[justify] ১৯৯০ সাল। পার্বত্য চট্টগ্রামের যে থানা সদরটাতে আমরা প্রথম থাকতে গেলাম তাতে বছর চারেক আগে শান্তি বাহিনী নামের এক অশান্ত মানুষের দল নজীরবিহীন ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। সেই ক্ষত মাত্রই শুকিয়ে এসেছিল। সরকারের এক আদেশে তখন সমতলভূমি থেকে হাজারে হাজারে মানুষ হিলট্র্যাক্টস মানে পাহাড়ী এলাকায় বসতি স্থাপন করছে। তাদেরকে সবাই বলে "সেটেলার", রাষ্ট্রীয় পরিভাষায় "অ-উপজাতি"। আমার আব্বার চাকরী ...
আজ এক বছর হয়ে গেল।
গত বছর এইদিনে আমি সারাদিন ক্লাস করে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফিরতেই তড়িৎবার্তায় ভাতিজি পিংকি জানালো পিলখানার ভেতর কিছু একটা হয়েছে, অনেক সেনা অফিসারদের নাকি অবরোধ করে রাখা হয়েছে। আমার ফুপাতো বোন (আমার প্রায় ৪৪ বছর এর বড়) এর মেজ ছেলে তখন বিডিআর এ ছিলেন, ঠিক এক সপ্তাহ পরে তার অবসরগ্রহণ করার কথা। বয়সে আমার বড় বলে তাকে চিরকাল মামা বলে ডেকে এসেছি। সেই রবিন মামা, লেঃ কর্নেল ...
ছবিঃ ১। মাধবপুর লেক, সন্ধায় পদ্ম ফুলের সাথে আলোছায়ারা যেখানে লুকোচুরী খেলে
ছবিঃ ২। পাত্রখোলা বাংলো, ভোরে ঘুম ভাঙ্গাবে পাখির ডাক
ছবিঃ ৩। বাংলো থেকে নেমে আসা মাটির রাস্তা, একদিকে সূর্যের আলো অন্যদিকে কুয়াশায় ঢাকা
ছবিঃ ৪। প্রকৃতির ডাকে মাতিস জেগেছে খুব ভোরে
ছবিঃ ৫। ওদের সকাল হয় আমাদের আগে, বাগানের ভেতর দিয়ে কুয়াশা মেখে হেঁটে যায় কর্মস্থলে
ছবিঃ ৬। মাগুরছড়া, যেখানে গ্যাস বিস্...
আরিফ জেবতিকের লেখার সাথে পরিচয় সেই ভোরের কাগজে। তখন স্কুলে পড়ি। পাফোতে লিখতেন। তারপর অবসরে লিখতে শুরু করলেন ‘মাইক্রোস্কোপ’ বলে একটা কলাম। রাজনৈতিক কলাম। সমকালীন রাজনৈতিক বিষয়-আশয় নিয়ে স্যাটায়ার আর ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ থাকতো সেখানে। একসময় সেই কলামের মহা ভক্ত ছিলাম। তাই আরিফ জেবতিকের উপন্যাস ‘১/১১’র রাতে একুশ নম্বর আঙ্গুল’ বইমেলা থেকে কিনে সেই প্রস্তুতি নিয়েই পড়তে বসেছিলাম। পড়ে ...
[justify] আমি কেন যেন বারবারই এক বিন্দূর চারপাশে ঘুরপাক খেতে থাকি আর বৃত্ত তৈরি করতে থাকি, ভাগ্যক্রমে তা হয়ত কখনো একটু টান খেয়ে ডিমের মত একদিকে চোখা হয়ে যায়, কিন্তু কেন্দ্রবিন্দুর এমন টান যে আবার সুরুৎ করে আমার অক্ষে নিয়ে ফেলে, যাই করি না কেন, এই পথ থেকে বের হতে পারি না। আজ প্রায় পাঁচ বছর ধরে এই চেষ্টাই করে যাচ্ছি, কিন্তু বেহুদা চক্কর কাটা ছাড়া আর কিছুই হচ্ছে না। আপনারা ভাবছেন, কি আ...
