আমি একটা টিয়া পাখি
আকাশলীনা নিধি
টেবিলে বসে আমরা সবাই খাচ্ছি। এমন সময় আপু বলল 'কার কী হতে ইচ্ছে করে'। ভাইয়া বলল ডাক্তার। মা বলল টিচার। বাবা বলল লেখক, আপু বলল নায়িকা। আমি বললাম পাখি। সবাই আমার দিকে তাকাল। ভাইয়া বলল তুই পাখি হবি। আমি বললাম হ্যাঁ। আর কেউ কিছু বলল না।
দ্বিতীয় দিন
“বাবা ওটা কী ছিল?”
"কোনটা অমিয়?”
“ওই যে যেটা আমি দেখলাম”
“কী দেখেছ অমিয় সোনা”
“ওই যে যেটা চলে গেলো!”
অমিয়র তখন আড়াই বছর। সারাদিন তুরতুর করে কথা বলে। এটা সেটা, কত কথা, কত জিজ্ঞাসা! আর বলেও খুব পরিষ্কার, আধো আধো বুলি ওর মুখে শুনিনি কোন দিন। কথা শেখার সময় ছেলেটা আমার কাছে ছিলোনা। ওর যখন চোদ্দ মাস, আমার স্ত্রী একদিন বলল,
[justify]সিয়েরা নেভাডা পর্বতের গা বেয়ে এঁকে-বেঁকে চলা দু লেনের এক সরু পিচ ঢালা পথ কামড়ে ধরে ঘণ্টায় মাত্র পনের কিলোমিটার বেগে এগিয়ে চলেছে একটি পুরনো মডেলের সাদা হোন্ডা গাড়ি। গাড়িটির চালক আমি নই, তেমনটি হলে বিশ বছরের পুরনো এই গাড়িটি নিয়ে প্রায় ত্রিশ ডিগ্রী হেলে থাকা পাহাড়ি এই পথে উপরে না উঠে হয়তোবা বাঁ পাশের খ
প্রশ্নটিও সহজ, আর উত্তরও তো জানা........তবু আবার একটু চোখ বুলাই।
যদি বলি আপনার সহস্র নাম্বার পূর্বপুরুষটি সত্তর হাজার বছর আগে আফ্রিকার কোন জঙ্গলাকীর্ণ পর্বতের ঢালুতে বসে একটা আধপাকা কলা ভক্ষণ শেষে কলা ছিলকার উপর হাতের আঙুলগুলো রেখে অবাক হয়ে দেখছে –আরে এই ছিলকায়ও দেখি আমার হাতের আঙুলের সমান টুকরা! হাউ ফানি! অংক আবিষ্কারের এই ভুজুংভাজুং কেচ্ছা কি বিশ্বাস করবেন? না করলেও সমস্যা নাই। কিন্তু কল্পনাটি অসম্ভব কিছু না। প্রাগৈতিহাসিক কালের কোন আদম হয়তো ওই ভাবেই প্রথম গুনতে শিখেছিল যার অসংখ্য বিবর্তনের ফসল হিসেবে ৭০ হাজার বছর পরে আপনি কম্পিউটারে খুটখাট করার দুর্লভ সুযোগ সুলভে ভোগ করছেন।
জুন ৫ , লে। রাত ৯ টা ৪৫
দূরে ধুসর পাহাড়, নীল আকাশ, দিগন্ত বিস্তৃত নীল জলরাশি। আমির খান খেলনা এরোপ্লেন ওড়াচ্ছেন আকাশে। সঙ্গে একরাশ কচিকাচা। ক্লোজ শটে করিনা এগিয়ে আসছেন একটা পুরোনো স্কুটার চড়ে।পরনে কনের বেশ। ব্যাকগ্রাউন্ডে নীল অতল জলরাশি ।
যদি ভাবো, কিনছো আমায় ঠিক ভেবেছ--
কেনা যায় আমায় এখন যখন তখন
আপোষের পাপোষে ঘুমাই ইচ্ছা মতন !
