এতক্ষন পর্যন্ত আধো ঘুম, আধো জাগরনে প্রায় আচ্ছন্ন অবস্থাতেই শুয়েছিল জয়িতা। হঠাৎ ডোরবেলের একটানা চিঁ-হি-ই-ই আওয়াজটা যেন তার সমস্ত আচ্ছন্নতাকে খান খান করে দিল। সারা সপ্তাহ একটানা ঘড়ি ধরে সকাল ছ’টায় ঘুম থেকে ওঠা; আর তারপর থেকেই তার প্রাত্যহিক বাঁধা গতের রুটিন লাইফ। ঘর-দোর পরিষ্কার, রান্নাবান্না ইত্যাদি সারতে সারতেই একমাত্র মেয়ে রুম্পির স্কুলের সময় হয়ে যায়। তারপর তাকে তৈরী করে টিফ...
আমার সব কাজ কারবার যেন হুট করেই করে ফেলি, হঠাৎ করেই মাথায় আসল, ব্যস করে ফেললাম। এর জন্যে প্রজাপতির কাছে অনেক দাবড়ানি খেয়েছি, আরো কত খাবো কে জানে? তবে ক্যামেরা কেনার ব্যাপারটা অনেকদিন থেকে মাথায় ঘুরপাক খেলেও সাহস করে কিনতে পারিনি, একদিকে দাম, আরেকদিকে দাবড়ানির মাঝে পুরা মাইঙ্কা চিপা, আর সেই চিপায় পইড়া চ্যাপ্টা হলাম বেশ অনেকদিন। এভাবে চলতে থাকে দিনকাল, এরমাঝে প্রজাপতি ঢাকা...
অ বর্ণের অর্থ হল--অস্তিত্বের আধার মাত্র। যে অস্তিত্বকে ধরে রাখে বা বহন করে।
'ক' মানে 'করণ', কিন্তু 'করণ'কে দেখা যায় না, যদি তার আধার না থাকে। তাই 'ক্'+অ='ক'। এই 'ক' মানে 'করে যে' বা 'কারী'। এইভাবে (গ্+অ) 'গ' মানে 'যায় যে'; (প্+অ) 'প' মানে 'পালন বা পান করে যে; (ব্+অ) 'ব' মানে 'বহন করে যে'। অতএব 'অ'-এর মানে হল--'অস্তিত্বকে অবয়ব দেয় যে'। এ হল শুধুমাত্র ধরে রাখা। কিন্তু যাকে ধারণ করা হয়, তাকে লালন -পালন ও তার বিকাশসাধন ...
“মামণি, মামণি”।
মেয়ের আচামকা ডাকে দুপুরের কাঁচা ঘুমটা ভেঙ্গে যাওয়ায় মেজাজ খারাপ করে সাথে সাথে জবাব দেন না সিগ্ধা। ‘ডাকুক গে, থাক। এমন অসময়ে কেউ ডাকে? কি এমন মরার দরকার, গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে দুনিয়া উজাগার করার?’ ভাবতে ভাবতে আবার একটু তন্দ্রামত লেগে আসে। সেই সাত সকালে নাস্তা বানানো, অফিসে নিয়ে যাবার জন্য স্বামীর লাঞ্চের প্যাক তৈরি, বাচ্চাকে ঘুম থেকে তুলে স্কুলে যাবার জন্য তাড়া দ...
পরিস্থিতি তাড়া করে ফেরে মানুষকে।
লয়
সৃজন কিংবা রক্ষণ?
জীবন-আনন্দ কখনো বা নিক্ষিপ্ত ট্রামলাইনের
মৃত্যুহিম নীল খাদে।
কখনো বা আজকের সীজারের দুচোখে
চিরকালীন অজ্ঞতা ও বিস্ময়;
জগদ্দল পাথরের মতন- “ব্রুটাস, তুমিও?”
অমলের দুচোখের পাতায় কালো যবনিকা;
স্টিকিং প্লাস্টারের মতন।
পঙ্কিল ধূসরতায় আচ্ছন্ন হরিৎ।
ব্যতিক্রম কখন আসে
রসায়নের পদার্থশ্রেণীর মত।
দায়িত্ব নেয় সৃজন, লালনের।
মুক...
