[justify]
নিজের মনে খুব ছোট একটা তালিকা আছে আমার। সেখানে খুব আপন কিছু মানুষের নাম লেখা আছে। সংখ্যায় বেশি না, এখন পর্যন্ত গোটা দশেক মাত্র।
দেশ ছেড়েছি প্রায় ছয় বছর হতে চললো। প্রবাসে এসে অবধি এখানে-সেখানে কাটছে যাযাবরের মতো। ইতোমধ্যে ভিন্ন স্বাদের তিনটি শহরে দীর্ঘ সময়ের জন্য থাকা হয়ে গেছে, সাকুল্যে ডজন খানেক ঠিকানা হয়েছে। পশ্চিমের কিছু অঙ্গরাজ্য বাদ দিলে আমেরিকায় ঘুরে বেড়িয়েছি প্রায়...
আমার ছেলেবেলাটা কেটেছিল গ্রামে, শীতের সকালে খেজুরের রস আমার অনেক পছন্দের একটি জিনিস ছিল। দাদু এ ব্যপারটি লক্ষ্য করে আমাদের গ্রামেরই এক বুড়ো গাছিকে রোজ সকালে রস দিয়ে যেতে বলেন। দিনকয়েক যেতে না যেতেই আমার সাথে বেশ ভাব হয়ে যায় গাছি হারুন দাদুর। কোন কোন দিন খুব ভোরে শিশিরভেজা ঘাস বা গ্রামের আলপথে আমাকে তিনি নিয়ে গেছেন কোন একাকী খেজুর গাছের পাশে। গরম কাপড়ে আগাগোড়া আবদ্ধ আমি শুধু অব...
গপ্পো না কাব্য-
পরে বসে ভাববো ।
ভাবনার কেঠো নদী
অতীব অনাব্য ।
জল নেই জলাতে
যাই কলতলাতে
চার ফোঁটা ভাগ পেতে
ঝুলি কারো গলাতে ।
বেতালের শাসনে
বসে রাজ-আসনে
তিতকুটে ক্ষীর খাই
টকে যাওয়া বাসনে ।
ভেতো জিভে তেতো স্বাদ-
ক্ষীণ দেঁতো প্রতিবাদ ।
আবাল্য বেতো মনে
বায়বীয় বুনিয়াদ ।
সিলিকন স্বর্গে
যা খুশি কর্ গে ।
পাশ ফিরে পড়ে থাক্
শীতাতপ মর্গে ।
বুনোহাঁস
[justify]
অচলায়তন থেকেই নাম দিলাম।
বাংলাদেশে দ্রষ্টব্য জায়গা কম আছে যেখানে অন্ততঃ একবার যাই নি। ছোট বেলায় বইয়ে পড়েছিলাম বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দেশ। বিনা প্রশ্নে মেনে নিয়েছিলাম। আরেকটু বড় হয়ে বাইরের পৃথিবী যখন হাতের মুঠোয়, "পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দেশ" শুনলে অবিশ্বাসে স্মিত হাসতাম। ধুর, বাংলাদেশ আবার একটা দেশ। বরফই পড়ে না...কিসের কি। আব্বা-আম্মার সাথে একবার কক্সবাজার ভ্রমণ......
[justify]
প্রতিবার লিখতে বসার সময়ই মনে হয় তোকে নিয়ে লিখব। কোনবারই হয়ে ওঠে না। তোকে নিয়ে লিখে কী পুরোটা শেষ করা যাবে, তুইই বল? একবার লিখেছিলাম ও কিছুদূর। প্রথম প্যারা শেষ হতেই দেখি কী-বোর্ড ভিজে যাচ্ছে অনর্থক চোখের পানিতে। ওযাত্রায় আর লেখা হল না। আজ কী তবে শেষ করতে পারব?
তোকে দেখি না অনেকদিন। সাত মাসের বেশিই হয়ে গেল। শেষবার যখন তোকে দেখি কী করছিলি তোর মনে আছে? সিএনজিতে বসে আমার সাথে সে ক...
