কি ফাটাফটি দিন না গেল গতকাল। তাড়াতাড়ি অফিস থেকে ভাগলাম , প্রায় সাড়ে ১২টায়, তারপর বাসায় চলে গেলাম, আজকে কলেজ স্টেট পেনসিলভেনিয়া যাবো আমার বসের সাথে, না না অফিসের বস না, আমার আসল গুরু তিনি। উনি যাবে উনার বন্ধুকে নামিয়ে দিতে, এক যুগ পরে তাদের দেখা। আমার স্ত্রীও যাবে আমাদের সাথে, খেয়ে দেয়ে বের হতে প্রায় ৩টা বেজে গেল। বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি, এর মধ্যেই বের হলাম। ১ ঘন্টা লেগে গেল প্রায় শহর ছে...
ছোট্ট একটা ছেলে, তার দৃস্টি আকাশের পানে।সেখানে উড়ে বেড়াচ্ছে অসংখ্য ঘুড়ি, নানা রঙের, ছোট-বড় লেজওআলা-লেজছাড়া, নানা রকমের।ছেলেটার মনে আজ বড়ো আনন্দ কারন আজ ঐ অসংখ্য ঘুড়ির ভিড়ে তার নিজেরটাকেও সে খুঁজে পাবে। সেই আনন্দে সকাল থেকে তার খাওয়া দাওয়া বন্ধ। আজ বন্ধের দিন সুতরাং স্কুল নেই, বাবারও অফিস নেই তাই সকাল থেকে বাপ ছেলেতে মিলে চলছে ঘুড়ি বানানোর কাজ।সেত আর কম ঝক্কির কাজ নয়, প্রথমে কাগজ দিয়ে ঘুড়ি তৈরী করা
০।
মানুষ কেন ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না জানেন? কেন হিটলার নেপলিয়নের উদাহারণ থাকার পরও রাশিয়া আক্রমণ করেছিল জানেন? আগে না জানলেও গত দিন দু'য়েক থেকে জানি। ইউনিতে উঠার পর সবাই খালি উপদেশ দিত- ইউনিতে মোটামুটি রেজাল্ট করা কোন ব্যাপার না। খালি নিয়মিত ক্লাস করবা আর প্রতিদিন অন্তত এক ঘন্টা পড়াশুনা করার চেষ্টা নিবা। এইটা কোন ব্যাপার হল!!! কিন্তু এইটাই একদিন ব্যাপার হয়ে গেল। সারাদিন ঘুরাঘ...
এই যে আমি বেঁচে আছি বইয়ে এবং বন্ধুবান্ধবে পরিবৃত হ'য়ে, ভালোবাসা দিয়ে এবং পেয়ে, রৌদ্র এবং নক্ষত্রের আলোয় ঘুরে ঘুরে -- কোনো-কোনো মুহুর্তে আমার মনে হয় এই জীবন বড়ো সুন্দর, বড়ো আশ্চর্য, যেন ভেবে পাই না মানুষের মনে কেন থাকে মালিন্য, ঈর্ষা, বিদ্বেষ -- যার প্রমান পেয়েছিলাম একবার যখন সন্ধ্যার আবছায়ায় দুটি মুখে-রুমাল-বাঁধা যুবক প্রহার করেছিল আমাকে আর পরিমলকে -- ভেবে পাই না কেন কুৎসিত বাসনা-কামনা...
(আমার অনুবাদ করা এটি লেখকের দ্বিতীয় লেখা। একই বইয়ের The Cloud and The Sand Dune এর অনুবাদ।)
মেঘ আর বালিয়াড়ি
*************
(মূল: পাউলো কুয়েলু)
ব্রুনো ফেরেরো লিখেছিলেন, "এতো সবাই জানে যে মেঘের জীবন খুবই কর্মময় কিন্তু খুবই কম সময়ের।"
একই রকম আরেকটা গল্প।
একটা তরুণ মেঘের জন্ম হয়েছিল ভূমধ্যসাগরে একটা ভীষণ ঝড়ের মাঝামাঝি। যদিও সেখানে তার বেড়ে ওঠা সম্ভব হয়নি, কারণ একটা দমকা হাওয়া তাকে তার সাথের মেঘগুলোর সা...