[justify]
পুষ্প বৃক্ষ এবং বিহঙ্গপুরাণ। বইটা প্রথম পড়ি ২০০১ সালে। কেবল নাম দেখেই কিনেছিলাম। বইয়ের প্রচ্ছদ অদ্ভুত ছিল। কাঁধে পাখি নিয়ে ছফার একটা ছবিও ছিল প্রচ্ছদে। বাসায় গিয়ে পড়তে শুরু করি। আমার সামনে একটা নতুন জগৎ খুলে যায়। উপন্যাস আত্নজীবনী সব মিলে ছফা একটা ভিন্ন জগৎ তৈরি করেছেন। এক একটা পাতা পড়া শেষ হয় আর আমি ভাবতে থাকি এই সহজ কাহিনী একজন মানুষের পক্ষে লেখা কিভাবে সম্ভব...
আটত্রিশ বছরের না পারার গ্লানি,
প্রজন্ম পরপর সবে মিলি টানি।
রাজাকার দেশদ্রোহী অপরাধী জানি,
আর মোরা টানবো না বিবেকের ঘানি।
চল সবে এইবার বুকে বল আনি,
দূর করি দেশ থেকে ক্ষতিকর প্রাণী।
গোআযম-মুজাহিদ-নিজামীর চাম,
এ বেলায় না ছিলিলে হবে বিধিবাম।
কত যুগ ঝরিয়াছে কপালের ঘাম,
মুছে দিতে দেশ থেকে দালালের নাম।
বহে বায়ু বিপরীতে - প্রেতমুখে রাম;
'সোনার বাংলা' বলে দেয় তারা পাম্।
হানাদার বধ করা ব...
খুব বেশি দিন হয় নাই আমার বিদেশ আসার।ভাগ্যের অশেষ কৃপায় হোক আর নিজ কর্মের গুনেই হোক, বাংলাদেশ থেকে বি এস সি (Engg.) শেষ করে ভর্তি হলাম বেশ নামী একটা বিশ্ববিদ্যালয় এ। যেটা কিনা আবার পৃথীবির শ্রেষ্ট বসবাস যোগ্য শহর এ অবস্থিত। নুতন পরিবেশ, নুতন মানুষ, নুতন শহর সব মিলিয়ে বেশ ভালোই যাচ্ছিল।যেহেতু মাস্টার'স প্রোগ্রাম এ পড়া, তাই প্রথম থেকেই একটা ধরনা ছিল যে, পড়া শেষ না করে বুঝি আর দেশে যাওয়া হব...
মাঝে মাঝে কেন যেন কিছুতেই কাজে মন বসে না। এখন ল্যাবে বসে আছি, আজকের দিনের মাঝে দুইটা write up শেষ করতে হবে, অথচ মন চলে যাচ্ছে সেই ছোটবেলায়।
পড়তে শেখার পর থেকে সেটাকে কাজে লাগাতে কার্পণ্য করি নি। এক নিজের পাঠ্যবই ছাড়া যে কোন লিখিত জিনিস পেলেই সেটা পড়া নিজের পবিত্র কর্তব্য মনে করে এসেছি। কিন্তু ছোটবেলায় বড় হওয়ার খুব ইচ্ছে থেকেই মনে হয় রূপকথা পড়তে ভাল লাগত না তত, যতটা এখন লাগে।
...
ঝুম বৃষ্টি দরকার!
মিনমিনে-ফ্যাতফ্যাতে-ইলশে গুড়ি না,
কোনও কিছুকে তোয়াক্কা করেনা যে বৃষ্টি,
সেরকমটাই চাই!
এর কম কিছু না,
বরং পারলে আরও বেশি,
একটা ব্যক্তিগত কালবোশেখী চাই,
তছনছ চাই একটা,
তুমুল ধ্বংসযজ্ঞ!
একটু নাহয় বেহিসেবী হই,
গাছের সবক'টা আম নাহয় নাই বা পাকলো।
হাতের পাঁচটা আঙ্গুল সমান কি হয় কখনও?
নাহয় একটু উশৃংখল আমি,
একটু খেপাটে,
কান্ডজ্ঞানেরও নাহয় একটু বেশিই অভাব রইলো আমা...