাত্র। ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে। সাধারণ গণিতে ৬৫ পেয়েছি। সব বিষয়ের মধ্যে সেটাই সর্বোচ্চ। উচ্চতর গণিতে কোনমতে পাস করেছিলাম শুধু। বাবা-মা দু’জনই মহা দুঃশ্চিন্তায়। এহেন অবস্থা থাকলে তো ছেলেকে এসএসসিতে স্টার মার্কস পাওয়ানো প্রায় অসম্ভব! কাজেই, আমার স্বল্প আয়ের বাবা আমাকে অংকের টিচারের কাছে প্রাইভেট পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। বাড়িভাড়া, ইলেকট্রিক-গ্যাসের বিল, স্কুলের বেতন- এসব দিয়ে মা’র হাতে সেসময় সর্বসাকুল্যে ৪০০০ টাকার মত থাকত- সারা মাস ৪ জনের এ পরিবারটিকে চালিয়ে নেয়ার জন্য। এর মধ্যে এখন যোগ হল ৮০০ টাকা- মানিক স্যারের মাইনে।
এইটা কি আদৌ কোন গল্প হইল কিনা- জানিনা। গল্প লেখার চেষ্টাও বোধ হয় করিনি। শব্দ নিয়ে কিছু খেলা করলাম মাত্র।
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
[justify]একটি ভাষা শুধু তার সংস্কৃতির পরিচায়কই নয় বলতে গেলে ভাষাকে ঘিরেই গড়ে উঠে সংস্কৃতির অবকাঠামো।মানুষের আচার অনুষ্ঠান, উৎসব, সামাজিকতা, চাল চলন, বিনোদন সেই অবকাঠামোটির একটা অবয়ব দেয় মাত্র।তাই ভাষার সমৃদ্ধতা যেমন সংস্কৃতিকে পরিপুষ্ট করে তেমনি ভাষার দৈন্যতা সাংস্কৃতিক দৈন্যতারই বহিপ্রকাশ।তবে বাংলাদেশে থেকে পহেলা বৈশাখে ছোটবেলায় বাবার সাথে সাতসকালে হালখাতা খেয়ে কিংবা যৌবনে রমনার বটমুলে এসো হে বৈশাখ গানের সাথে নববর্ষের সুর্যোদয় দেখে, বা পহেলা ফাল্গুনে বাসন্তি রঙের বসন পরে চারুকলার আশেপাশে ঘুরে বেড়িয়ে যে বাংলা সংস্কৃতিকে অনুভব করতে পারিনি তা পেরেছি এই সংস্কৃতির বেদি থেকে থেকে হাজার মাইল দূরে এস
প্রথমেই বলে রাখি, আমি শেয়ার ব্যবসা করি না - এ সম্পর্কে জানি খুবই কম। আরও জানার জন্য হা করে তাকিয়ে থাকি যে কখন এই লাইনে দক্ষ ও অভিজ্ঞরা কিছু লিখবেন। না পেয়ে নিজের কীবোর্ড চুলকানো শুরু করলো। আমি শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে প্রথম ধারণা পেয়েছিলাম টিভি সিরিয়াল পারফেক্ট স্ট্রেঞ্জারস থেকে - বলাই বাহুল্য আশেপাশে যা দেখি তার সাথে কোনো মিল খুঁজে পাই না এখন। তাও একটু বকবক করা ...
