[justify]পুরানো একজন মানুষ মারা গেছেন। আমাদের শহরে পুরানো মানুষদের কোন কবরস্থান নেই। তাদের মৃতদেহ রেখে দেয়া হয় নগরের একটা আটতলা উঁচু বিল্ডিং-এর ছাদে। শকুনেরা কাকেরা খুবলে খায়। জোয়ান কেউ মারা গেলে কেবল তাদের কবর হয়। পুরানোরা মরার পর মাংস বিলোয়।
লোকটার অনেক বয়েস। নব্বই হবে প্রায়। তার ছেলে বৌমা ছটফটে নাতি অতুল এক দিন সকালে এসে দেখে বুড়ো টেঁসে পড়ে আছে। পরে শব সমিতি দেহটাকে রেখে আসে সে...
মাথার ডান কোণে হাত চাপা দিয়ে বসে আছে রোদেলা। সেখানে দপ্ দপ্ করে ব্যথা করছে। গতরাতে ডিউটি ছিলো হাসপাতালে, আজ ঘুম হওয়াটা জরুরী ছিলো খুব।
ঘূর্ণ্যমান ফ্যানের দিকে চেয়ে থাকা, পাশের ঘর থেকে অবিরাম কাশির শব্দ আর মাঝে মাঝে আতংক ধরিয়ে দেয়া দু একটি কুকুরের ডাক......... এই এক চক্রে রাত কাবার। তবু আরেকটু বেশী সময় না নিয়েই উঠে পড়ে সে। হাসপাতালে যাবার সময় হয়ে এলো।
মুখ হাত ধুয়ে, কাপড় পাল্টে বেরোব...
আমার দেয়ালে ছিলো তিনটি তৈলচিত্রের অনড় পৌরষত্ব
হায় পৌরষত্ব! কতসহজে নিঃষ্প্রাণ হলো সিমির মৃত্যুগাঁথায়
অপরাধি আমি, ঠায় দাঁড়িয়ে আছি আত্মার কাঠগড়ায়।
ফাহিমার মৃত্যুর পর শুরু হয়েছিলো আমার হার্টট্রয়াল
আর কাঠগড়ার উঠোনঘিরে চলেছিলো আইন-অধ্যায়ন
সাহস দিয়েছে সবাই, কিছুই হয় না ওই সংক্রামক মৃত্যুতে
সত্যিই তাই; নিরেট বখাটের জন্য অভূত নিরাপদ বাংলাদেশ!
তৃষার মৃত্যুর দিন মনপাড়ায় ছিলো কা...
সে কথা রেখেছে। দেশ বেড়ানোর চিঠি লিখেছে। চিঠির ভাঁজ না খুলে হাত বোলাই অনেকক্ষণ। সেই স্মৃতিস্বপ্নকল্পনা দিয়ে তৈরী ভূমি আমিও চিনতাম। কতবার চৈত্ররাতের ঘুমভাঙা জ্যোৎস্নায় সে দেশ আমি দেখেছি চাঁদের আয়নায়। সাবধানে ভাঁজ খুলি, পড়তে শুরু করি। পড়তে পড়তে আমিও রওনা হই চিৎপুরের নতুন টার্মিনাস "কলকাতা" থেকে, সকাল ৭ টার রোদ তেরছা হয়ে পড়েছে কামরায়, ট্রেনের নাম মৈত্রী।
দেখতে দেখতে পার হয়ে য...
[justify]সুন্দরবন নিয়ে সচলায়তনের পাতায় আমার পড়ামতে এর আগে লিখেছেন মোস্তাফিজ ভাই, নজরুল ভাই, লীলেন’দার মত গুণী লেখকেরা। আমার নিশ্চয়ই ডিসক্লেইমার দেওয়ার কারণটুকু আর ব্যাখ্যা করে বুঝানোর দরকার নেই। গিয়েছিলাম তিনদিনের সৌখিন ভ্রমণে। তেমন কোন উত্তেজনাময় গল্পও নেই আমার। ভাবছেন, তবে কেন লিখলাম? ভালো-খারাপের সহাবস্থানটা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্যই হয়ত।
মুঠোফোনের কর্কশ শব্দে ঘুম ভেঙ্গে...
