Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

সববয়সী

বিস্মৃতি ও আনন্দের কবিতা

মূর্তালা রামাত এর ছবি
লিখেছেন মূর্তালা রামাত (তারিখ: শনি, ২৭/০২/২০১৬ - ৮:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(অভিজিৎ রায় স্মরণে)

আমার কিছু মনে পড়ে না-
মায়ের মুখ, বাবার হাত ধরে
ইশকুলে যাওয়া- ভাসা ভাসা কিছুই
চোখে ভাসে না!

প্রেমিকাকে প্রথম চুমু খাবার স্মৃতি
আমি ভুলে গেছি, আসলে শরীরের কোথায়
ঠোঁট থাকে তা যদি জিজ্ঞেসা করো
খোদার কসম, আমাকে হাতড়াতে হবে!

আমার মেয়ে যখন ছোট্ট আঙুলে এসে
হাত ধরে টানে- বাবা?
আমি অবাক হয়ে ভাবি, কোথাও
কোন ভুল হচ্ছে নাতো!


আইনস্টাইন এবং তাঁর স্পেশাল ও জেনারেল থিওরি অব রিলেটিভিটির প্রতি কৃতজ্ঞতা

রিসালাত বারী এর ছবি
লিখেছেন রিসালাত বারী [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২৬/০২/২০১৬ - ৯:২৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ আবিস্কারের পর থেকে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সব খানেই নানান হৈ চৈ শুরু হয়েছে। সঙ্গত কারণেই তার একটা ধাক্কা বাংলাদেশেও এসে লেগেছে। পাড়া-মহল্লা থেকে অফিস আদালতে অনেকেই গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ নিয়ে কথা বলেন এবং সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ডের লোকজন তাদের ইন্টারমিডিয়েটে পড়া আইনস্টাইনের স্পেশাল থিউরি অব রিলেটিভিটি সংক্রান্ত জ্ঞানের কথা দুয়েক লাইনে তুলে ধরেন। এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। আমি নিজেও এমন কোন দাবী করি না যে আইনস্টাইন বুড়োর জেনারেল রিলেটিভিটি, স্পেশাল রিলেটিভিটি দুইটাই বুঝি। কিন্তু এই নিয়ে কোন ধরনের আলোচনায় সাধারণত তাচ্ছিল্যের হাসি মুখে ঝুলাই না। "বিবর্তন শুধুই একটা থিওরি" বলার মত "জেনারেল রিলেটিভিটি" বা "স্পেশাল রিলেটিভিটি"ও শুধুই থিওরি - এরকম ভাবার মত লোকজন প্রচুর। আশ্চর্যের ব্যাপার তারা মোটামুটি সবাই সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ডের। তাদের ধারণা, খুব দ্রুত কোন কিছু দৌড়াতে শুরু করলে সময় তার জন্য মন্থর হয়ে যাবে এইটা একটা গাঁজাখুরি কথা। দুয়েকটা ইকুয়েশন আছে ঠিকি কিন্তু এর কোন বাস্তব প্রয়োগ নাই। দুঃখিত স্যার, আপনার ধারণা ভুল। এর বাস্তব প্রয়োগ আছে! সেটা নিয়েই আজকের জ্ঞানের আসর।


ভয়ঙ্কর সেই সন্ধ্যা

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২৬/০২/২০১৬ - ৬:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি। একটা দুঃস্বপ্ন তাড়া করে ফিরেছে একটা বছর। অনেক লেখা হয়েছে তাঁকে নিয়ে। অনেক টকশোর বকবকানি শুনেছি। শুনেছি পুলিশের আশাবাদ। ফল কিন্তু শূন্যই রয়ে গেছে। অভিজিৎদা হত্যার বিচার হবে কি হবে না, সে বিষয় নিয়ে লেখার উদ্দেশ্য নয়; সেটা বোধহয় সবাই অনুমান করতে পারছেন। আমি শুধু একবছর আগের সেই দিনের স্মৃতিচারণ করতে চাই।


আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২৬ফেব্রুয়ারি

আহমেদুর রশীদ এর ছবি
লিখেছেন আহমেদুর রশীদ (তারিখ: শুক্র, ২৬/০২/২০১৬ - ৩:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বইমেলায় ঢুকার আর বেরুবার আমরা আমাদের মত করে কিছু স্টাইল বানিয়ে নিয়েছিলাম। স্টলের পর্দা নামিয়ে শুদ্ধস্বরের সামনে থেকে বেশ বড়সড় একটা দল ধীর পায়ে বেরুবার পথ ধরে হেঁটে যেত। এদেরকে দেখলেই মনে হতো; মেলা থেকে বেরুবার কোন ইচ্ছা এদের নেই। কিন্তু বাধ্য হয়ে এরা ফিরে যাচ্ছে। এই দলটা হাঁটতে হাঁটতে টিএসসির মোড়ে বা ছবির হাটে বা শাহবাগ মোড়ে যাত্রা বিরতি করতো কয়েকবার। চিংড়ির মাথা, মাশরুম ভাজা, চা-সিগারেট তারপর যে