সত্তুরের দশক। ছড়াকার হবার বিরাট স্বপ্ন-বাসনা আর বিশাল প্রজেক্ট-পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছি।একটাই কাজ সারা দিনমান—ছড়া পড়া, ছড়া লেখা আর ছড়া নিয়ে বিস্তর চিন্তা-ভাবনা করা।আমার পৃথিবীটা তখন ছড়াময়।কেউ কেউ ধরাকে সরা জ্ঞান করে,আর আমি ধরাকে ছড়া জ্ঞান করি।আমার সামনে পেছনে ডানে বাঁয়ে সর্বত্র ছড়ানো ছিটানো ছড়া আর ছড়া।আমি জেগে থাকি ছড়া নিয়ে।ছড়াও জেগে থাকে আমার সঙ্গে। আমি ঘুমুতে যাই ছড়া নি...
১
মরি লো মরি আমায় বাঁশিতে ডেকেছে
কে চোখ রেখেছে শূন্যে
কার হাতে পদ্মগন্ধ
অদৃশ্য শিশির-সংকেত
সবুজ আকাশে লেখা সনাতন পৃথিবীর
অদেখা নদীর বাঁকে
গান গেয়ে ভেসে চলে গেছে
২
অর্ধঘুম ঝর্ণার জলের মতন বয়ে যায়
ছায়া পড়ে জলে
আকার প্রত্যাশী সেই ছায়ার শরীর
নিরাবেগ
অনচ্ছ আলোয় ভাসে জলের গভীরে
৩
সেই তো প্রথম সত্য, জাগ্রত এ চরাচর
নিত্যদিন বাসনার গান
অনন্ত এ খণ্ডকাল, প্রেমহীন অপরাহ্নব...
এও বহুদিন আগের কথা,সেই কোমলগান্ধারের সময়ের। তখনও সবকিছু হালকা, আলগা, উড়োউড়ো পালকমেঘের মতন। প্রজাপতিডানার রেণুধূলির মতন উড়ে উড়ে এসে লাগতো মুখে,চুলে,চোখের পাতায়। সেই সময়ের কথামালা এগুলো। কিছুদিন আগে ফের স্মৃতির ধূলা সরিয়ে সরিয়ে, প্রাচীন দেওয়ালের সবুজ দরোজাটা খুলে উঁকি দিয়ে দেখছিলাম, দানাদানা নুনচিনির উপরে রোদ্দুরের মতন ঝিকিয়ে উঠে মিলিয়ে যাচ্ছিল...
সবুজ বাঘের গ্যাংটক নামের কবিতা পড়ে মনে পড়ল, তাকেই চ্যাটে গল্পটা বলছিলাম। কিন্তু যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে ( আমার ধারণা এইটা বাঘ মামার ইচ্ছাকৃত, আমার গল্প শুনে হয়তো তার ঘুম পাচ্ছিল) তিনি বিনা নোটিশেই উধাও হয়ে গেলেন। মামাকে কিচ্ছাটা আর শোনানো হলোনা। তাই ভাবলাম আরোও কতো সহৃদয় বাঘের বাচ্চারা আছেন সচলে তাদেরই শোনাই। ঘুম পেলে মূলোদার আদি রসাত্মক আঁকিবুকিতে ...
আমাকে নিয়ে গেল ভোর--রাত্রিযাপনে
পথে কিছু মেঘখণ্ড পড়ে আছে ফাঁকা--নিমিলিত
তুলে নিতে গিয়ে তাতে ঢুকে গেল হাওয়া
হাওয়াদের কথা তাই বারবার ফিরে-ফিরে আসে
এইসব হাওয়া ভারবাহী
রেখা হতে কিছুটা তফাতে ছুটে গেলে
তাতে নির্জনতা ঘনীভূত হতে থাকে--ফলে
কামবোধ আরও তীব্রতর হয়ে ঘিরে ফেলছে ভোর
আর চোখের সামনে তাই বারবার বদলে যাচ্ছে
কাম ও ক্রোধের মহিমা