হার্মাদ ঝড় এসে
দপ করে আকাশের পিদিম নিবিয়ে দিল।
সবাই এসো দাঁড়াও হাতে হাত
মরছে দেখো মানুষ দিন রাত
কিশোরী মার দুচোখ ভেসে যায়
শিশুটি তার ধুঁকছে অসহায়
বৃষ্টি আর ভীষণ কলেরায়…………………………
( মূলঃ জোয়ান বায়েজ
অনুবাদঃ মাহমুদুজ্জামান বাবু)
মেরিল স্প্যাশ এর ‘সুন্দর মানে কি ফর্সা’ বিজ্ঞাপনটা মনে ধরেছিল। তবে তিশাকে এমন মেকাপ দিয়ে ধবধবে সাদা না দেখিয়ে ওর স্বাভাবিক শ্যামলা রঙ দেখালে আরো ভালো লাগতো।
মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানেরা চিরকালই মানসিকভাবে পরাধীন। খুব ছোটবেলা থেকেই বাপ-মা-জ্ঞাতি-গোষ্ঠী তাদের মাথায় খুব ভালোমত ঢুকিয়ে দেয় যে “বাপরে/মাগো , চব্বিশটা ঘন্টা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিনরাত মুখে রক্ত তুলে শুধু খাটছি তোকে লেখাপড়া করাব বলে। তুই-ই আমাদের একমাত্র আশা, ভরসা। তোর মুখের দিকে চেয়ে সব কষ্ট সহ্য করছি সোনা । আর কোন দিকে মন দিস না। আমাদের আর কোন ক্ষমতাই নাইরে বাপধন, একটা বিপদে পড়ে গেলে কেউ বাঁচাতে
ফুলটা, গাছটা ছোট বেলায় হঠাৎ হঠাৎ দেখেছি পতিত ঘেসো জমিতে। তবে খুব বেশি দেখিনি। যেখানে সেখানে এখন আর দেখা মেলে না। খুব ভালো করে দেখার সুযোগ পেলাম ২০১৪ সালে । জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রজাপতি আর পাখির পেছনে ছুটতে ছুটতে পুকুর পাড়ে পেয়ে গেলাম তেজপাতার মতো দেখতে এই উদ্ভিদকে। পটাপট বেশকিছু ছবিও তুলে নিলাম।
তারপর আবার প্রজাপতি-ফড়িংয়ের পেছনে ছোটা। হঠাৎ দেখতে পেলাম ত্যাজপাতার মতো পাতাওয়ালা ওই ছোট ছোট গাছগুলোতে দারুণ সুন্দর একটা ফুল। এত সুন্দর ফুল বনে-জঙ্গলে বাসই দেখা যায়। সুতরাং আবারও ক্যামেরা তাক করতে হলো দাঁতরাঙ্গা নামের এই বুনোফুলের দিকে। দাঁতরাঙ্গা নামটা জানলাম বৃক্ষকথা গ্রুপে ফুলের একটা ছবি পোস্ট করে। পরে অবশ্য নওয়াজেশ আহমদ-এর ‘বাংলার বনফুল’ নামের বইটিতেও পেলাম ফুলটির বর্ণনা।
শীতের দুপুর অপেক্ষাকৃত আরামদায়ক। কিন্তু আরামের মধ্যে বেশি থাকতে সাধ জাগে বলে আরামের স্থায়ীত্বও কম থাকে। এই কঠিন কথাটা বুঝতে রিপনের মাথা খাটাতে হয়নি, বরং কথাটা সে গায়ের চামড়া দিয়ে উপলব্ধি করেছে। তবে এই উপলব্ধি রিপনকে পরিণত না করে আরও কাবু আর ছোট করে ফেলেছে। রিপন অবশ্য বয়স ও লম্বায় ছোটই। তবে নয় বছরের তুলনায় ওর আকৃতি পাঁচ বছরের মনে হয়। সাথিরা ওকে ডাকে বাইট্টা ইপন। কবে যে এই ডাকের শুরু রিপনের মনে নেই।
পুরান ঢাকায় কিছু টেম্পো চলে, লক্কড়-ঝক্কর মার্কা এই টেম্পোগুলো যখন তীরের বেগে ছুটতে থাকে, যাত্রীদের প্রায়ই মাথা ঠুকাঠুকি লেগে যায়! স্টপেজগুলিতে যাত্রী উঠানামা যেন আর এক বিভীষিকা! টেম্পোর সিট দখলের জন্য চর দখলের মতই যুদ্ধ চলে, চলন্ত রাস্তায় ছিটকেও পড়ে কেউ কেউ! আশ্চর্য হল, এই যুদ্ধক্ষেত্রে প্রায়ই রেফারির দায়িত্ব দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় নয়-দশ বছরের কিছু শিশুকে।
ঘোড়াটির রং ছিল দুধ সাদা
শুধু লেজের দিকটা নীল
খেত সে যাই পেত এক গাদা
চিনি, চাল-গম-ভুসি তিল |
এক প্রত্যুষে সব ছেড়ে দিল
পেট ফুলে তার ঢোল
ডাক্তার এলো, হেকিমও জুটিল
হায় সেকি শোরগোল |
কেউ বলে গ্যাস কেউ কয় বায়ু
সকলেই হিমশিম
এই বুঝি শেষ হয় তার আয়ু ,
এই যা: এযে ডিম !
বাহিরিয়া এলো ডিমখানি ফেটে
উদ্ধত নব প্রাণ
সবি লেখা আছে সার্টিফিকেটে
ওটাই মোহামেডান |
হারপার লি’র টু কিল এ মকিংবার্ড পড়েছিলাম এইচএসসি পরীক্ষার পরপর। কালো মলাটের ছোটখাট পেপারব্যাকটা ফ্যান্টাসি বইপোকা এই আমার কাছে শুরুতে বেশ ধীরলয়ের লাগছিলো, কিন্তু একটু পর দেখলাম গল্পের ভেতরে ঢুকে গেছি, ১৯৩০ এর আমেরিকান সাউথের ছোট শহর মেকোম্ব শহরে হেঁটে বেড়াচ্ছি।
আমার ছেলেটা বড়ই বোকা | আমি নিজে যে খুব চালাক চতুর সে দাবি করবনা | তবে এটি মনে আছে যে সাত বছর বয়েসেই শিখে গিয়েছিলাম কীভাবে ওমানের রংচঙে স্ট্যাম্প এর বদলে বুলগেরিয়ার সাদাকালো কিন্তু মহা মূল্যবান স্ট্যাম্প বাগিয়ে নেওয়া যায় | আসলে পাড়াময় অগুন্তি বাচ্চা কাচ্চাদের ভিড়ে রীতিমত খামচা খামচি করে বেড়ে উঠেছি আমরা, বোকা হবার সুযোগটাই ছিলনা | আমার ছেলেটা বেড়ে উঠছে একা, আত্মীয় পরিজনহীন পরিবেশে | ওর