ফুল নিয়ে লেখা ছড়াগুলো ক্রমেই শিশুদের আঙ্গিনা ছেড়ে বড়োদের জগতে ঢুকে পড়ছে। আরেকবার বুঝলাম শিশুর সারল্য অর্জন করা সহজ কর্ম নয়। বিষয় পরিণতমনস্ক হলেও বড়োদের জন্য একচেটে হয় নি এই আশাটুকুই অবশিষ্ট আছে শুধু। ছোটোদের মতামত তো জানতে পারছি না, বড়োরাই জানাবেন কেমন লাগছে। সিরিজের আয়ু সম্পূর্ণভাবেই মন্তব্যনির্ভর।
শিউলি নিয়ে কিছু আকর্ষক পৌরাণিক গল্প পড়লাম, সেটাও শোনাই ছড...
আমার খুব প্রিয় লেখকদের একজন বিল ব্রাইসন। লেখক হিসেবে ব্রাইসন মহা পোর্টেবল - মোটামুটি যাকেই যা পড়তে দিয়েছি সবাই মহা পছন্দ করেছে। ব্রাইসনের লেখা পড়তে যেমন সরেস, শেখাও অন্ততপক্ষে ততটুক, ক্ষেত্রবিশেষে বেশি বই কম নয়; একেবারে তথ্যগত খুঁটিনাটি থেকে শুরু করে জীবনদর্শন। আমার জীবনদর্শনে ব্রাইসনের বেশ গুরুত্বপূর্ন অবদান আছে। সুতরাং 'দ্য মাস্...
স্ক্যান্ডিনেভিয়ার উপকথা(চলছে)
দেবতারা প্রচুর জ্বালানি বিস্ফোরক সাজিয়ে রেডি হলেন, যেই না চিল লোকী সগ্গের পাঁচিলের উপর দিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়েছে, অমনি ওনারা আগুন দিলেন বিস্ফোরকে। থেয়াসের পাখায় আগুন লেগে গেলো। থেয়াস মরে গেলো আর তার চোখজোড়া আকাশে ছুঁড়ে দিয়ে তারা বানিয়ে দিলেন আদিদেবতা অদীন, যাকে কিনা সাহেবরা বলে ওডিন, যার নামে বুধবার।
থেয়াসের মেয়ে সব শুনে অত্যন্ত শোকে কাতর হলো তা...
তুমি না এলে কী এমন ক্ষতি হতো?
.
এসেই জাগিয়ে দিলে অযুত নিযুত দিবারাত্রির হাহাকার। যে হাহাকার লুকিয়ে রেখেই বেঁচে ছিলাম। অন্য কোন সবুজ পৃথিবীর আশ্বাস ছিল না, তবু তোমাকে ছাড়াও চলতো আমার।
.
তুমি আসলে, পাশে বসলে, আমার দুচোখের ভেতরে তোমার দুচোখ ডোবালে। আমার অবাধ্য মন সাঁতার দিল অগম্য সাগরে। আজন্ম সাধ তোমাকে ছুঁয়ে দেখার, তবু সসংকোচ হাতটা বাড়িয়েও পিছিয়ে গেলাম।
.
গোটানো হাত পাখা মেলার আগ...
আমার বাবার বয়স এখন ৫৮, গতবছরই অবসর নিয়েছেন। আমি চোখ বন্ধ করে যদি একটা দৃশ্য কল্পনা করি যে কেউ আমার নিরপরাধ বাবার গালে একটা চড় মারছে কেমন লাগবে আমার ? ইচ্ছে করবেনা পৃথিবীটা ভেঙ্গে চুড়ে একাকার করে দেই ? ইচ্ছে করবেনা তার প্রতিবাদ করতে না পারলে মাটি ফাঁক করে তার ভেতর ঢুকে যাই কিংবা আত্মহত্যা করে নিজেকে শেষ করে দেই?