যদি ভাবো, গোলাম তোমার, ঠিক ভেবেছ
মেনে যাই সকল কথা যথা তথা
মুখে হাসি-- যদিও বুকে বাজছে ব্যথা ।
যদি ভাবো, দেশটা তোমার, ঠিক ভেবেছ
তাড়িয়ে খেদিয়ে বেড়াবে তোমরা যখন ইচ্ছে
পুড়ছি আমি, দাঁড়িয়ে সকলেই মজা নিচ্ছে ।
যদি ভাবো, ভাঙ্গবে মূর্ত্তি, ঠিক ভেবেছ
মন্দিরে আর মূর্ত্তিতে বল কি যায় আসে
আমরা যে নারীপুরুষ সম অধিকারের কথা বলি, সাম্যাবস্থার কথা বলি নারী পুরুষ উভয়ের জন্যই যা অপরিহার্য, সেই সকলের জন্য সমান পৃথিবী তৈরির কথা বলার সময় আমরা সকলের মধ্যে মায়েদেরকে গোনায় ধরি না। বংশবিস্তারের জন্য নারীর জরায়ু ছাড়া আর কোন বিকল্প ব্যবস্থা যতদিন পর্যন্ত না আবিষ্কার হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত মাতৃত্ব নারীর জীবনের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে থাকবে। তাই নারীমুক্তির কথা মুখে বলে মাতৃত্বকে আলাদা পাল্লায় মাপলে
মার্কিন অন্য রাষ্ট্রপতিদের মত বারাক ওবামাকেও ইসরায়েল আর তার সাথে মার্কিন ইহুদি লবির আশীর্বাদ সাথে নিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হতে হয়েছে। তাই আগের রাষ্ট্রপতি জর্জ বুশের চাইতে উদারপন্থী হিসেবে পরিচিতি থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল আর ইহুদি লবির ধারণা ছিল ওবামা বুশের মত না হলেও ইসরায়েলের স্বার্থ রক্ষা করবেন। ঘোট পাকে যখন ওবামা ২০০৯ সালে মধ্যপ্রাচ্য সফর করেন। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কয়েকটি দেশ ওবামার সফরের তালিকায় থাকলেও বাদ পরে আমেরিকার ঘনিষ্ঠ মিত্র ঈসরায়েল। ব্যাপারটি ভালভাবে নিতে পারেনি ঈসরায়েলের সে সময়কার রক্ষণশীল প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মূলত তখন থেকেই ওবামার সাথে নেতানিয়াহুর টানাপোড়েনেটা শুরু হয়। এই টানাপোড়েনটা আরো খারাপ দিকে যায় যখন ২০১৫ সালে নেতানিয়াহু মার্কিন সিনেটে বক্তৃতা করতে এসে ওবামার সাথে দেখা না করে ফেরত যান। তার উপর ওবামা তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের শুরু থেকেই বলে আসছেন যে তিনি ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন দ্বন্দের দুই-দেশ সমাধানে বিশ্বাসী যেটি ভালভাবে নেয়নি নেতানিয়াহুর মত রক্ষণশীল ইসরায়েলি নেতারা।
অক্টোবর স্তন ক্যান্সার সচেতনতার মাস। গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় দেখলাম "সূত্র: ইন্টারনেট" থেকে যে যা পারছে তুলে দিচ্ছে, এবং স্তন ক্যান্সার নিয়ে বাংলায় একটি অশ্লীল সুড়সুড়িপূর্ণ নিম্নরুচির বিজ্ঞাপনও দেখলাম (সেই বিজ্ঞাপনটি নিয়ে বেশি কথা বলতে চাই না, স্তন ক্যান্সারের মত একটি অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় নিয়ে কেউ এরকম ইতরামি করতে পারে সেটা বিশ্বাস করতে খুবই কষ্ট হচ্ছিলো।) এবং অনেক জায়গায় দেখলাম নিজে নিজে স
ওহাব ভাই জ্ঞানী লোক এবং ওজনদার লোক। আমাদের আড্ডার দু’টো বেঞ্চের একটা সম্পূর্ণ তার জন্যই বরাদ্দ থাকে। কারণ ঐ যে বললাম ওজনদার লোক, তার বিশাল বপুর জন্য একটা গোটা বেঞ্চিও কম পড়ে যায়। তার ওজন যে কত সেটা বলা মুশকিল। একবার একটা ছোটখাটো ওজন মাপার মেশিনে দাঁড়িয়ে বললেন “দেখতো দেখি কত বলছে?” ঢাউস ভুঁড়িটার জন্য নিজে যে ঝুঁকে দেখবেন সে উপায় নেই। আমরাই ঘাড় নিচু করে দেখতে চেষ্টা করি, কিন্তু কাঁটাটা একেবারে শেষ