¬¬বিয়ারের গ্লাসটা নামিয়ে রেখে ইন্সপেক্টর জেন একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল, জগতের সেরা প্রতিভাগুলো মনে হয় এইভাবেই শেষ হয়ে যায়।রিচার্ডসন জেন সংক্ষেপে জেন নামেই ওকে আমরা ডাকি।কদিন ধরে ও এক নামকরা বিজ্ঞানী প্রফেসর রবার্ট বিল এর অন্তর্ধান রহস্যের তদন্ত চালাচ্ছিল। জেন মাত্র ২৫ বছর বয়সেই ইন্সপেক্টর হয়ে গেছে। এই পর্যন্ত প্রায় দুই ডজন চাঞ্চল্যকর কেসের সাফল্য ওকে এত তাড়াতাড়ি ইন্সপেক্টর পদে চুলে দিয়েছে। প্রতিবারই অসামান্য একেকটা কাহিনী বের হয়েছে ওর তদন্তে। সেগুলো শুনেও মজা। এবারও সে মজার গন্ধ পেয়ে আমি জাঁকিয়ে বসলাম। দুজনের জন্য দুই বোতল বিয়ারের অর্ডার চলে গেল রূপসী বারগার্ল এর কাছে। জেনকে বললাম, দেরী না করে
ঘুম ভাঙতেই ঘড়ির দিকে চোখ চলে গেল। বিকাল ৫টা। বাসার কাঠাল গাছটায় চড়ুইয়ের দল কিচির-মিচির করছে? শব্দ নাই কেন? আর আমার ঘরটাও তো এতো অন্ধকার থাকে না এই সময়। ফায়ার-ইঞ্জিনের সাইরেনের শব্দে ঘোর কাটে আমার। “আপনি আর স্বর্গে থাকেন না হাসান সাহেব”, বলি নিজেকেই। গতকাল ঘুমাতে পারি নাই। দুপুরে তাই বাসায় ফিরেই ঘুম। প্রফেসর দেশের বাইরে থাকায়, এই বিনোদনের সুযোগ পাওয়া গেল। কিছু লিখতে বসলামই যখন, প্রথম থেকেই শুরু করি।
দু'হাতে জড়িয়ে রাখি রেশমী সুতো,
লুকিয়ে রাখি টুকরো টুকরো গোলকাঁচ
ঝুড়িতে রাখি মন্ত্রপাথর ও সুষমাচার-
উড়ে পালাতে থাকা রশ্মিকণারা
পালাতে পালাতে অবিরল হাসে।
[justify]গান, অর্থাৎ সঙ্গীত। আহ! কী হৃদয়ব্যাঞ্জনাকর একটা বিষয়! কথা আর সুরের মায়াজালে আমাদের নিয়ে চলে সময় আর অনুভূতির সীমাহীন কল্পনার জগতে। এ নিয়ে আমার ছোটবেলা থেকেই ব্যাপক আগ্রহ। কিন্তু কেন জানি আমার কাছে সুরটাই বেশি ভালো লাগত। সেখানে গানের কথা কিংবা মর্ম বোঝাটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ছিলনা। আর তাই, স্বতস্ফুর্ত আবেগে এই বাজখাঁই গলার টোন টিউন না করে, কিংবা পরিবেশের আশু শব্দদূষণের সম্ভাবনার তোয়াক্কা না করে কেবলমাত্র লা-লা-লা অথবা উম-উম-উউউ করেই আমার সঙ্গীত চর্চা চালিয়ে যেতাম সারাদিন। আর একারণে প্রাণপণ চেষ্টায় এখন আগের শোনা অনেক গানের সুর মনে করতে পারলেও কথা স্মরণ করতে পারিনা। আমাদের একান্নবর্তী পরিবারের বাসায় তখন শুধু একটা রেডিও আর একটা ১৭ ইঞ্চি ফিলিপস্ টিভি ছিল। সেখানে ঐ সময় কেবল শুক্রবারে বাংলা ছিনেমা দেখাত আর সম্ভবত সোমবারে ছায়াছন্দ হত। তাছাড়া হিন্দী ন্যাশনাল চ্যানেল ধরত টিভিতে ডিশ না থাকলেও, বর্ডার এলাকায় গ্রামের বাড়ি থাকার সুবাদে। সেখানে কিছু গানের প্রোগ্রাম হত আলিফ লাইলার পাশাপাশি।
চিনুয়া আচেবেকে আফ্রিকান সাহিত্যের অগ্রপথিক গণ্য করা হয়। বাড়ি নাইজেরিয়া। প্রথম বই থিংস ফল অ্যাপার্ট-এর মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি পান। ১৯৯৪ সালে প্যারিস রিভিউ পত্রিকার জেরোমি ব্রুকস্-কে বড়োসড়ো একটা সাক্ষাৎকার দেন। সেখানে তিনি আফ্রিকার রাজনীতি, অর্থনীতি, সাহিত্য, নিজের বেড়ে ওঠা ও লেখালিখি নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। সচলায়তনে নতুন লেখকদের পদচারণা থাকায়, তাদের উপকারে লাগবে ভেবে আচেবে সাক্ষাৎকারের যে যে অংশে নিজের লেখালিখি, নতুনদের লেখালিখি ও তাদের করণীয় সম্পর্কে বলেছেন সেসবের অংশবিশেষ ভাষান্তর করা গেল। নিতান্ত দায়সারা চেষ্টা।