তুমি কি বুঝতে পারছো গতকাল এখানে এসেছিলাম আমরা, জায়গাটা চেনা চেনা লাগছে কি? হুম, আমি জানতাম তুমি বলবে একবার মনে হয় এসেছিলাম আবার মনে হয় না তো ঠিক এরকমই হবে সেই জায়গাটা। আসলে এরকমই হয়, প্রতি মুহূর্তে এখানে রূপ পাল্টায় সুন্দরবন। প্রকৃতির এই বিশাল সম্ভার কখনোই একেবারে পুরোপুরি মেলে দেয় না নিজেকে। তাছাড়া বনের পারিপার্শ্বিকতাও আমাদের দেখার চোখ আর মনকে প্রভাবিত করে। তাই চেনা জায়গাকেও আবার নতুন করে চিনতে হয়।
সময়ের প্রধান কবিদের একজন কবি বেলাল চৌধুরী। কবিতায় মাত করে রেখেছেন
এপার ওপার। কবিতার সাথেই যার ঘর সংসার। আপন আলোয় সাহিত্যাঙ্গন
সমুজ্জল করে রাখছেন দীর্ঘদিন ধরে। কবিতার বরপুত্র বেলাল চৌধুরীর সাথে
দৈনিক ফেনীর সময়’র পক্ষে রাশেদুল হাসান সম্প্রতি ঢাকায় তার নিজ
বাসভবনে সাহিত্যে নানা দিক নিয়ে আলাপরিচারিতায় মেতে ওঠেন। বাংলা
সাহিত্যের এ বরপুত্রের সাথে আলাপে কবিতাসহ সাহিত্যের নানা দিক
উঠে আসে। তারই আলাপচারীতার চুম্বক অংশ পত্রস্থ করা হল।
এসএসসি পাস করার আগে থেকেই আমি জানি আমাকে ঢাকায় পড়তে যেতে হবে। এমন না যে, আমি ঢাকা সম্পর্কে অনেক জানি, বা একবার বেড়াতে গিয়ে ঢাকার প্রেমে পড়ে গেছি। মূল ব্যাপার হল আমার ভাইয়েরা, কাজিনেরা ঢাকায় পড়াশোনা করে, এখন আমি যদি না যাই, সেটা প্রেস্টিজ ইস্যু। আমার নিজের সম্পর্কে যতই উচু ধারণা থাকুক, আমার বাড়িতে সবাই ভয় পাচ্ছিল, যদি নটরডেম বা ঢাকা কলেজে চান্স না পাই, তাহলে তো স্থানীয় কলেজের ফর্ম কিনে রাখা দরকার। তো মান-সম্মান রক্ষার তাগিদেই হোক আর যে কারণেই হোক চান্স পেয়ে গেলাম নটরডেমে। তারপর নয়ন আর মৃদুল সায়েস্তাগঞ্জ স্টেশনে গিয়ে আমাকে বিদায় দিয়ে আসল।
[justify]এই লেখাটি নগরায়ন বিষয়ক 'চল্লিশ বছরে বাংলাদেশের অর্জন ও পঞ্চাশ বছরের পরিকল্পনা' শীর্ষক থিমের উপর ভিত্তি করে গত ৩ জানুয়ারী ২০১১ তে দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত হয়েছে। সচলায়তনের নীতিমালা মেনে লেখাটিকে প্রথম পাতায় প্রকাশ করিনি তবে পরবর্তীতে তথ্যসুত্র হিসেবে কাজে লাগতে পারে বলে নিজস্ব ব্লগে রেখে দিলাম।
- সালেক খোকন
আরিফ সাহেবের দুই মেয়ে, এক ছেলে। ছেলে পড়ে ক্লাস সেভেনে। পেশায় একজন সরকারী চাকুরে। থাকেন মোহাম্মদপুরে। আয় একেবারে সীমিত। তা দিয়ে বাড়ী ভাড়া আর ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার খরচ চালানো কষ্টকর। প্রতিমাসেই ধার কর্জ করে চলতে হয়। সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে হরহামেশাই ফেলেন দীর্ঘশ্বাস। এরই মধ্যে দেখা দেয় হার্টের রোগ। রোগের কথা শুনেই আরিফ সাহেব যেন আরো ভেঙ্গে ...
