অনেকবার সিলেট অঞ্চলে গেছি; কিন্তু মাধবকুণ্ড যাওয়া হয়নি- এই শোক দীর্ঘদিনের। এবার আর কিছুতেই এই সুযোগ হাতছাড়া করা ঠিক হবে না। যতই থাক না, মেঘের চোখ রাঙানি আর বৃষ্টির টাপুরটুপুর। আমরা শপথে বদ্ধপরিকর! ২১ জুলাই আমরা তিন ভ্রমণপিয়াসি হাজির হলাম মাধবকুণ্ডে।
কোন কালে, কোনো এক অতীতকালে এখানে আস্তানা গেড়েছিলেন এক সন্ন্যাসী মাধব চন্দ্র, মতান্তরে মাধবেশ্বর- যাঁর নামানুসারে এ এলাকার নাম ...
১
আজ ভোরে অতিথি হিসেবে সচল হলাম। এখানে (আয়ারল্যান্ডে) তখন রাত তিনটা। কি লিখবো ভাবছিলাম। লক্ষ্য করেছি সবাই প্রথম পোস্ট একটু বিশেষ ভাবেই দিয়ে থাকেন। সচল হবার অনুভুতিটাই অন্যরকম। হোক না অতিথি, নিজের ব্লগ থেকেইতো লিখছি। তাই প্রথম পোস্টটাও একটু অন্যরকম বিশেষ লেখার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু সেই 'বিশেষ' বারবারই একটা গতানুগুতিক ধারার দিকে চলে যাচ্ছিল। যখন প...
.
তাঁকে হত্যা করার আগে
একটুও কেঁপে উঠেনি ওদের হৃদয়
কেনো না ওরা তো মানুষ নয়
মানুষ ছিলো না কোনোদিন।
তাঁর ভালোবাসায় উপচে পড়া বুকে
বুলেটের নির্দয় নগ্নতাকে তাক করার আগে
দ্বিধান্বিত হয়নি একবারও তাদের হিংস্র নখর
কারণ, ওরা মানুষ ছিলো না কখনোই
মানুষের কোনো নখর থাকে না,
মানুষের গর্বিত আঙুলে জড়ানো থাকে মোহন স্নিগ্ধতা।
ঘাতকেরা মানুষ হয় না কখনো
ঘাতকের কোনো জাতিসত্তা নেই।
(১৫/০৮/১৯৯৬)
[justify]
আটলান্টিকের পাড়ে দাড়ানো ইউরোপের এক দ্বীপদেশ আয়ারল্যান্ড। এ দেশে আসার পর এ জাতির রাগবীর প্রতি বাড়াবাড়ি রকমের ভালোবাসা আমাকেও ধীরেধীরে নাড়া দেয়। উঠতে বসতে, রাস্তাঘাটে, বাসে-প্রান্তরে এদের রাগবী প্রীতি বেশ দারুন লাগে। উপবৃত্তাকার আকৃতির একটা বল যে কত উন্মাদনার সৃষ্ট করতে পারে সেটা এখানে না আসলে হয়তো জানা হতো না। ছোট ছোট বাচ্চাদের টি-শার্টে লেখা দেখেছি - “টু ইয়াং, কান্ট প্লে ...
ইউরোপে সামার ভ্যাকেশন একটা বিরাট কিছু। আগে অবশ্য সেটা বুঝতে পারি নাই। তখন জানতাম ভ্যাকেশন মানে প্লেনের টিকেট, ট্রেনের টিকেট, হোটেল, জিমার সবকিছুর দাম বেড়ে যায়। সে সময় বেশি বেশি নিজের বাড়ি আর গাড়ি ব্যবহার করতে হয়। ভ্যাকেশন বাদে অন্যসময় ঘুরাঘুরি করতে হয়। মেয়ে যবে থেকে স্কুলে যাচ্ছেন তবে থেকে অবশ্য সে সব বন্ধ। ওলন্দাজ পাজিরা এয়ারপোর্টে যেয়ে বসে থাকে, কোন গার্জেন স্কুলকে ফাঁকি দি...
