Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

সববয়সী

এখন সময় নেই কারো

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ আখতারুজ্জামান (তারিখ: সোম, ১৫/১১/২০১০ - ১২:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এখন সময় নেই কারো
ইঁদুর-দৌড় ধাওয়া করে খুলির ভেতরে
দরজায় কড়া নাড়ো
আমরা ঘরে নেই কেউ
জেগে ওঠে আনসারিং মেশিন
অথবা কুকুরের ঘেউ ভাঙে নিস্তব্ধতা
এ যাত্রা মেসেজ রেখে যাও
দারুন আকাল আজ হৃদয়ের ভেতর-বাহির!

আমার এখানে এখনো মাঘের শীত আর
মাথার ওপর বিস্ফোরিত মহাকাশ
ধুমেকতু ভাঙে হঠাত তমসা
বিমানের প্রোপেলার ভাঙে মেঘের বিন্যাস
ভাঙা চাঁদ আধখানা জেগে ওঠে মাঠের কিনারে
অগাধ সময় সজাগ এখানে
প্র ...


ক্লান্তি, স্মৃতি, বিচ্ছিন্ন ভাবনা

নির্জন স্বাক্ষর এর ছবি
লিখেছেন নির্জন স্বাক্ষর [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১৫/১১/২০১০ - ২:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাসা থেকে খেলার মাঠটা বেশি দূরে না। শুধু মাঝে কিছু ঘিঞ্জি গলি পেরুতে হয়। সন্ধ্যা হলেই গলির মুখে কুপি জ্বালিয়ে পসরা সাজিয়ে বসে নানা কিসিমের দোকানদার। গাড়ি ঢুকবেনা, তাই রিকশাই ভরসা এই গলিতে। প্রতি সন্ধ্যায় রিকশার নিচে হারিকেন জ্বালিয়ে টুংটাং শব্দ তোলে কোনো এক বাড়ি থেকে ভেসে আসা বাচ্চার কান্নার সাথে পাল্লা দিয়ে।

গলির মোড়ে গত কদিন ধরে নষ্ট হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা জীর্ণ ল্যাম্প পোস্ট আ ...


বেড়াল-শার্ল বোদলেয়ার 'ভূমিকা ও অনুবাদ'

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৫/১১/২০১০ - ২:১৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কারো স্পর্শকাতরতাকে দাম দিয়ো না। প্রত্যেক মানুষের স্পর্শকাতরতাই তার প্রতিভা।
- শার্লবোদলেয়ার

বোদলেয়ার এর সাথে আমার (আর সম্ভবত বাংলাভাষী অনেকের) প্রথম পরিচয় বুদ্ধদেব বসুর অনুবাদে les flour du mal (the flower of evil) এর সেই প্রায় অতিলৌকিক কবিতাগুলোর মাধ্যমে। বুদ্ধদেবের ভূমিকার কল্যাণে ততোদিনে কিছুটা জানি প্রায় দেড়শ বছর প্রাচীন এই কবিকে , কিছুটা তার অন্তরঙ্গ দিনলিপি 'জরুরি সব দিন' পড়ে আর কি ...


এসো তবে ব্লক কাটাই

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি
লিখেছেন পান্থ রহমান রেজা (তারিখ: রবি, ১৪/১১/২০১০ - ৯:৪১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্পাইডারম্যান ও আমার দুই বোনঝি
আমাদের ঠাকুরমার ঝুলি ছিল। ডালিমকুমার ছিল। সুয়োরাণী দুয়োরাণী ছিল। কাঁকনমালা কাঞ্চনমালা ছিল। আর ছিল অজস্র ভূত-প্রেত, দেও-দানো। বাড়ির পাশেই গোরস্থান। দশ মিনিটের হাঁটা পথ। ভয়ে ও পথ মাড়াতাম না। শ্মশানও ছিল একটা। বেশ দূরে। ছোটবেলায় যাওয়া হয় নি কখনো। তবে, গ্রাম থেকে বেরিয়ে যে রাস্তা চলে গেছে থানা সদরের দিকে, সে পথে একটা আমগাছ ছিল। পুরোনো। ঝাঁকড়া। সবাই ...


আড়াল

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ আখতারুজ্জামান (তারিখ: শনি, ১৩/১১/২০১০ - ৭:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একা একা বেসামাল হাঁটা আর ভালো লাগেনা
মন তুই ফিরে আয়, চল যাই শেকড়-বাড়ি
নাটকের দৃশ্যপট খাপছাড়া লাগছে কেন?
বলতে পারিস কিছু? টু ওয়ান ক্যামেরা রোলিং...
মেঘের আড়াল থেকে পার হলো কত পূণিমা?
কত বসন্তের পাতা ঝরে গেছে তুমুল শীতে?
পৃথিবীর সব কালি শেষ হয় হিসেব কষে
ষাটের দশকে বড় আধ্যাত্মিক হয় জীবন
হিসেব মেলে না কিছুতেই - অংক জটিল

আমাদের সেই ভালো বেহিসেব ডাংগুলি খেলা
দর কষাকষি নাই, চোখে নেই মোটা ...