- সালেক খোকন
বেড়ানোর সুশীল জায়গাগুলোতে অরুচি ধরে গেছে। কক্সবাজার, রাঙামাটি বান্দরবান, সেন্টমার্টিনের কথা শুনলেই গা গুলায়। এত এত মানুষের ভীড় যেন বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছি। যুতসই জায়গা খোঁজার জন্য গুগল আর্থের সহায়তা নিলাম। চট্টগ্রামের আশেপাশে হাতের নাগালে মানুষ যেখানে যায় না সেরকম অজনপ্রিয় একটা গন্তব্যের জন্য খোঁজ দ্য সার্চ লাগিয়ে প্রায় ঘরের কাছেই ৫০ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে পছন্দ করে ফেললাম ...
এই ভোরে কী যে ঠাণ্ডা লাগে, হাড় পর্যন্ত জুড়িয়ে যায়। একটু পরই হাঁটুসমান কাদাপানিতে নামতে হবে ভেবেই কি তোমার উপর শীত আরো জেঁকে বসছে? ট্যুর কোম্পানির পাতলা চাদরটা অনেক আপন ভেবে আরেকটু জড়িয়ে নিলেও তরুণ ফটোগ্রাফারদের জ্বালায় একটু দেরি করে উঠবে সে উপায় তো নেই, দরজায় টোকা “বস্, ছয়টা বেজে গেছে”, গলাটা আখলাসের, ওকে চেনো?
(নিচের লেখাটি বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগে সদ্য ভর্তিকৃত এক অথর্ব ছাত্রের প্রেক্ষাপট হইতে রচিত হইলেও, দেশের যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোন বিভাগের ঈদৃশ ছাত্রগণ তাহাদের নিজেদের এইখানে সম্যকরুপে খুঁজিয়া পাইবার অবকাশ রহিয়াছে)
মনেতে অতিশয় ইচ্ছা আছিল জগদ্বিখ্যাত যন্ত্রকৌশলী হইয়া সংসারতন্ত্র, মন্ত্রমুগ্ধ করিয়া রাখিব। উচ্চমার্গীয় রকেট বানাইয়া, উহার পুচ্ছদেশে এক গুচ্ছ আগুন ধরাইয় ...
অন্ধকার আকাশকে চমকে দিয়ে মুঠো মুঠো সোনালী ফুলের মতন তুবড়ি আর তুবড়ি। কতগুলো মস্ত মস্ত রঙীন ফানুস ভাসতে ভাসতে যাচ্ছে। বর্ষবরণ ২০১১। বছর আর দশক দুই ই শেষ হয়ে এলো। আজই শেষ রাত। কাল পহেলা জানুয়ারীর ভোর নতুন সালে।
নিজেকে পুরানো মনে হয়। কত স্মৃতি জমে গেছে মনে! এই না সেদিন ১৯৯৯ ছিলো? এই না সেই ওয়াইটুকে প্রবলেম নিয়ে লোকের কী কাঁপাকাঁপি? নাকি যেই না সালের ঘরে ০০ হয়ে যাবে অমনি দুনিয়ার তাব ...
হন্তদন্ত হয়ে বাসায় ঢুকেই রুমে চলে এলেন মিজান ভাই। সাথে এক অপরিচিত লোক, প্রায় মিজান ভাই এর সমবয়সী। আমি তখন তিন ছিদ্রের চৌবাচ্চা পানি ভর্তি করতে ব্যস্ত অংকের খাতায়। আম্মু রান্নাঘরে। আব্বু অফিসে গেছে আগেই। এখন বাজে প্রায় এগারটা। ছুটে এসেই ফিসফিস করে মিজান ভাই আমাকে বললেন তোমার ইংরেজি গ্রামার বই কোথায়? তাড়াতাড়ি দাও। আমি কিছু না বুঝে ছিদ্র বন্ধ না করেই ছুটলাম বই এর তাক এর দিকে। এদিক ...