বিকেল হলে ছাদের ওপাশটায় ভাড়াটিয়াদের ছেলেপুলে ও তাদের বন্ধুরা ঘুড়ি ওড়ায় অর্থাৎ ঘুড়ি নিয়ে খেলে। মাগরিবের আজান পর্যন্ত চলে তাদের ঘুড়ি নিয়ে কাড়াকাড়ি। কারও কারও মুখ দেখে অনুমান করা যায় যে, বিকালটা তার ভাল কাটে নাই, নিশ্চয়ই ঘুড়ি কাটা পরেছে; অবশ্য এরকম-ই হয় বেশিরভাগ দিনে। কানে সংগীতের যন্ত্র ভরে চুপচাপ বা একটু-আধটু এদিক-ওদিক করে সারাটা বিকেল হয়তো এইসব দেখে কেটে যায...
সময়: মধ্যদুপুর
স্থান: গুলশানের এক অভিজাত জাপানি রেস্তোরাঁ
লক্ষ্য: সুশি আস্বাদন
কেন্দ্রীয় চরিত্র: ভেতো-১ আর ভেতো-২, দুই তরুণ হাভাতে বাঙালি যারা তাদের ভেতো জিভে অচেনা বিজাতীয় স্বাদ ছোঁয়াবার বাঁধভাঙ্গা বিলাসী ইচ্ছের তাড়নায় ঢাকা ঢুঁরে খুঁজে বের করেছে এই রেস্তোরাঁটি।
পার্শ্বচরিত্র: জুডো, রেস্তোরাঁর খাদ্যপরিবেশনকারী যুবক।
দৃশ্য-১
ভেতো-১ আর ভেতো-২ জাপানি কেতায় সাজানো রেস্তোরাঁ ...
বানর রাজার সাথে আমার প্রথম পরিচয় কাঁথা ভেজানোর বয়সে। ফুফাতো ভাইয়ের সংগ্রহে থাকা একটা সুন্দর ছবিওয়ালা বইতে আমার নজর পড়ে। তখনো আমার বর্ণমালার সাথে পরিচয় শেষ হয়নি। ফুফু আর কী করেন... বাধ্য হয়ে বসে পরেন আমাকে বানর রাজার সেই অদ্ভুত কাহিনী শোনানোর জন্য। ফুফু বলতে থাকেন, আর আমি হাঁ হয়ে শুনতে থাকি মহাপরাক্রমশালী শক্তিধর এক বীর বানরের কাহিনী। শৈশবে দেখা স...
দিনটা সাদামাটা ভাবেই শুরু হল। সকালে উঠে চা বানানো, টিভিতে খবর দেখা সবই করলাম। এরপর হেলেদুলে গাড়িতে উঠে নিজের জীবনকে গালি দিতে দিতে অফিসের উদ্দেশ্যে যাত্রা, প্রতিদিন যা যা করি তাই করলাম। বৃহস্পতিবার অফিসে মিটিং থাকে সকাল ৯ টায়, আমি পৌঁছাই ঠিক ৮ টা বেজে ৫৫ মিনিটে।
আমি তখনো জানি না যে আমার বাসার খুব কাছেই 1827 dapplegrey lane এর এক উন্মাদ প্রায় একই সময়ে খুব ভয়ঙ্কর কিছু করতে যাচ্ছে। আমি যখন অফিস...
[justify]১৯৫২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি, পুলিশের হাতে ধ্বংস হয় একুশে ফেব্রুয়ারীর স্মরণে নির্মিত প্রথম শহীদ মিনার। সেই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন কবি আলাউদ্দিন আল আজাদ তার প্রতিক্রিয়ায় লিখেছিলেন,
‘স্মৃতির মিনার ভেঙ্গেছে তোমার? ভয় কি বন্ধু
আমরা এখনোন চারকোটি পরিবার খাড়া রয়েছি তো’
আজ ২০১০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী যখন স্বাধীন দেশের মাটিতে স্মৃতির মিনার যখন ভাঙ্গা হয় তখন আমরাও ...