[justify]
১.
কর্মের শুদ্ধ সঠিক মান নির্ণয় এমনিতেই দুস্কর, তাও আবার নিজ কর্মের বেলায় এই মূল্যায়নের চেষ্টা তো রীতিমতো তস্করের সাধনার মতোই নিচু কাজ! তবে, পরিমাণে আমার কর্ম মোটামুটি বহুদিকে বহু। তবু আমি ঠিক কর্মী নই। তারচে' বেশি বরং কর্মক্লান্ত। ঘর্মসিক্ত হয়ে গরমের চরমভাব থেকে পালাতে যাই, শীত খুঁজতে ধাই, কম্বলে মুখ গুঁজতে চাই। শীত জুটুক আর না জুটুক, আমি ঘুমন্ত! আমার মতো ঘনঘন শীতনিদ্রা বোধ ...
১
এক্স: এই সিরাত ছেলেটারে জুতান দরকার।
ওয়াই: ক্যান? চেহারা ভাল না?
এক্স: আরে না। সচলায়তনে আইয়া প্রতিদিনই একই লোকের লেখা দেখতে মিজাজ খারাপ হইয়া যায়।
ওয়াই: আহা। এমন করস ক্যান? এইটা তো ওর দোষ না।
এক্স: ওর দোষ না মানে? এইসব ফালতু কথা কইয়া তো লাভ নাই। আবার বৈজ্ঞানিক কপচানি মারবি?
ওয়াই: হ।
এক্স (দীর্ঘশ্বাস): আজাইরা! মার।
২
ওয়াই: সেদিন ডক্টর রবার্ট সাপোলস্কির একটা ভিডিও দেখতাসিলাম ট...
১
রাগ নিয়ে আমার আগ্রহের কমতি নেই। এর মূল কারণ, এই আবেগটা আমি মোটামুটি নিয়মিতই অনুভব করি। এই যে এখনও করছি - অফিসের একটা কাজ, আর আমার বোনের একটা কাজ নিয়ে। রাগ থামাতে বসে বসে রাগ নিয়ে লেখাপড়া পড়ছিলাম। তেমন কাজ হয়েছে বলে মনে হয় না, বাসায় এসে বোনের সাথে কতক্ষন উঁচুগলায় কথা বলেছি।
তবে আমি খুব 'রাগী' তা না। গড়ে সপ্তাহে একবার পিসড অফ হয়ে যাই। আমার চেয়ে অনেক বেশিহারে রাগী লোক হাতের কাছে বেশ...
এই ঘটনা হামেশা হয়। টেলিফোনে লোকজন আমাকে জিজ্ঞেস করে 'নাহিদ খান সাহেব আছেন'। আমি বলি 'নাহিদ বলছি'। মেয়ের গলা শুনে সাথেসাথে ফোনের অপরপ্রান্ত বলে 'হ্যালো নাদিয়া, কেমন আছেন'! 'নাদিয়া' নিজের দ্বিতীয় নাম হিসাবে মেনে নিয়েছি, নাহিদ খান কে আমি চিনিনা!
আমার বন্ধু 'শাফকাত আনোয়ার' গ্রামীণ ফোনে অনেক অঘটন এর জন্ম দিয়েছে তার নাম দিয়ে। অনেকে নামের সাথে মানানসই রাশভারী মধ্যবয়সী কোনো ভদ্রলোক দেখতে গ...
প্রতিদিন দুশ কিলোমিটারের জন্য যদি তিন ঘণ্টা আর মাঝে আট ঘণ্টা গবুষেনা, অন্যের পাকা ধানে মই দেয়া বা অন্যের গা থেকে চর্বি কমিয়ে মডেলদের মত লীন(lean) করতে গোলটেবিল আলুচনা বাবদ খরচের সাথে নিদ্রাদেবীর কাছে সাত ঘন্টা সময় দিয়ে দিনের বাকি চার ঘণ্টা চলে যায় দৈনন্দিন দৈহিক উইটিলিটি, কিচেন রুম, সুদূরে কারো অপেক্ষার অবসান ঘটনো, সারাদিনের কাজের হিসেব প্রাতিষ্ঠানিক ভাষায় লিখে রেখে একটু ...