“আমি তখন ভারতের মিজোরামে, দেমাগিরি ট্রেনিং ক্যাম্পে।২ মাস ধরে কোনো অপারেশনে যাই না, মনি ভাইয়ের (শেখ মনি) নির্দেশে ক্যাম্পে পলিটিকাল অ্যাডভাইসরের কাজ করি আর ইন্ডিয়ান আর্মির ট্রেনিং এ ছেলেপেলেদের নিয়ে অংশ নেই। তখন সম্ভবত নভেম্বর, যুদ্ধের প্রায় শেষের দিকে। বিরক্ত হয়ে গেছি ক্যাম্পে বসে থাকতে থাকতে, খালি মনে হয় এই কাজের জন্য তো যুদ্ধে আসি নাই। ফ্রন্টে আবার যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে আ...
[justify] অফিস থেকে ফিরতে ফিরতে আজকেও অনেক দেরি হলো। রাত বাজে প্রায় আটটা। সকাল ১০টা থেকে বিকেল পাঁচটার লম্বা সময়টা কংক্রীটের সেই খাঁচাটায় কাটিয়ে যখন বাইরের রোদ ঝলমলে আকাশের নিচে দাঁড়াই, তখন আপনা থেকেই ভালো লাগার পারদটা বেড়ে যায় কয়েক দাগ। বাতাসের সাথেও তখন কথা বলতে ইচ্ছা করে, আজকাল বাক্সে বন্দী আমার যে ওদের সাথে দেখা হয় খুব কম! তবে আজকের কথা আলাদা। সকালে অফিসে একটা ভাউচারে সই ...
ঐ হাউ কাউ পর্যন্তই। শেষ পর্যন্ত কোন কামড় টামড় খেতে হলোনা। বোনান রণংদেহী কুত্তাগুলোকে ঠিক সামলে নিল। অফিসে ঢুকে লম্বা আলোচনা শেষ করতে করতে সন্ধ্যা। ওর বাড়িতেই খেয়েদেয়ে হোটেলে ফিরে ঘুম।
ঘুম ভাঙলো মাঝরাতে। ভাঙলো তো ভাঙলোই—আর জোড়া লাগার নাম নেই। বুঝলাম বায়োলজিক্যাল ক্লকের পাল্লায় পড়েছি। জোরাজুরি করে কাজ হবেনা। এর চেয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করে আসা ...
কিছু কিছু শিল্পী আছেন যাঁরা তাদের গান দিয়ে আমাদের ভাসিয়ে নিয়ে যান। কিছু কিছু শিল্পী আছেন যাঁদের গানে আমরা দিনের পর দিন ডুবে থাকতে পারি। আবার কিছু কিছু শিল্পী আছেন যাঁরা আগের দুই দলের মত দীপ্যমান নন কিন্তু তাঁরা বাতাসের মত আবশ্যকীয়, অস্ত্বিতশীল। দরকারী সময়ে তাঁদের গানের বানী আমাদের মনে পড়ে, অলক্ষ্যে আমরা তাঁদের গান গুনগুনিয়ে উঠি। ক্রিস ডি বার্গ হচ্ছেন এমন ...
ফুলবাণু, তুই বুঝি আজ যাচ্ছিস? সুধাকে বলিস অমল নেই, তার সঙ্গীরাও সবাই চলে গেছে সাগরপাহাড় ডিঙিয়ে। আর ফিরবে না তারা কেউ। অম্বার উঠানে আমগাছের ছায়াটি শুধু একই আছে, সকাল থেকে দুপুর অবধি কমতে থাকে আবার দুপুরের পর পুবের দিকে গড়িয়ে গিয়ে বাড়তে থাকে। মেঘদুপুরে ছায়া পড়ে না, অম্বা সেদিন বসে বসে পাকাচুল ভরা মাথাটা নাড়ে। সেই যে সুমন ফিরে এলো না-সেই থেকে অম্বা....সুমনের কথা মনে আছে তোর ফুলবাণু? তার...