গত লেখাতে উল্ল্যেখ করেছিলাম যে আমি ছোটবেলা থেকেই কিছুটা ভাবুক গোছের ছিলাম। আমার এহেন ভাবনার কারণে প্রায়শই দেখা যেতো গাছের মুচি এবং আমড়া পেকে বড় হবার আগেই গাছ থেকে নাই হয়ে যাচ্ছে! ওগুলো যে আমারই পেটে যাচ্ছে তা কি আর আমার নানা বুঝতেন? উনি লাঠি নিয়ে প্রায়ই চক্কর দিয়ে যেতেন বাগানে, যদি পাড়ার বাঁদর ছেলেপিলেগুলোকে হাতে নাতে ধরা যায়! যা হোক, প্রকৃতি এবং বিজ্ঞান নিয়ে আমার ব্যাপক চিন্তা ভ...
[এখানে আমি শিবির নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছি, যেখানে '৭১-এ জামায়াতের যুদ্ধাপরাধের কথার দিকটা ভাবা হয়নি। এটি ইনএক্সকিউজেবল এবং আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। আলোচনা অনুসরণের সুবিধার্থে আমি লেখার কোন অংশই মুছিনি। বিস্তারিত মন্তব্য অংশে দেখুন।]
১
আমি বসে বসে হুমায়ূন আজাদকে নিয়ে লেখাগুলো পড়লাম (কবিতাটা বাদে; আমি আসলে কবিতা মনোযোগ দিয়ে না পড়লে বুঝি না, তাই)। জুবায়ের ভাই,...
একটু একটু করে সময়ের মোচড়ে জীবন বদলায়। জানুয়ারীর কোনও একটা সময়ে গর্ভে আসা আমি সেই প্রতিটা দিনের সাথেই বদলেছি, যে বদলের ধারা চলছে এখনও, আমি মরার পরেও কি শেষ হবে? কিছুদিন তো চুল আর নখ বেড়ে চলবেই, তারপরে ব্যাকটেরিয়ার কব্জায় আমার সাধের শরীরটা সার হবে, ছোট ছোট অংশ হয়ে স্থান নেবে কোনও গোলাপ ঝাড়ের একটা সাদা গোলাপে! সেই গোলাপটা হয়তোবা কোনও না কোনও দিক দিয়ে বেহিসেবী হবে আমার মতো, হয়ত বাতাসের ...
তখন আমার বয়স কতই বা হবে, ক্লাস সেভেনে পড়ি। আমার বাবার দেয়া লাল ডাইরীটা সামনে ধরে বৃষ্টি দেখছি। বৃষ্টির ফোটাগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে দেখে লিখে ফেললাম একটা কবিতা। সম্ভবত ঐ কবিতাটাই প্রথম লেখা কবিতা। তারপর মাস খানেকের মধ্য লিখে ফেললাম আরো গোটা দশেক কবিতা। ডাইরীর শেষ কবিতাটা ছিল একটা ফুল নিয়ে, কবিতার নাম "কৃষ্ণকমল"। কবিতার মূল ঘটনা ছিল- একটা ফুল যেটা নাকি প্রতি ১০০০ বছরে একবার ফুটে, ওটা ...
কেউ কি মনে করতে পারেন জীবনের প্রথম কোন গানটা শুনেছিলেন? একটা গান যে একটা গান, সেটা শুনে আনন্দ-দু:খ-হতাশা-উৎসাহ-প্রেম-বিরহ এসব হতে পারে, এটা যে একটা নেশায় পরিণত হয়ে যেতে পারে, এটার ভেতরে যে ঢুকে যাওয়া যেতে পারে, এই বোধটা কবে প্রথম এসেছিলো? আমি হাজার চেষ্টা করেও মনে করতে পারি না। আমার মা রবীন্দ্রসংগীত আর তখনকার আধুনিক গান, মানে হেমন্ত-মান্না দে এঁদের ভক্ত ছিলেন। যখন ছোট ছিলাম, আমাদে...