১.
মাঝে মাঝে আমার দুপুরগুলো আটকে যেত। শুধু আমার না, আমাদের সবারই। হয়তো টেনিস বলটা হারিয়ে গেছে, টেপির বাড়ির পেয়ারাগুলোও শেষ। কিছুই করার পাচ্ছি না। রোদ-বৃষ্টি তো গায়ে মাখিনি কখনো। লাগতো না। তারপরও এইসব দামাল ছেলেরাই দুপুর জালে আটকা পড়তাম। আটকা পড়লে বুঝি কথা বলাও মানা। পাঁচিল ঘেঁষা সুপারি গাছে হেলান দিয়ে, নিয়ামুল ভাইদের ছাদ থেকে উঁকি দেওয়া, ডালিয়ার সারি দেখতাম। মাঝে মাঝে এক পশলা ব...
লালচে পাড়ের সফেদ শাড়ি,
রাস্তা জুড়ে ঘোড়ার গাড়ি,
ফুটপাথে বই, মন্ডা, মেঠাই,
চরকি, বাঁশি, আখ-
পাঞ্জাবিতে নবীন সাজে,
ভোরের আলোয় প্রবীন সাঁঝে,
নতুন দিনের বার্তা আনে
পহেলা বৈশাখ।
খুশীর পরশ সবার মনে,
বাংলা বছর বদল-ক্ষণে,
সবার মুখেই হাসির আভায়
দুঃখ আড়াল খোঁজে-
সবাই জানে সুখের মানে,
তাই মাতে বেশ প্রাণের গানে,
অন্তবিহীন আনন্দে মন
আশার বাণী বোঝে।
মন ছুটে যায় বটমূলে,
প্রাণ মাতানো গানের কূল...
রবীন্দ্রনাথের আশি বছরের জীবনে প্রথম চল্লিশ বছর কোন জন্মজয়ন্তি জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন হয়নি। জীবনের প্রথমদিকে জন্মদিন নিয়ে কবির তেমন উৎসাহও ছিল না; তাই সে সব জন্মদিনের স্মৃতি কবিচিত্তকে তেমনভাবে আলোড়িত করতে পারেনি। মূলত চল্লিশ বছরের পর থেকেই বেশ আড়ম্বড়ার সঙ্গে কবিগুরুর জন্মজয়ন্তি পালন শুরু হয়। রবীন্দ্রনাথ নিজেও তাঁর জন্মজয়ন্তিতে অনেক ভাষণ দিয়েছেন, অনেক কবিতা লিখেছেন।
১৩...
শেষ হলো ২৪ দিনের ট্রেনিং। প্রথমে যখন যেতে হবে শুনলাম, আমার মন খারাপ হয়ে গিয়েছিলো। অতোদিন? কাছের মানুষদের ছেড়ে অতো দীর্ঘ সময় থাকা হয়নি কোথাও। আর আমি এমনিতেই একটু হোমসিক আছি। কিন্তু যখন শুনলাম, শিলু'পা যাবে। তখন মনে হলো, ওকে, লেটস ডু ইট। শিলু'পাকে আমি খুবই পছন্দ করি। আমার চেনাজানা যে ক’জন সুখি মানুষ দেখি, তাদের মধ্যে শিলু’পা একজন। ”সুখে আছি, সেই কথা কি ঢোল পিটিয়ে বলতে হয়? সুখে থাকলে চো...
[justify]
আমার নানাভাই যৌবনে বেশ রাশভারি মানুষ ছিলেন। মোটা কালো ফ্রেমের চশমা চোখের পুরোনো ছবিগুলোর দিকে তাকিয়ে আরেকটা ব্যাপার বোঝা যায়, তিনি ছিলেন দুর্দান্ত সুর্দশন!
