Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

সববয়সী

নক্ষত্রের সন্তান রুবিন

বাহাউদ্দীন এর ছবি
লিখেছেন বাহাউদ্দীন [অতিথি] (তারিখ: শনি, ৩১/১২/২০১৬ - ৭:২৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বেশ বড় খোলা একটা জানালা, উত্তরমুখী। প্রতিরাতে এই জানালা ধরে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে মেয়েটি। বয়স আর কত, এই শ্রাবণেই দশ পুরো হল। কিন্তু রোজকার আগন্তুক নক্ষত্রগুলোকে দেখে দেখে তার মনে হয়- কতযুগ ধরেই না এ নক্ষত্রগুলোকে বুঝি সে চেনে! কি রহস্যময় আর গভীর এদের সাথে তার বহু শতাব্দীর পরিচয় !

মেয়টির নাম ভেরা রুবিন, জন্মেছিলো জুলাই ২৩, ১৯২৮ সালে পেন্সিল্ভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়াতে। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই দূর আকাশের নক্ষত্র-বন্ধুদেরকে আরেকটু কাছে, আরেকটু আপন করে পাবার জন্য একটা টেলিস্কোপ বানিয়ে বসে সে। বাবা একাজে সাহায্য করলেও ছোট্ট রুবিনের মহাকাশের প্রতি আগ্রহের বিষয়টা শুরুতে অনেকেই ভালোভাবে নেয়নি। হাইস্কুল পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক থেকে শুরু করে কলেজের এডমিশন অফিসার, সবাই রুবিনকে বলেছিলো পড়াশোনার জন্য জ্যোতির্বিজ্ঞানের বদলে আরেকটু 'ভালো' আর 'প্রচলিত' কোন বিষয় বেছে নিতে। কিন্তু যে মানুষ ততদিনে অসীম মহাশূণ্যের গোপন রত্নভান্ডার আর তার বিপুল ঐশ্বর্যের হাতছানিটুকুকে দেখে ফেলেছে, তাকে কি আর মাটির পৃথিবীর ক্ষুদ্রতা দিয়ে আটকে রাখা সম্ভব?

রুবিনকেও আটকানো যায় নি!


চাকতি জগতঃ জাদুর রঙ

শিশিরকণা এর ছবি
লিখেছেন শিশিরকণা (তারিখ: বুধ, ২৮/১২/২০১৬ - ৬:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সম্প্রতি টেরি প্র্যাচেটের ডিস্কওয়ার্ল্ড পড়া ধরেছি। এবং আকন্ঠ মুগ্ধতায় ডুবে গেছি। স্বভাবদোষ হলো যে কোন লেখা খুব ভালো লাগলে অনুবাদ করে ফেলতে ইচ্ছা করে। প্র্যাচেটের লেখা অনুবাদ করার মত দুঃসাহস এবং বেকুবি মাফ করবেন। স্রেফ মুগ্ধ ভক্তের বালখিল্যতা হিসেবে নিলেই স্বস্তি পাবো। একদম ক্রম মেনে প্রথম থেকে শুরু করেছি। তাই Color of Magic দিয়েই প্রথম অনুবাদ।


শেষ বাতিঘর--

অনিকেত এর ছবি
লিখেছেন অনিকেত (তারিখ: শুক্র, ২৩/১২/২০১৬ - ১২:৩৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মানুষের বয়েস বাড়ার সাথে সাথে অনেক কিছু পাল্টে যায়---দেখার চোখ, শোনার কান, বোঝার মন। ছোটবেলায় দেখা, শোনা, জানা বোঝা অনেক জিনিস বড় বেলায় আর কাজ করে না। অনেকের কাছে এই পরিবর্তনটা হয়ত আনন্দজনক---আমার কাছে একেবারেই নয়। আমি এক অনিচ্ছুক কিশোর যাকে টেনে হিঁচড়ে বড় করে দেওয়া হয়েছে। আমার শরীর, আমার মস্তিষ্ক সেই টানা-হেঁচড়ায় পরাভুত হয়ে এখন বুড়ো হতে চলল---কিন্তু মনের গহীন প্রকোষ্ঠে এখনো এক চৌদ্দ বছরের কিশোর মা


পাবলো নেরুদার দুটি কবিতা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২১/১২/২০১৬ - ৭:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অরণ্যে নিখোঁজ

অরণ্যে নিখোঁজ, কালচে শাখাটি ভেঙ্গে
তৃষ্ণার্ত ঠোঁটে তুলে নিলে তার ফিসফাস,
শোনা যায় বৃষ্টি-রোদন মেঘের কণ্ঠ,
বোবা ঘণ্টার গান, আহত মনের দীর্ঘশ্বাস।