”আবার যদি এইরকম করে গান শুনিস, থাপ্পড় খাবি একটা।” এই ডায়লগ আপার মুখে প্রায়ই শুনতে হয়। কারণ আমার গান শোনার ধরণটা খুবই ইরিটেটিং। বোধহয়। কোনো গান আমাকে খুব বেশি ছুঁয়ে গেলে সারা দিনরাত ওই একটা গানই ঘুরে ঘুরে শুনতে থাকি। সক্কালবেলা ঘুম থেকে উঠেই কম্পুতে বাজিয়ে দেই। পাশাপাশি চলতে থাকে আমার অন্য সব কাজ। এখন ”পথে পথে দিলাম ছড়াইয়া রে” বা ”চলো ভিজি আজ বৃষ্টিতে” শুনলেই আপা আমাকে প্রায় তে...
[আবার বহুদিন আমি নাই। 'নাই' ব'লে তো আসোলে কিছু নাই। ছিলাম তো নিশ্চয়ই কোথাও, অন্য কোনোখানে। কোথাও কিছু অশুদ্ধ হয়ে যায় নাই আমার না-থাকায়, বরং যা আমাকে পাশ কাটিয়ে ওই প্রত্যেক সময়টাতেও ঘটেছে এখানেও, সেগুলোই না-পৌঁছানো পাড় হয়ে থাকলো আমার। সরেছিলাম বলতে, আসোলে ছুটিই নিয়েছিলাম একটু, এখানকার চৌদ্দআনা দখলদারিতে নিজেকে আর কোথাওই একটুও ব্যয় করতে পারি না ব'লেই। ছুটতে চাইনি, এখানট...
জ্যোৎস্নাবনে, চন্দনছায়ায় আমাদের মায়াবীরাত
এসেছিলো, চলেও গেছিলো চোখ ছলোছলো
অভিমানী কিশোরীর মত একলা, মৃদুপায়ে।
এখনো কপালে যেন তার চুলগুছির ছোঁয়া,
তার পায়ের শব্দের চলে যাওয়া হরিণপাহাড়ীর দিকে
এখনো লেগে থাকে স্মৃতির কানে কানে-
সে স্মৃতিও বুড়ী হয়ে এলো।
আমাদের ঘুরে ঘুরে পাহাড়ে ওঠা
শিউরে ওঠা চুলের কাটার বাঁকে,
হাতে হাতে হঠাৎ ছোঁয়া, বেভুল-
বৃষ্টিথা...
প্রথমেই একটা বিষয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে নেই। কোন কিছুর বর্ণনা টাইপ কিছু লিখতে গেলে আমার দু' চারটা কি-বোর্ড ভাংতে হয়। গুছায় কিছু লিখার গুনটা ইন্টার পরীক্ষা দেয়ার পর পরই বোধ হয় ধুয়ে মুছে শেষ।তাই লিখার পিচ্চি সাইজ দেখে নিজ গুনে ক্ষমা করবেন।
বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশ পিচ্চি পোলাপান। এদের মোদ্ধে আবার একটা বড় অংশ বড় হয় গ্রামাঞ্চলে। আমরা অনেকেই এদের অধিকার, শিক্ষা, স্বাস্...
হাঁটু গেড়ে পূব দিঘীর ঘাটে নামছে রোদের পোস্টম্যান। তাড়াহুড়ো করে কলোনী ছেড়ে ঘরে ফিরছে হলদে পাখির দল, যার ঘর নাই তারও কী প্রচন্ড তাড়া! কারও হাত থেকে এইমাত্র ঘুরে ঘুরে পড়ল একটি আধ খাওয়া সিগারেট, চকচকে চামড়ার জুতো পিষে ফেলছে সেই জলন্ত সিগারেটের বাট। রাস্তার পাশে কোন এক মহিলা ফুঁ দিয়ে চুলার আগুনকে লেলিয়ে দেয়। দাউ দাউ আগুন। পাশে দুইটা ক্ষুধার্ত শিশু অধির আগ্রহে তাকিয়ে আছে উৎরানো ভাতের...