অনেকদিন আগের কথা, কোন এক দৈনিক পত্রিকার সাপ্তাহিক ক্রোড়পত্রের পাঠক কলামে কোন এক মহোদয় ব্যক্তি "চোরে-চোরে মাসতুত ভাই" এর ইংরেজী অনুবাদ করেন, "থিফ থিফ আর কাজিন", কাথাটা মনে রাখার মতই ছিল। আজ অনেকদিন পর কারও কারও জীবনের সাথে এর কিছু মিল খুঁজে পেলাম। লিখতে বসে অনেক ঘটনাই হয়তো চলে আসবে যার কোন মানে হয় না, কিংবা যার অনেক মানে হয়। শুরুতেই বলে নেয়া ভাল, আমার লেখায় অনেকগুলো অসঙ্গতির আ...
সূচের মতন অভিমান ফুটে যায় আঙুলডগায়, এক মুহূর্তের জন্য একটা তীব্র আগুনজ্বালা। সূচ টেনে বার করে নিয়ে টেবিলবাতির আলোর নিচে আঙুল বাড়াই, রক্তবিন্দুটা চুনির মতন লাগে, লাল, গোল, টলটলে।
জখম আঙুলটা মুখে ঢুকিয়ে চুষতে চুষতে ভাবি, এত নোনতা কেন? কবেকার সমুদ্রের লবণ এ? আর কোনোদিন যেখানে ফেরা হবে না সেখানে অশরীরী ভেসে ভেসে গিয়ে দেখে আসার এত ইচ্ছা কেন?
কেউ আমাকে চিনতে পারবে না, কেউ না কেউ না...
[এখানে প্রথম কিস্তি ১(১)]
ভারাটে গুন্ডা হিসাবে পার্কিন্স সাহেবের ক্রিয়াকলাপের সাথে জেমস বন্ডের গল্পের মিল রয়েছে। এতে আছে ষড়যন্ত্র, সম্রাজ্যবাদি কুটবুদ্ধি, আর আছে নারীর সংশ্রব। জেমস বন্ডের প্রতিটি গল্পের মত এখানেও নারী চরিত্রের একটা গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে। তবে এখানে নারী চরিত্রের কাছে পার্কিন্স সাহেব অনেকটা ভেড়া বনে বসে আছেন। আগের পর্বে একটু আভাস দিয়েছিলাম এখানে আরো কিছু ...
আয় রাজাকার আয় না ওরে,
ঘুরতে যাব কোলে করে,
কাজল দিয়ে তোর কপালে,
স্নো-পাউডার লাগিয়ে গালে,
পরিয়ে পায়ে নতুন জুতো
মারব পেটে স্নেহের গুঁতো,
মেলা থেকে কিনব বাঁশি,
খেলনা সাথে রাশি রাশি,
মাথায় দিয়ে জরির টুপি
আদর দেব চুপি চুপি,
এবং শিশুপার্কে তোকে
খেলতে দেব সকাল থেকে,
পুরান ঢাকায় ঘোড়ার পিঠে
লেপ্টে খাবি হাওয়াই মিঠে,
গোসল দিয়ে গরম জলে
তেল মাখব রোদের তলে,
আস্ত মোরগ সাঁটিয়ে গরম
ছাড়বি ঢেঁকুর ...
১
আমার পুরো ইউনিটটাকেই কাজের অংশ হিসেবে নিয়মিত নরওয়েজিয়ানদের সাথে কাজ করতে হয়।
সুতরাং মাঝে মধ্যেই নানাজাতের জরীপে যখন দেখতাম যে নরওয়েজিয়ানরা নাকি পৃথিবীর সবচেয়ে প্রোডাক্টিভ ইত্যাদি, আমার আগের সুপারভাইজর, ফাহিম ভাই-এর সাথে শেয়ার করতাম।
নরওয়েজিয়ানদের সাথে আমাদের কাজের অভিজ্ঞতা মিশ্র। কখনো দারুণ কাজ আগায়, কখনো তাদের এক ভুলে আমাদের চার রাত টানা কাজ করতে হয়।
ওই সময় এমন একটা ...