বহুদূর হতে পৃথিবীর পথে
উন্মেষের এই আর্তি তার নিগূঢ় গোপনে,
পল্লবের ছায়াতে হার মানে যেন
আধ-ভেজা ধূসরতার তীব্র শরতে।

ধীর জাগরণে টুটে গেলে সেই অরণ্য-স্বপন,
শাখাটির গান ঠোঁটে শিষ হয়ে আসে,
ঘোর লাগে মনে- তীক্ষ্ণ সুবাসে।


ক্ষুদ্র ডিটেইল্গুলি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২১/১২/২০১৬ - ৭:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটা সময় চলে আসে যখন আর বড় বড় বিষয়গুলি চোখে-মুখে কিংবা স্মৃতিতে লেগে থাকে না। খুব ছোট অ/দরকারি ডিটেইলসগুলি কিভাবে যেন রয়ে যায়।


একজন "ব্যতিক্রমী সেক্টর কমান্ডার"

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: সোম, ১৯/১২/২০১৬ - ৩:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আসুন এ বছর বিজয় দিবসে 'প্রথম আলো'র ব্যতিক্রমী উপহার থেকে ছোট্ট এক টুকরো পড়ি।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কাল রাতে জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একজন মেজর। সে রাতে চট্টগ্রাম বন্দরে অস্ত্র খালাসরত পাকিস্তানি এক জেনারেলের কাছে তাঁকে পাঠানো হচ্ছিল। পরিকল্পনা ছিল তাঁকে ‘গ্রেপ্তার বা হত্যা’ করার (গোলাম মুরশিদ, মুক্তিযুদ্ধ ও তারপর: একটি নির্দলীয় ইতিহাস)। পথিমধ্যে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের সংবাদ শোনামাত্র বিদ্রোহের সিদ্ধান্ত নেন। চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ফিরে এসে তাঁর কমান্ডিং অফিসারসহ অন্যান্য পাকিস্তানি অফিসার ও সৈন্যকে বন্দী করেন। পরদিন তিনি প্রাণভয়ে পলায়নপর মানুষকে থামিয়ে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার উদ্দীপনাময় ভাষণ দিতে শুরু করেন (বেলাল মোহাম্মদ, স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র)। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি বেতারে নিজ কণ্ঠে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।


রবিশংকর ও জর্জ হ্যারিসনের 'কনসার্ট ফর বাংলাদেশ' এবং একজন জোয়ান বায়েজ

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: শনি, ১০/১২/২০১৬ - ১২:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাত্র ৯৯ মিনিট দৈর্ঘ্যের একটি ডকুমেন্টারি। শুরুর মিনিট থেকে শেষ মিনিট পর্যন্ত চোখের পাতা অপলক ছিল, হৃদস্পন্দনের গতি কত বেড়েছিল হিসেব রাখিনি, তবে নিঃশ্বাস প্রায়ই আটকে রাখতে চাইছিলাম তার নড়াচড়ায় যদি ওই সময়ের কোন দৃশ্য বা শব্দ বাদ পড়ে!


ব্লেড হ্রদের ধারে

জীবনযুদ্ধ এর ছবি
লিখেছেন জীবনযুদ্ধ [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৭/১২/২০১৬ - ৩:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]পূর্ব ইউরোপের অধিকাংশ দূরপাল্লার ট্রেনেই বসবার স্থানগুলো থাকে কূপের ভেতরে, একেকটি কূপে ছ জনের বসবার ব্যবস্থা। ব্যাপারটি বেশ উপভোগ্য হয়ে ওঠে যখন দেখা যায় সেই কূপে যাত্রী আছে এক কী দু জন। এযাবৎ আমার কূপভাগ্য বেশ ভালই বলতে হবে, কারণ এখন পর্যন্ত যতবারই এমন কূপে উঠেছি পেয়েছি যতসামান্য যাত্রী। আর যাদেরকেও পেয়েছি তাদের সাথে আলাপ জ


সুলেমানী প্যাঁচে বোকা বাক্স

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৪/১২/২০১৬ - ৫:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]বাংলাদেশে টেলিভিশন মোটামুটিভাবে একটি একমুখী মাধ্যম। এখানে টেলিভিশন চ্যানেলরা তাদের সুবিধা-পছন্দ-পরিকল্পনা মতো নানা প্রকার অনুষ্ঠান, নিজেদের মতামত-দর্শন, স্পনসর-বিজ্ঞাপনদাতা-ক্ষমতাধরদের ইচ্ছামাফিক ছাঁচে ঢালা নানা অনুষ্ঠান প্রচার করে; নিজেদের লোকজনকে প্রমোট করে। সেখানে দর্শক-শ্রোতারা সেগুলো পছন্দ করলেন নাকি অপছন্দ করলেন, অনুষ্ঠানসম্পর্কে তাদের মতামত কি – এমনসব ফিডব্যাক নেবার কোন ব্যবস্থা নে