বছর দশেক আগে আমি সাপ্তাহিক "যায় যায় দিনে" একটা ই-মেল লিখেছিলাম ওদের ক্রমবর্ধমান বিএনপি প্রীতি দেখে। আমার চিঠির বংগানুবাদ ইমেল এড্রেস সহ ছাপা হওয়ার পরে আমি গোটা বিশেক ইমেল পাই...এর মধ্যে গোটা উনিশেক ছাপার অযোগ্য...একমাত্র ছাপার যোগ্য মেইলটা ছিল এরকম...
আপনি হয়ত জানেন না যে শেখ মুজিব হিন্দু ছিল। মুসলমান পরিবার তাকে দত্তক নিলেও তার মুসলমানি হয়নি। আপনার চিঠিতে যে আওয়ামী গন্ধ আছে তা থে...
মাঘ মাস। শীতে কাঁপছে গোটা দেশ। অথচ মাস শেষ হতে এখনও আটাশ দিন বাকি।
বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ হবে আজ। দেশের আনাচে কানাচে এই নিয়ে চলছে তুমূল আলোড়ন, চলছে গ্রহণ দেখার নানা আয়োজন। এই আলোড়নের কারণও আছে। আজ থেকে আবার ১০৫ বছর পরে এদেশ থেকে দেখা যাবে এরকম সূর্যগ্রহণ। তাই গ্রহণ দেখাটা রূপ নিয়েছে রীতিমতো উৎসবের।
কিšত্ত দিনাজপুর শহরে নেমেই থমকে গেলাম রীতিমতো। কোথায় গেল সেই উৎসবমুখর মানুষেরা? ...
ছাদটা বেশ বড়। এখানে শুয়ে উপরে তাকালে অনেকখানি আকাশ ঝম করে ওঠে। ঋতি প্রায়ই রাতের খাবার পরে একবার ছাদে আসে। আর মাদুরটা পেতে শুয়ে পড়ে। চোখ মেলে দেখে আকাশভর্তি তারা কেমন ঝমঝম করে বাজছে! না, আসলে তারারা ঝিকঝিক করে জ্বলছে শুধু, কোনো শব্দ নেই। তবু ঋতির কানে আসে কেমন এক অপূর্ব সঙ্গীত যা আর কেউ শুনতে পায় না।
পুবের দিকে নারকেল বাগান। ওদিকে তাকালে গাছের মাথাগুলো দেখা যায়, সারি বেঁধে দিগন্...
[justify]
প্রতিদিন রোদ উঠে, বৃষ্টি নামে, ধূলো জমে বেদীতে স্থির হয়ে থাকা মানুষগুলোর গায়ে। রোদে পুড়তে পুড়তে, ধূলো জমতে জমতে মানুষগুলো ব্রোঞ্জের ভাষ্কর্যের মত হয়। মাঝখানে সম্মিলিত প্রতিরোধ, চারপাশে শোষকের পলায়ন। আটপৌঢ় মানুষগুলো যখন ধুকতে ধুকতে রোজগার বাজার আর ঘুমানোর বৃত্তে প্রতিদিন ঘোরপাক খায় তখন তাদের চোখে ঝলক মারে এই ভাষ্কর্যের প্রতিরোধ। মানুষেরা ভাবে, ওহ্ কেবল মানুষের দৃঢ় ঐ...
চতুর্থ পর্বঃ
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/30190
ক্লাস শেষে সবাই মিলে ক্যাম্পাসের খোলা মাঠে বসে আছি, এলোমেলো কথা বার্তা। আড্ডা ঠিক জমছে না, কোথায় যেন কিসের একটা অভাব বোধ হচ্ছে, সবাইকে একবিন্দুতে নিয়ে আসার জন্য বলুনতো কী দরকার? হ্যাঁ দরকার গলা ছেড়ে গাওয়ার মত একটা গান। সুস্বাদু খাবার তৈরির জন্য লবণ যেমন দরকারী ও অনস্বীকার্য উপাদান, তেমনি বন্ধুদের আড্ডায় গান হচ্ছে অনস্বীকার্য উপাদান। গান না হলে ...