ডাক্তারদের প্রতি আমার অনেক ঋণ । ছোটবেলায় পায়ে একটা সমস্যা ছিল, সেটা সারাতে বেশ কয়েকটা অপরেশন করতে হয়েছে। নানান ধরনের ব্যায়াম করে করে এবং বিশেষ ধরনের জুতা পরে পরে যখন বড় হয়ে গেলাম, আমি অবাক বিস্ময়ে দেখলাম পায়ের সমস্যা আর আমার বলতে গেলে নেই। পায়ের সেই ব্যাপার ছাড়া আরও একবার ডাক্তারদের দ্বারস্থ হতে হয়েছিল বুয়েটে পড়াকালীন, সেবার হয়েছিল টাইফয়েড। সে যাত্রাও ডাক্তারাই বাঁচালেন আমাক...
একদিন সন্ধ্যায় এক ক্লাসমেট খবর দিলো গুলশানে একটা টিউশনি করবো কিনা। ছাত্রীর সাথে এক ঘন্টা ইংরেজীতে কথা বলতে হবে। গাড়ি এসে নিয়ে যাবে এবং পড়ানো শেষে পোঁছেও দিয়ে যাবে। আমাকে ঘন্টা হিসাবে ৫০০ টাকা করে দেয়া হবে! অতি লোভনীয় অফার, আমি সাথে সাথে লুফে নিলাম।
ছাত্রীর বাড়ি গিয়ে আমার মুখ হা হয়ে গেলো। বাড়ি তো না যেনো প্রাসাদ। বসবার ঘর তো না যেনো পাঁচতারা হোটেলের লবি। ছাত্রী এলে দেখলাম ছাত্র...
'বাবার মেয়ে' শুনতে আমি বরাবরই ভালু পাই। তবে কিছু কিছু ব্যাপার মায়ের দিক থেকেও পেয়েছি। তার মধ্যে দুইটা হলো, খুব অল্পতেই মুগ্ধ হয়ে যাবার ক্ষমতা, আর ভীষণ বোকা। বোকা বলেই বোধহয় স্বপ্ন দেখতে পারি লাগাম ছাড়া। আমার সম্পদ, বাবার কাছ থেকে পাওয়া ঘুম, আর মায়ের কাছ থেকে পাওয়া স্বপ্ন দেখার ভীষণ উর্বর একটা জমি। এতোটাই উর্বর, যেটাতে স্বপ্নের কোন একটা বীজ পড়তে যা দেরী, ফুলে-ফলে সুশোভিত হয়ে বিশাল এ...
১
আমার বাসায় ২০০৮ সালের শেষের দিকে অদ্ভূতুড়ে কিছু ব্যাপার-স্যাপার ঘটে। ভয় তো পেয়েছিলামই, সবচেয়ে বড় চিন্তার ব্যাপার ছিল, রাশনাল কোন সমাধান পাই নি।
ফলে ইন্টারনেট তন্ন তন্ন করে ফেলেছিলাম। আমি নানাজাতের ফোরামে পোস্ট করি, সেসব জায়গায় পোস্ট করেছিলাম। সচলায়তনেও সার্চ করে কেবল অমিত আহমদ ভাইয়ের ধারে-কাছে ধরনের একটা পোস্ট পেয়েছিলাম - একটা ভূতুড়ে বাড়ি নিয়ে ওনার ছোট...
(সচলেই জমা দিয়েছিলাম, জ্বিন সার্ভারে যেতে দেয়নি। পরে সামহোয়্যারইনে প্রকাশ করেছিলাম। এবার দেখি জ্বিন কি করে!)
১।
গত বছরের শেষের দিকে আমাদের বাসায় বেশ কিছু 'ভৌতিক' ব্যাপারস্যাপার ঘটে। জিনিসগুলি যে ফ্লুক বলে উড়িয়ে দেব তা-ও সম্ভব হয়নি, ঘটেছে বেশ কনসিসটেন্টভাবে, আর আমি নিজেই তো প্রমান ছিলাম। আমার জীবনে 'আনন্যাচারাল' বা 'সুপারন্যাচারাল' ঘটনা এগুলিই প্রথম। ...