যারা প্রথম পর্ব পড়েন নি, তাদের জন্য তারার হাতছানি(প্রথম পর্ব)
০৩
অরিত্র বসে আছে বাঁশি হাতে... আজ সে বাজাচ্ছে না। মন তো এখন অন্য খেয়ালে। অরিত্রের উত্তেজনা দেখে মনে হয় গাছ আর গাছের বানরগুলোও মজা পাচ্ছে। কিন্তু সেদিকে কি আজ তার খেয়াল আছে! তার যেন আজ মূহুর্ত কাটে না... সময় যাচ্ছে বড় ধীরে... অরিত্র শুধু একটু পর পর এদিক ওদিক তাকায়। একসময় তার মনে হয়, ঠিক তার পিছনেই দাঁড়িয়...
ঘনকালো পর্দায় ঢাকা সেই রাতের কথা নাহয় একেবারে সমাধিস্থ হয়ে যাক, অনেক অনেক গভীরে, সূর্যতারাহীন অন্ধকারে। সব ক্ষত সব ক্ষতি সব প্রতিশোধবাসনা সব ভুল সব হিংসা চাপা পড়ে থাক সেখানে। বিপুল মৃত্যুর স্তর সরিয়ে জীবন ভেসে উঠুক তেজী রাজহংসীর মত। তার আলোর মতন পাখায় লেগে থাক নতুন আকাশের প্রতিশ্রুতি। এসো, চোখ মেলি বাউল ভোরে।
এসো আবার চোখ মেলি বাউল ভোরের হাওয়ায়-
অনিঃশেষ রাতের জলতরঙ্গ অন্ধকা...
এই আমাদের ছাদে
দত্যি দানোর মজমা জমে,
অসহ্য আহ্লাদে।
জোট বেঁধে সব ঘোট পাকিয়ে
ফন্দি ফিকির ফাঁদে।
আমার নিজের ছাদে।
কী ভাবে সব?
এই তান্ডব
সইব নির্বিবাদে?
খুঁটিগাড়া প্রেতবাহিনীর
টুঁটি ছেড়ার আশায়
এই আমাদের বাসায়
ওঝা আসেন সদলবলে।
তাঁদের সেবায় ফুলে ফলে
উপচে পড়ে ডালা।
শালা!
সরষে দানায়
ভূতের ছানা
ঘাপটি মেরে বসে।
হাতুড়েদের দোষে
পিশাচেরা দাপিয়ে বেড়ায়
এখনো এই ছাদে।
জলখাবারের স্বাদ...
১৯৩৩
তোমার শরীর —
তাই নিয়ে এসেছিলে একবার — তারপর — মানুষের ভিড়
রাত্রি আর দিন
তোমারে নিয়েছে ডেকে কোন্ দিকে জানি নি তা — মানুষের ভিড়
রাত্রি আর দিন
তোমারে নিয়েছে ডেকে কোনদিকে জানি নি তা — হয়েছে মলিন
চক্ষু এই — ছিঁড়ে গেছি — ফেঁড়ে গেছি — পৃথিবীর পথে হেঁটে হেঁটে
কত দিন — রাত্রি গেছে কেটে!
কত দেহ এল, গেল, হাত ছুঁয়ে ছুঁয়ে
দিয়েছি ফি...
[justify]আমি অনেকদিন ধরে একটা গল্পের কথা ভেবেছি। মাপে খুব বেশি বড় হবে না। একটা ছোটগল্প। চরিত্রের নামধাম, গল্পের শিরোনাম কি প্লট কিছু কিছু লিখে রেখেছি আমার নোটখাতায়। ঠিক করে গোছানো এখনো হয় নি। মজার ব্যাপার, আমার গল্পের চরিত্রেরা আমার সাথে সময় সুযোগ মতো কথা বলে, আবদার করে। আমি একা ডাইনিং টেবিলে বসলে সীমা এসে বসে। বলে, ওর চরিত্রের বাচালতা একদম পছন্দ হচ্ছে না। কথা কম বলাতে হবে। বলি, ঠিক কর...