ব্যস্ত শহরের মধ্যে হুট করে একটা নির্জন রাস্তা আর সারি সারি নাম জানা বৃক্ষের নির্বাক দেয়াল। রাস্তার সংক্রামক নির্জনতা প্রতিদিন নিয়ম করে রাত নিয়ে আসে পৃথিবীতে। তখন সমস্ত শহর সেই রাস্তার মতো নির্জন। রাতজাগা নিয়ন বাতি আর স্পিডলিমিট অতিক্রম করে চলে যাওয়া দুই একটা মোটরকারের পদশব্দ শহরের সবুজকে আরেকটু নির্জন করে, মানবিক করে। হাঁটতে হাঁটতে একটু দূরে গেলেই কোনো অলৌকিক রাস্তার পাশে পার্ক করা সারি সারি গাড়ি।
আমাদের আধ্যাত্মিক সাধনার ইতিহাস বলে মানুষ মাত্রই আধ্যাত্মিকতার বীজ নিয়েই এ পৃথিবীতে আসে। তাই হয়তো আমরা বারবার ঈশ্বরের দিকে ঘুরে যাই, ঈশ্বরকেই খুঁজি। প্রবলভাবে ঈশ্বরের অসীম সত্ত্বার মধ্যেই নিজের অস্তিত্ব মিলিয়ে দিতে চাই। ভাবা হয় যার মধ্যে এই বীজ অঙ্কুরিত হতে পেলোনা, পুষ্টি পেলোনা তার জীবন অর্থহীনতায় তলিয়ে যাবেই। কখনও আবার ঈশ্বর নয় আধ্যাত্মিক সাধনার সর্বোচ্চ স্তরটিকে মোক্ষ বা নির্বাণ বলে অভিহিত করা
আমি তোমার কাছের মানুষ হবো।
এত্তো কাছে, মনে হবে বাড়ির পিছে
সরিষা ক্ষেত, মৃদু নদী- জলের সারস
অতীতে তার কোল ঘেঁষা পথ-
মনে হবে লতানো লাউ, জানলা খুলে
হাত বাড়ালেই পাখি পাখি গাছের ছায়া,
ঘাসের ঘাড়ে হেলেঞ্চাতে শুকনো পাতায়
মুখ ডোবানো রোদের আরাম-
উঠোন ভরা শাকসব্জি, পুঁইয়ের মাচা
পাটির ওপর ছড়িয়ে দেয়া চালতা আচার
মনে হবে, নিজেরই সব- বুনো ফুলের
ছোট্ট বাগান- কপাল থেকে চুল সরানোর
বাংলাদেশের কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের এক দুর্দান্ত দুঃসাহসী স্পাই।
গোপন মিশন নিয়ে ঘুরে বেড়ায় দেশ-দেশান্তরে।বিচিত্র তার জীবন।
অদ্ভুত রহস্যময় তার গতিবিধি।
কোমল কঠোরে মেশানো নিষ্ঠুর সুন্দর এক অন্তর।
একা,টানে সবাইকে,কিন্তু বাঁধনে জড়ায়না।
কোথায়ও অন্যায় অবিচার অত্যাচার দেখলে রুখে দাড়ায়।
পদে পদে তার বিপদ শিহরণ ভয়,আর মৃত্যুর হাতছানি।
আসুন এই দুর্ধর্ষ চিরনবীন যুবকটির সাথে পরিচিত হই।
সীমিত গন্ডিবদ্ধ জীবনের একঘেয়েমি থেকে একটানে তুলে নিয়ে যাবে ও আমাদের স্বপ্নের এক আশ্বর্য মায়াবী জগতে।
আপনারা আমন্ত্রিত।
শুভ জন্মদিন রবিন!