ইটিং অ্যানিমেলস্

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: শনি, ১৩/১১/২০১০ - ৬:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জোনাথন ফোয়ারের ইটিং অ্যানিমেলস্‌ বইটা পড়ে কিছুটা ভাবনায় পড়ি। এই ভাবনায় আগেও অনেকবার পড়েছি। গান্ধীর আত্মজীবনী পড়ার সময়। প্রাণিক্লেশ নিবারণী সংস্থার নানা পামফ্‌লিট হাতে আসলে সেখানে মুরগীর ছানার অপার্থিব সুন্দর ছবি দেখে কাতর হয়েছি অনেকবার। কিছুদিন মাংস খাওয়া বাদ দেয়ার চেষ্টার পরে জিভের টানে আবার ফিরে গেছি ইটিং অ্যানিমেলস্ স্বভাবে। আমার নিজের দ ...


গরম পৃথিবীতে আমরা

পাগল মন এর ছবি
লিখেছেন পাগল মন [অতিথি] (তারিখ: শনি, ১৩/১১/২০১০ - ৬:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ থেকে পঞ্চাশ- একশ বছর পরে কি হবে সেটা কি আমরা বলতে পারি? সহজ কথায় এর উত্তর হবে না, পারি না। কিন্তু যদি বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখি তাহলে আমরা একটা ধারণা করতে পারি যে কি হতে পারে। কলেজে থাকতে “ওয়াটার ওয়ার্ল্ড” ছবিটা দেখেছিলাম। ছবিটা বেশ ভালো। সেখানে পৃথিবীর বেশিরভাগ অংশ ডুবে গেছে, অল্প কিছু মানুষ বেঁচে আছে, কিন্তু তারাও নিজেদের মধ্যে মারামারি কাটাকাটি করছে বেঁচে থাকার জন্য। ম ...


হাতের মুঠিতে আমার অনেক অন্ধকার

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ আখতারুজ্জামান (তারিখ: শুক্র, ১২/১১/২০১০ - ১১:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এভাবেই সাক্ষী হয় সময়! তখন সন্ধ্যার সময় হয়েছে বলা যায় গোধূলী পেরিয়ে সবকিছু নিভে গেছে তখন বৃষ্টির পালা শেষ হয় হয় তখন হাতের মুঠিতে আমার একটা কদম নিস্তেজ সবুজ কিছু ডালপালা আরো হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত তবু পথের অনেক বাকি... যখন পথটা হঠাত থমকে দাঁড়ালো তখন তোমার বাড়িতে এতো উৎসব জ্বলে নেভে বাড়িতে সানাইয়ের এতো সুর! আমার অনেক অনেক দেরি হয়ে গেছে... তখন হাতের মুঠিতে আমার অনেক অন্ধকার


কৌটোর গুণ

সুরঞ্জনা এর ছবি
লিখেছেন সুরঞ্জনা (তারিখ: শুক্র, ১২/১১/২০১০ - ৯:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের শহরে মায়েদের রান্নাঘরে থাক থাক তাক।
সেই তাকে রঙিন সুগন্ধী সারি সারি কৌটোয় মায়েরা তাদের মেয়েদের তুলে রাখেন।
 
সবার কৌটো মাপ মতো। সবার মনেই ভালবাসা, সবার মুখাবয়ব করুণাময়ীর।
তাহলেও...
কৌটো কেন?
কেউ হয়তো জিজ্ঞাসা করেন।
দেয়া-নেওয়ায় ভারী সুবিধে, আর বাসিও হয় না। প্রসন্ন জননীর সহাস্য উত্তর।
 
এই বাড়ির মা আজকে মেয়ে কে কৌটোয় তুলতে গিয়ে বার বার হেনস্তা হচ্ছেন।
...


বহিরাগত

নীল রোদ্দুর এর ছবি
লিখেছেন নীল রোদ্দুর [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১২/১১/২০১০ - ৯:৩২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সারভাইভাল অফ দ্য ফিটেস্ট! এই নিদারুন সত্যটা মনে হলেই একটা হতাশাজনক অনুভূতির মুখোমুখি পড়ে যায় অরনী। একটা ভয়ঙ্কর তিতকূটে স্বাদে ভরে যায় সমস্ত মন। ছাব্বিশটা বছরেও একবারও অরনীর মনে হয়নি, সে এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার যোগ্য। মনে মনে খুব বেশী হিংসে হয় রাসেলকে। সেই ছোট্টবেলায় বন্ধুটা তাকে ফেলে চলে গেলো পরপারে, তার ছোট্টমনে একটা ধাক্কা দিয়ে। সেদিন রাসেল সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে পরপারের ...