জিপিএ-৫ পাওয়াদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটার কথা ভাবছিলাম। ঘুরে ফিরেই মনের মধ্যে আসছিল আই অ্যাম জিপিএ-ফাইভ। সস্তার বারো অবস্থা না শিক্ষা ব্যবস্থা, কি বলবো একে? এভাবে বলা যায়না, কারন শিক্ষা কোন অবস্থাতেই আজ আর সস্তা নেই। কিন্তু দাম দিয়ে কিনলেইকি ভালো পাওয়া যায়? বিশেষ করে ভালো মন্দের বোধ যেখানে থাকে ধোঁয়াটে?
বাঙালি মানে যে ভোজনরসিক সেটা তো বলাই বাহুল্য, আড্ডার মধ্যে বসে জামিল ভাবছিল। আর প্রবাসী বাঙালি যেন আরো এক কাঠি সরেষ। উইকেন্ডটা বরাদ্দ বন্ধুর বাসায় দাওয়াতের জন্য। কয়েক কোর্সের ভোজনবিলাস। এপেটায়িজার, মেন কোর্স এবং ডেসার্ট। শাব্বির এর বাসায় দাওয়াত সেদিন বেশ জমে উঠেছিল। সময়টা ছিল এপেটায়িজার এর পরে কিন্তু মেন কোর্স এর আগে। এরই মধ্যে মহসিন ভাই হঠাত ঘোষণা দিলেন। উনি একটা হাইকিং ট্রিপ এর ব্যবস্থা করবেন
এই সেলফোন, ট্যাবলেট আর ল্যাপটপের যুগে আমি যদি জানাই আমরা তিনভাই শৈশব পাড়ি দিয়েছি কিসব প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে, আজকের জেনারেশন হেসে গড়াগড়ি যাবে।
সকালের বিয়ে।
পাত্রীর খোঁজ চলছে।
কিন্তু কেউই রাজী নয় সকালকে বিয়ে করতে।
শেষমেশ পাত্রী পাওয়া গেলো।
সন্ধ্যা।
সন্ধ্যা বিয়ে করবে সকালকে।
বিয়ে হলো।
কিন্তু বিয়েই সার!
সকালের কখনও দেখা হয়না সন্ধ্যার সাথে।
এদিকে,সূর্য ছিল সকালের মামা।
ভাগ্নের কষ্ট দেখে সূর্য্য মামার বড় কষ্ট হলো। গোটা একটা দিন সে দিলো না কোন আলো।
ব্যস! সেদিন সকাল আর সন্ধ্যা এক হয়ে গেলো। পুরো একটা দিন তারা একসাথে থাকলো।
সুপার ফ্রাইডে
নানাবিধ কারণে ব্ল্যাকসবার্গ থেকে সাময়িক পালানো জরুরী হয়ে পড়েছিলো, মাস দুয়েক আগে পাওয়া একটা ইন্টার্নশিপের অফার তার একটা চলনসই ব্যবস্থাও করে দেয়। এলিয়েন হয়ে অ্যামেরিকাতে ক্যাম্পাসের বাইরে কোন কাজ করতে যাওয়ার নানা আচার তন্ত্রসাধনার প্রস্তুতির চেয়ে অনেক জটিল আর সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। জব পারমিট পাওয়ার জন্য প্ল্যান অফ স্টাডি জমা দিতে হয়, তার জন্য বাচ্চা অবস্থায়ই পিএইচডির কমিটি তৈরি করে ফেলতে হয়। তার জন্য নানা প্রফেসরকে ইমেইল করে কি সামনাসামনি দেখা করে পটাতে হয়, তার জন্য রিসার্চ প্ল্যানের কল্পবিজ্ঞান লিখতে হয়। দিন দশেক সময় নিয়ে সব কিছু শুরু করে গ্র্যাজুয়েট স্কুলে সব কাগজপত্র জমা দিই মাত্র এক সপ্তাহ আগে। কোন কিছুই দ্রুত চলতে চায় না, খোঁচা খোঁচা দাড়ি মুখে ভয়ানক চেহারা নিয়ে সম্ভাব্য মধুরতম হাসি দিয়ে গ্র্যাজুয়েট স্কুলের নানা লোকজনকে পটানোর চেষ্টা করি। তেমন একটা কাজ হয়না এতে।
শুরুটা হয়েছিল তখন, যখন রতনের নিজের সাথে ঘটনাটা ঘটল।
স্বপ্ননগর বিদ্যানিকেতন নামে একটা চমৎকার স্কুল আছে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পড়াশোনা করানোর স্বপ্ন নিয়ে এই স্কুলটা তৈরি করেছেন কিছু তরুন। আমার কয়েকজন বন্ধু জড়িত এই অসাধারণ কাজে। চন্দনাইশের এক পরিত্যক্ত চাবাগানের ধ্বংসস্তুপে গড়ে ওঠা এক গ্রামের ছেলেমেয়েরা এই স্কুলের প্রাণ। তারা আমাকে কিছু বিজ্ঞান প্রশ্ন করেছে। যেগুলি নিয়ে এই লেখা।
লেখাটার দুইটা উদ্দেশ্য -
লেখা থাকতো “সেবা বই, প্রিয় বই, অবসরের সঙ্গী” কথা সত্য, কিন্তু ঝক্কিটাও কম ছিলনা। এক একটা সেবার বই কিনে বড়দের লুকিয়ে বাড়িতে ঢোকানোর ব্যাপারটা বিশেষ সহজ ছিলনা। বিশেষ করে স্কুলের নিচের ক্লাসে পড়বার সময়। সেবা বই মানেই “মাসুদ রানা” আর সেটা ছিল প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য। বড়রা সেবার বই বলতে এই প্রাপ্ত বয়স্ক মার্কা মারা মাসুদ রানাই বুঝতো সে সময়, ফলে সেবার অন্য বই কিনলেও গুরুজনদের রক্তচক্ষু এড়িয়ে সে বই নিজের ক
অফিস থেকে হুট করেই তিন দিনের ছুটি নিয়েছি।এমনি কোন কারন ছাড়াই, বিশেষ কোন হাতি-ঘোড়া মারার উদ্দেশ্য নিয়ে নয়।মানুষ ছুটি নিয়ে বেড়াতে যায় কিংবা জরুরী কাজ সারে, আর আমি ছুটি নিয়ে ঘরে শুয়ে বসে কাটাই।এ ধরনের ছুটির অবশ্য অন্যরকম একটা মজা আছে। বাকি পৃথিবী যখন কাজে মশগুল, আমি তখন সোফায় আধশোয়া হয়ে বই পড়ি, দু চারটা গান শুনি,টিভিতে পুরনো কোন ফ্লপ সিনেমা দেখি,ইচ্ছে হলে ফ্রিজ খুলে দুই ঢোক কোক খাই কিংবা ছুরি দিয়ে নি
আমাদের দাদাবাড়িতে পাঁচটা আম গাছ ছিলো...আম গাছগুলোরও নাম ছিলো, মানে আমাদের দেয়া নাম আর কি। কুয়োতলায় ছিলো “কুয়োতলার আম”, ছোট ফুফুর ঘরের উপরেরটা “ত্যাততেরি আম”, বাড়ির পেছনে ছিলো “মিষ্টি আম” ও “ শ্যান্দরাই আম”, আর বাড়ির সামনে হাতপা ছড়িয়ে রাজপুত্রের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে ছিলো ফজলি আমের গাছ, এর আলাদা কোন নাম ছিলোনা...