[justify] সকালে অফিসে এসে লবি পেরিয়ে এলিভেটরের বোতাম টিপে দাঁড়িয়ে আছি, চোদ্দ তলায় যাবো। চারিদিকে কেউ নেই, একা গুনগুন করছি কোনো গান, এলিভেটরের দরজাটা খুলে গেলো তখনই। ভেতরে কে আছেন দেখার আগেই যেটা পেলাম তা হলো একটা মনোরম সুগন্ধ। গন্ধের নাম দেওয়া কঠিন কাজ, তবে মনোরম শব্দটাই সবচেয়ে কাছাকাছি যায় বলে মনে হলো, মৃদু ঘরোয়া মন-ভালো-করা গন্ধ। ভেতর থেকে এক মধ্যবয়সী সুবেশা ভদ্রমহিলা বেরিয়ে সৌজন্য...
[ডিস্ক্লেইমার ১: শিরোনাম দেখে বিভ্রান্ত হবেন না। এটা কোন চাঁদ কিংবা মামা বিষয়ক পোষ্ট নয়। একটা ক্যামেরা কিনতে চাই স্রেফ তা কেনার ব্যাপারে পরামর্শ চেয়ে পোষ্ট।]
আমি যে শুধু চক্ষুকানা (চোখে কম দেখি দেখে) তা না; আমি রাস্তা কানা, রংকানা (এই পোষ্টের রং এর বাহারটাই একবার দেখুন না), টেকিকানা (মানে কম্পুকানা, ক্যামেরাকানা, ডিভিডি প্লেয়ারকানা, PS3 কানা - সোজাকথায় যাবতীয় বিদ্যুৎ, ব্যাটারি এবং ত...
[ নিচের লেখায় অনেক সাহিত্য-আইন লঙ্ঘন হতে পারে, বানান ভুল হতে পারে, দাঁড়ি-কমার ভুল থাকতে পারে, সাধু-চলিতের মিশ্রন থাকতে পারে। আগেভাগেই ক্ষমা চেয়ে নিলাম। ]
অনেক ভয় আর শঙ্কা নিয়ে লিখতে বসেছি। গত কয়েকদিন ‘অতিথি লেখক’দের নিয়ে যে কাঁটাছেড়া চলছে, ভয়ই লাগে যদি আনাড়ীলেখক,জামান সাহেব বা দলছুট এর সাথে আমার নামটাও জড়িয়ে যায়। তবে আমার ‘পরিবর্তনশীল’ বন্ধু মহিবকে বলে রেখেছি...দেখ্ ভাই, লেখা যদি...
"একটু বসতে পারি?" যদিও পার্কের বেঞ্চে বসার জন্য কারো অনুমতি লাগে না, তবুও সৌজন্যতা হেতু অনুমতিটা চেয়ে নিয়ে বসে পড়ল সীমিন। রোদ চশমাটা রঙ করা চুলের উপর তুলে দিয়ে পার্স থেকে ছোট একটা আয়না আর টিস্যু বের করে নিজেকে দেখে নিয়ে ঘাম মুছে নিল।
ভাবনার পালে হাওয়া লাগিয়ে কিছুক্ষণের জন্য পৃথিবীর বাস্তবতা থেকে সরে ছিল রিচা। সীমিনের কথায় পালের হাওয়ায় বাদা পড়ল। উড়তে থাকা ঘুড়ি যেমন বাতাস না পেলে ...
আগের পর্বগুলো এখানে:
জয়বিজয়
দিন যায়, হিরণ্যকশিপুর শাসনকালে খুবই উজিয়ে ওঠে দৈত্যরাজ্য। যাকে বলে সুবর্ণযুগ। সব ঋতুতে সব ফলফলাদি পাওয়া যায়, জমিতে অঢেল শস্য তো হয়ই, সমুদ্র থেকে পর্যন্ত সম্পদ আহরণ করা হয়। প্রজারা সুখে আছে, রাজার মনেও আনন্দ।
...