না আমার বাবার গালে কেউ চড় মারেনি কিন্তু যার গালে চড় মেরেছে সে কিন্তু আম...
স্ক্যান্ডিনেভিয়ার উপকথা
১
দেবতারা থাকতো স্বর্গে মানে আস্গার্ডে, মানুষেরা মর্ত্যে মানে মিডগার্ডে আর দত্যি দানো অসুরেরা আর সব বাকীরা নয়টি লোকের বাকী সাতটিতে। ভারী সুন্দর এক রংধনুর সেতু ছিলো স্বর্গ থেকে পাতাল অবধি। আগে ঝগড়াঝাঁটি ছিলো না কিনা, তাই ভাবভালোবাসা আর যাতায়াত ছিলো দেবতাদৈত্যে। কিন্তু পরে ঝগড়াঝাঁটি হয়ে আলাদা হয়ে গেলো। সেতুর উপরে পাহারা বসলো। বিরাট শিঙা নিয়ে দেবতা হ...
গত পাতাঝরার ঋতুতে গ্যাটলিনবার্গ গিয়েছিলাম। পাহাড়ি সড়ক দিয়ে গাড়ি চালাতে চালাতে একটা মোড় ঘুরতেই ম্যাজিক, সব সবুজ নিঃশেষ ক'রে সে এক হলুদের বিস্ফোরণ! অদ্ভুত এক আলো শুধু সেইখানটাতেই, তার মধ্যে যেন নীরবে বাজছে সিম্ফনী কোনো। কালো কালো গাছের গুঁড়ির উলম্ব গাম্ভীর্য আর হলদে পাতাভরা শাখার হরিজন্টাল চাপল্য, দুয়ে মিলে জাপানি স্ক্রোল পেইন্টিং।
যাঁরা গ্যাটলি...
উফফ! মাত্র নিউ মার্কেট থেকে মিরপুর-১৪ সাইকেল চালায় আসলাম।
ছোটবেলায় সাইকেল চালায় নতুন এলাকা ঘুরা ছিল আমার বড় প্রিয় কাজ। কত জায়গায় যে গেছি। কতদিন চালাই না, ইচ্ছা করে। হঠাৎ কিনে ফেললাম!
নতুন বাইসাইকেলটা গিয়ার আর সাসপেনশনওয়ালা। ভাল কইরা টেস্ট করার একটাই উপায় মনে হইল, চালায় আসা। ভাইরে, গোসল হইয়ে গেছে, কিন্তু মজা পাইছি। আজকে আর ভাবের কিছু লেখনের এনার্জি নাই। আহহহ।
এখানে কেউ গিয়ারও...
দোহারা দোহাই
স্মৃতির গভীর ভিড়ে অবিন্যস্ত আবার যে সময়গুলো,
খাঁজে ভাঁজে ছিল যেই পুরোনো মুখের মালা-
সবই অস্ত গেলে, ভাগ্যে
সুবেহ্ সাদিকের আলো হয়ে
তুমি চিরে নিলে সেই আঁধার।
চিরকৃষ্ণ আমাকেও টেনে নিয়ে দীর্ঘ শুক্লপক্ষে,
তুমি হ’লে পারষ্পরিক রোদের আধার।
গ্রাস করছিল আমায় কিনে নেয়া চেনা মেঘগুলো,
সমূলে ভেজাচ্ছিল তুমুল গরম ঘনভাঁপে।
ছোঁ-তে এনে ডানার ভেতর গুটিয়ে নিয়ে,
শুকিয়ে আ...
বাংলা বানান-বিষয়ক ছড়াহ্বান:
যাদের বানানের অবস্থা করুণ,
তাদের বানানোর ব্যবস্থা করুন।
(এ তো বড় মুশকিলের কথা। আমি গুণে দেখলাম এগারো শব্দ অথচ বলে ১০ শব্দের কমে পোস্ট ছাড়া যাবে না। এই কারণে এই বন্ধনীভুক্ত বকর-বকর।)