বিকেল নিয়ে সহজসরল কবিতা একখানা। একটা বড়ো জলরঙ ছবি এঁকেছিলাম আগে, তার একটা অংশ কেটে নিয়ে জুড়ে দিলাম সাথে, বিকেলের ছবি হিসেবে। আপনার বিকেল কীরকম, এখন, বা শৈশবকৈশোরে? লিখতে বসে কতো পুরোনো ছবি মনে আসে, গুরুত্বহীন সাধারণ তাই কখনো ভাবিনি তাদের কথা, কিন্তু আমার বিকেল যে সেই সব ছবিরই কোলাজ। আপনার ছবির কথাও শুনতে চাই, এ হলো ইন্টারঅ্যাক্টিভ কবিতা।
বইয়ে তো গান দেওয়া যায় না। কিন্তু এ...
সচলায়তনের বিভিন্ন বিষয়ের পোস্টগুলোর মধ্যে থেকে ছবি বিষয়ক পোস্ট অথবা ছবিব্লগগুলোর উপর আমার বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে। অরূপ ভাই, মুস্তাফিজ ভাই, মুর্শেদ ভাই, শোহেইল মতাহির ভাই, পিপিদা, হিমুদা এবং তুলিপুর ছবি বিষয়ক পোস্টগুলো সবসময় চেষ্টা করি পড়ার জন্য। ছবিগুলোর সৌন্দর্য্য দেখে সবসময়ই মুগ্ধ হয়ে যাই। এঁরা ছাড়াও যাদের নাম বলতে ভুলে গেছি তারা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি। সচলের কি...
চাঁদের সাথে হেঁটে বেড়ানোর সেই রাত্রে বাবা শহর হতে ফিরলেন । ইলিশ মাছের পেটের মতো ঐদিন সারা গ্রাম চকচক করছিলো জোছনায়। বাড়ির পেছনের হাওড় জুড়ে থৈ-থৈ করছিল পানি। ঢেউগুলো বার-বার এসে আছড়ে পড়ছিলো রান্নাঘরের পেছনের নারিকেল গাছগুলোর গোড়ায় ।
রান্নাঘরে খেতে বসে বাবা বললেন দু-একদিনের মধ্যে আমাদের সবাইকে নিয়ে শহরে চলে যাবেন। পরদিন থেকেই টের পেলাম আসলেই আমরা গ্রাম ছেড়ে চলে যাচ্ছি।
বাই...
রং, মেঘ আর আলোর খেলা-১
ক্যামেরা হাতে নেবার পর থেকে আমার প্রিয় বিষয় সূর্যোদয় আর সূর্যাস্থের ছবি তোলা। তেমনি কিছু কিছু ছবি এ লেখায় আপনাদের দেখানোর ইচ্ছা আছে। চলুন শুরু করি
১/২।
২০০৫ এর ফেব্রুয়ারীর ২০ তারিখ ভোর বেলা, ঘুম চোখে গাড়ী চালাচ্ছি, বারে বারেই চোখ চলে যাচ্ছে ডাইনে, সুর্যের প্রথম আলো গাছপালার ভেতর দিয়ে উঁকি দিচ্ছে, পাশে কোন খালি জায়গা না থাকাতে পুরো সৌন্দর্যটা ঠিক ধরতে পারছ...
একদম পোলাপান বেলায় বাসায় নিয়মিত কোন দৈনিক পত্রিকা রাখা হতো না। বাবা যেদিন যা খুশী কিনতেন, কোনদিন কিনতেনও না। খবরাখবরের জন্য রেডিও ছিল সবচেয়ে জনপ্রিয়। সকালে একবার রাতে দুবার বিবিসি আর ভয়েস অব আমেরিকার খবর শোনা হতো। আজকে অবাক লাগলেও সত্তর দশকে দল বেঁধে, আয়োজন করে মানুষ রেডিও শুনতো। কাছাকাছি মানুষদের মধ্যে একমাত্র বড় মামা আর মেজ চাচার বাসায় দৈনিক পত্রিকা নিয়মিত ছিল। বড়মামা সরকা...
কালকের কান্ডে সাহস পেয়ে আজো তুলে দিলাম দু'খানা ছবি।
ছবির সাথে লেখা আমার কেমন যেন বাহুল্য মনে হয়। ছবি নিজেই তো কথা বলে, কান পেতে সেকথা শুনতে চাইলে কত কী ই তো শোনা যায়! তাই নয়?
আজকাল আমার পরিপূর্ণ মুক্তির জীবন, চব্বিশ ঘন্টাই নিজের হাতে যা খুশি করার জন্য। তো একটা জিনিস আমি অবশ্যই করি, সেটা হলো ঘড়ি উল্টোপাল্টা করে দেওয়া। শোবার ঘরের টেবিল ঘড়িটা বাথরুমে রেখে এসেছি, হাতঘড়িগুলো ড্রয়ারের অন্তরতর থেকে অন্তরতম কোণে ঢুকিয়ে দিয়েছি, দেয়ালঘড়ি নামানোর ঝামেলা যদিও করি নি আলসেমি করে, তবে তাকানো ছেড়ে দিয়েছি।
এত সব পরিশ্রমের ফল হিসেবে এখন আমার দিনরাতের ...
একটা সাধারন সপ্তাহের ৪৫-৫৫ ঘন্টা আমি কর্মক্ষেত্রে কাটাই। এরকম বিশাল সময় আর কোন কার্যকলাপে আমার যায় না। পারলে হয়তো কাজ না করেই কাটিয়ে দিতাম, কিন্তু বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক কারনে কাজ আমাকে করতেই হবে (বরং বলি কর্মক্ষেত্রে সময় আমাকে দিতেই হবে), সুতরাং এই সময়টা কিভাবে খুব অপটিমালি ব্যবহার করা যায় এ নিয়ে আমার চিন্তার কোন অন্ত নেই।
আমি চাকরি করছি ঠিক ২ বছর ২ মাস ১২ দিন ধরে (আমার বয়স ...
অতি নিকটে গেলে মানুষ নদী হয়ে যায়
দূরে গেলে পড়ে থাকে পালক--পথের মায়া
পথিক হতে গিয়ে কেউ-কেউ ভুলে যায় পথ
তাদের ফিরতি পথে ভরা থাকে কেঁচো ও সাপের খোলশ
তাদের প্রত্যাবর্তনের গল্পগুলো আজ
হাওয়ায়িত ভোর--ভেসে বেড়াচ্ছে নগরে নগরে
কীর্তিনাশা ভাইয়ের দুর্দান্ত পোস্টটা দেখে নিজেরও মনে পড়ে গেলো সাগরের তীরে বসে দেখা একটা সূর্যাস্তের কথা। গত শীতে কক্সবাজারের অ্যান্জেলস ড্রপে বসে দেখা সেই দৃশ্য। আকাশের এত চমৎকার রং জীবনে খুব কমই চোখে পড়ছে। আর এত ঘনঘন রং পাল্টাচ্ছিলো যে কি আর বলবো! ঐ বিকেলেই প্রথম বুঝতে পেরেছিলাম "কনে দেখা আলো" কাকে বলে। সূর্য আর পানি মিলে কি এক রহস্যই না দে...