কথিত আছে, কেবল রাজপুত্রের মত পাত্রের দিকে তাকিয়েই ধনাঢ্য বাবা তাঁর দশ ছেলেমেয়ের মধ্যে সবচেয়ে আদরের মেয়েটিকে ছাপোষা চাকুরের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। কাজটা যে মোটেই সুবিবেচনাপ্রসূত ছিলোনা এই নিয়ে নানুমণি প্রায়ই প্রবল হাহুতাশ করেন।
অদ্ভুত কান্ড! এরকম আগে কখনো হয়েছিলো কি? স্বপ্নটা এরকম: মনে হলো একটা নামী সাহিত্য পত্রিকায় একটা বড়গল্প পড়ছি, কাহিনীও পরিষ্কার পরপর একেবারে পাতা উলটাচ্ছি আর পড়ে যাচ্ছি, একটুও বেমানান লাগছে না কোথাও। এমনকি নামটাও দেখলাম পাতা উল্টে -"মৌমাছি ও সমুদ্র"। পাশে একটা ছবি, একটা জাহাজের কেবিন, জানালা দিয়ে সমুদ্র দেখা যাচ্ছে।
কী আশ্চর্য! এ কার গল্প? কোথা থেকে কেমন করে এলো স্বপ্নের মধ্যে? এ জ...
আমার একটা আপেলগাছ ছিলো। তার ডানে-বামে আরো দুটো গাছ ছিলো। বাগানজুড়ে ছিলো আরো শখানেক। কিন্তু ঐ গাছটা শুধু আমারই ছিলো। আমাদের ছোট্ট উঠোনের পাড় ঘেঁষে একটু ঝুঁকে দাঁড়িয়ে থাকত। বরফচাপা শীতের শেষে তার ডালে দোলনা ঝুলিয়ে দিত আব্বু। মেহদি একবার গাছে উঠে চুপিসারে দড়ি কেটে দিয়েছিলো। আর আমি ধপাস করে মাটিতে।
মেহদিটা ভীষণ দুষ্ট ছিলো। একবার আপেল ছুঁড়ে মেরেছিলো আমার দিকে। সেটা সোজা এসে লেগে ...
ছোট্ট চায়ের টং-টায় ঢুকেই এলোমেলো চুলগুলো হাত দিয়ে ঠিক করতে গিয়ে আরো উস্কুখুশ্কু করে দিলো ইভান।
ভয়ংকর গরম পড়েছে আজ, বাসায় ফিরেই লম্বা একটা গোসল দিতে হবে।
টানা তিনটা টিউসন পড়িয়ে আর কিছুই ভালো লাগছেনা। তাও একটা ভালো খবর হলো আজ মাসের ৭ তারিখে এসে পকেটটা একটু ভারী হয়েছে। এই কটা টাকার জন্য বলতে গেলে গায়ের রক্ত পানি করে খাটা হচ্ছে। গত মাস থেকে নাইট সিফটে একটা কল সেন্টারেও ঢুকেছে। রিট...
কিভাবে ফন্ট তৈরী হয় তা নিয়ে মানুষের কৌতূহলের অন্ত নেই। আমাকে প্রায়ই এধরণের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। পড়ে প্রক্রিয়াটা বুঝিয়ে বললে আর কৌতূহলটা থাকেনা। প্রত্যুত্তর শোনা যায়, "থাক বাবা, আমার ফন্ট বানিয়ে কাজ নেই"। কিন্তু আগ্রহী মানুষ সবসময়ই পাওয়া যায়।
তাই প্রথমেই বলে রাখছি, ফন্ট বানানোটা সবার জন্য সুখকর কাজ নাও হতে পারে।
আসুন একনজর দেখে নেই একটা ফন্ট বানাতে কি কি লাগে-
১. টাইপোগ্রাফী ...
১
ডেভিড সাইমনের 'দ্য ওয়্যার' দেখার পর থেকেই তক্কে তক্কে থাকি। সাইমন নাম শুনলেই মাথা ঘুরে যায়, কপাৎ করে গিলে ফেলি। দোকানে গিয়ে হাজার পণ করেও তাই 'জেনারেশন কিল' কিনে ফেললাম। বাসায় হাজার হাজার ডিভিডি না দেখা পড়ে আছে, তা-ও। ডেভিড সাইমন। শেষ।
আমার ব্লগ লেখার একটা মূখ্য উদ্দেশ্য সবসময়ই হল নিজের অনুভূতিগুলি ধরে রাখা, আর যদি সম্ভব হয়, কিছুটা ভাগাভাগি করা। কিন্তু জেনারেশন কিল দেখা শেষ করা...