অন্তর্জলী যাত্রা

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি
লিখেছেন ত্রিমাত্রিক কবি (তারিখ: শুক্র, ২৬/০২/২০১৬ - ৩:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সপ্তাহ শেষ হয়ে আসলেই ভাবতে শুরু করি, এইই শেষ সপ্তাহ। এরপর সব ঠিকঠাক করে নেবো। আইন্সটাইনের স্পেসটাইম কন্টিন্যুয়ামের জটিল সূত্রের কোনো অনুসিদ্ধান্ত অনুযায়ী বয়স কোনো এক ফাঁকে ত্রিশ অতিক্রম করে গেছে তাও সম্ভবত বছরখানেক আগে। যদিও এই ত্রিশ বছরে স্থান অতিক্রম করার মাত্রাটা সেই হারের সাথে পাল্লা দিতে পেরেছে এটা কোনো মানদণ্ডেই বলা যাবে না। অবশ্য পদার্থবিদ্যার সূত্রের কোন ফাঁকির পাল্লায় পড়ে হিসাবের খাতায় কে


নিঝুম দ্বীপঃ সেদিন যেখানে ভেসে ছিল দশমীর চাঁদ, তবু মিষ্টের সাথে যুক্ত হলো তিক্ত স্বাদ

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৫/০২/২০১৬ - ১২:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার শহর থেকে সমুদ্র পাড়ি দেয়া জাহাজ ছাড়ে অথচ জাহাজে চড়িনি কখনো। যাত্রীবাহী জাহাজের দৌড় যদিও সন্দ্বীপ হাতিয়া কিংবা বরিশাল, তবুও তো সমুদ্র দর্শন। এবার জাহাজ ভ্রমণ হয়ে যাক। কয়েক বন্ধুকে বলতেই রাজী। তারপর একদিন সকালে ব্যাগ গুছিয়ে সদরঘাট জাহাজ ঘাটে চলে এলাম। আজকে জাহাজ যাবে হাতিয়া। হাতিয়ার পাশে আছে নিঝুম দ্বীপ। নিঝুম দ্বীপ নামটা শুনেই কেমন একটা রোমাঞ্চ বুকের ভেতর নির্জনতার ডাক দেয়। সঙ্গীহীন একাকী একটা


আমার বন্ধু মিরাজ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৫/০২/২০১৬ - ১২:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(মোখলেস হোসেন)

আমার বন্ধু মিরাজ
পঁচিশ ইঞ্চি উদরে তার
দৈত্য করে বিরাজ।

কোথায় ঠাসে এত্ত খাবার!
শেষ করে কয় খাচ্ছি আবার
চায়না গিয়ে বায়না ধরে
সবকটা চাইনিজ শহরে
খাইতে হবে খানা।

চিংড়ি খাবো মুরগি খাবো
গিরগিটি সাপ ব্যাঙ সাঁটাবো
বাংলা মেনুর গুষ্টি কিলাই
পারলে খাবো হোঁতকা বিলাই
শুনবো নাকো মানা।

আমার বন্ধু মিরাজ
খেতে খেতে হয়েই গেলো
পেটুক রাজাধিরাজ।


কাসা পোপোরলুই

জীবনযুদ্ধ এর ছবি
লিখেছেন জীবনযুদ্ধ [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২২/০২/২০১৬ - ১:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]আজ থেকে প্রায় দশ বছর আগেকার কথা। আমি তখন ডালাসে ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসের ছাত্র। আমার প্রফেসরের গবেষণা প্রকল্প নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় আমার বৃত্তির টাকা বন্ধ। ওদিকে আমার ব্যাঙ্কের হিসেবে তখন আছে মাত্র দুশো নব্বই ডলারের মতো। এ টাকায় বাড়ি ভাড়া দেয়া তো দূরের কথা, এক মাসের বেশি খাবার খরচও চলবার কথা নয়। চরম দুঃসময় আমার তখ


বুদ্ধিজীবী! বুদ্ধিজীবী! বুদ্ধিজীবী!

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ২১/০২/২০১৬ - ৩:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৯৪৯ সাল। ঢাকা থেকে মাহে-নও, মোহাম্মদী, নওবাহার নামের পত্রিকা ছাপানো হত।


অসহ্য অসুখ

মূর্তালা রামাত এর ছবি
লিখেছেন মূর্তালা রামাত (তারিখ: শনি, ২০/০২/২০১৬ - ৭:৪৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এমন নয় যে,
সকালে একদিন
ঘুম থেকে উঠে দেখলে
তোমার ভেতর
ফুল ফল সমেত একটি গাছ !

বহুদিন ধরেই কিছু একটা হচ্ছিল,
ভেতর থেকে হাত পা ছড়িয়ে উঠে আসছিল কেউ,
আর তুমি ভেবেছিলে দুটো প্যারাসিট্যামল
বা অ্যান্টাসিড খেলেই
সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে!

কিন্তু হয়নি,
দিনের পর দিন ধরে
গাছটি বেড়ে উঠেছে- তোমার
নখ থেকে চুল, নিঃশ্বাস থেকে
কল্পনা পর্যন্ত তার আঁকাবাকা গভির শেকড়
তুমি এখন পরিপূর্ণ টের পাও-