আজ বেঁচে থাকলে তার বয়েস ৬৫ হত। কিন্তু রবিন আর কখনো বুড়ো হবেন না। সিনেমাতে, স্ট্যান্ড-আপ কমেডি ইভেন্টস গুলো আর মাতিয়ে বেড়াবেন না। হাসাতে হাসাতে সবাইকে অস্থির করে তুলে পরক্ষনেই সবাইকে কাঁদিয়ে ফেলবেন না।
কয়লা নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে সেই অঞ্চলের বায়ু দূষণ এবং ইকোসিস্টেম এর এসিডিফেকেশন এর জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসবে গণ্য করা হয়।[১] কয়লা নির্ভর থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট এ কয়লা পোড়ানোর পর যেই অবশিষ্টাংশ থাকে তার শতকরা ১৫ থেকে ৩০ ভাগ থাকে ফ্লাই এশ।[২] সাধারণত এই ফ্লাই এশ কোন নির্দিষ্ট ল্যান্ডফিল এ ডাম্পিং এর ব্যবস্থা থাকতে হয়। ল্যান্ডফিল সেই ধরণের জায়গা যেইখানে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়েস্ট একরক
আমরা এখনো কবজি ডুবিয়ে মাছ মাংস খাই। খিচুড়ি, বিরিয়ানী, তেহারি- নেহারি, চটপটি- ফুচকা, তেলেভাজা চপ, তন্দুরি সালাদ সব খাই। সেমাই দধি আইসক্রিম মিষ্টান্ন কিছুই বাকী নাই। বেড়াতে যাবার সময় আমরা এখনো সুগন্ধী মাখি, জুতো পালিশ করি, জামা ইস্তিরি করি। গায়ে সাবান, মুখে ফেসওয়াশ, চুলে তেল শ্যাম্পু কণ্ডিশনার দেই। অফিস করি, বেতন তুলি, মানিব্যাগের টাকা ফুরোলে বন্ধুর কাছ থেকে ধার করি। সবই আগের মতো আছে শুধু একটি বাড়তি
কথা কিন্তু কথার নিচে মুখোশ পরা,
মিথ্যা হয়ে লুকিয়ে আছে ট্রয়ের ঘোড়া।
দরজা খুলে আনছো তাকে ভেতর বাড়ি,
মিষ্টি হেসে রাখছো যেন বন্ধু ভারি।
কথার পেটে লুকিয়ে যারা ছদ্মবেশে,
খেলনা হয়ে আত্মহারা তোমায় ঘেঁষে।
একটু পরে রাজপ্রাসাদে কথার সুরে,
চাঁদের মতো যখন তুমি আকাশ জুড়ে-
গুপ্ত খুনি ওই কথারা হঠাৎ এসে,
তোমার জিভে আলতো করে পড়বে বসে।
তখন তুমি নিজের কথা হারিয়ে তাতে,
পেতে পেতে দুঃখ এখন
দিতেও পারি,
তবু আছি আগের মতোই
অসংসারী-
অগোছালো ছিলাম যেমন
ইচ্ছামতো-
ভেঙে গড়ে নতুন আবার
ভাঙাই যেতো,
সবকিছু আছেই তেমন
কেবল জানি,
ভালোবেসে দুঃখ দেয়ার
মন্ত্রখানি-
লোকে ডাকে দুঃখওয়ালা
যদিও আমি,
হেসে হেসে মিহিন আঘাত
কমই জানি-
দিতে পারি দুঃখ যেটুক
নিজের মতো,
আহা, যদি ওটুক শুধুও
তোমার হতো!
সিডনি, জুন- ২০১৬।
গাইবান্ধায় দমবন্ধ লাগছিলো, ঈদের ছুটিতে ঢাকায় ফিরে যেন প্রাণ ফিরে পেলাম। কোন তাড়া নেই, ব্যাস্ততা নেই, প্রগাঢ় আলসেমিতে দুপুর অবধি শুয়ে বসে সময় কাটছে আমার। একদিন খুব ইচ্ছে হল সিনেমা দেখার। গুলিস্তানের তখন রমরমা, শহরে এয়ারকন্ডিশন্ড হল তো ওই একটাই।