‘শিম কিভাবে রান্না করতে হয়’ সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ’র ইংরেজী ভাষায় লিখিত স্যাটায়ার ‘How does one cook beans' এর বাংলা অনুবাদ। রচনাটির একটি subtitle বা উপশিরোনাম আছে, 'এক এশীয়র ফ্রান্স অভিযান'। দীর্ঘদিন অপ্রকাশিত থাকা লেখাটির প্রচার প্রচারণা নিতান্ত কম বলে লেখকের দেয়া মূল ইংরেজী উপশিরোনামটি পেলামনা; তাই অনুবাদকের শব্দচয়নের রুচির ওপরই এ বেলা ভরসা করতে হচ্ছে। আমাদের এশীয়দের চোখে ইয়োরোপীয়দের অনেক আচরণই অদ্ভু
ডিজিটাল বাংলাদেশ করার লক্ষে বর্তমানে প্রযুক্তির নতুন নতুন গবেষণা আর উদভাবন নিয়ে কাজ হচ্ছে। তাদের মধ্যে অনেক গুলোই আবার বাংলা ভাষায় মোবাইল ফোনের উপযোগী প্রযুক্তি। কারণ, এখন মোবাইল ফোন সবার হাতে হাতে। আর এর সাহায্যে করা যায় না এমন কিছুই নেই। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন এই প্রযুক্তি গুলো দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষের ব্যবহারের উপযোগী কি না? হয় তো কখনও ভানেন নি!
প্রথম পর্বে বলেছিলাম, বন্ধুর ফেসবুক স্ট্যাটাসের কথা -
ঝড়ে এলোমেলো হয়ে যাওয়া সময়ে রাতের বেলা কোথাও কেউ থাকে না । তখন মনে হয় দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত হয়ে থাকা শহর হুট করে মাটির নিচ থেকে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। তেমন এক ভৌতিক রাতে, যেখানে ল্যাম্পপোস্টগুলো উপড়ে গেছে সেই বিকেলবেলা, সাপের মতো এঁকেবেকে ছড়িয়ে আছে অকেজো কারেন্টের তার, থেকে থেকে স্পার্ক হচ্ছে, পানি জমে আছে রাস্তায়-ফুটপাতে, মানুষ হয়ে গেছে পাখির মতো দুর্লভ তখন আচমকায় দীর্ঘদিন পর জামিলের সঙ্গে তার শ
বাংলা আর সমাজ পরীক্ষা ছাড়া এখন পর্যন্ত কোনো ক্রিয়েটিভ লেখালেখি করেছি বলে মনে পড়ে না। মোটিভেশনের অভাব ছিল হয়ত। হঠাৎ মনে হল লিখেই দেখি না! বিষয় ঘোরাঘুরি। ঘুরতে তো ভালোই লাগে কিন্তু আমার মত আলসে মানুষের জন্য তা বেশ কঠিন। কোনো না কোনো অজুহাত বের হয় সবসময়ই। আর ব্রিটিশ ওয়েদারের কথা তো বলাই বাহুল্য!
চোখের জল আটকাবার চেষ্টা করেন না মোহনা। জগতের এই একটামাত্র নির্জন স্থানে চোখের জল ঝরবার কার্যকারণ কেউ খুঁজতে আসে না। সেটা হলো মোহনা চক্রবর্তীর ঠাকুরঘর। তার শোবার ঘরের পাশের ছোট্ট ঘরটিতেই ঠাকুরঘর। কাঠ দিয়ে তৈরি পূজার ঘরটিতে মূল মন্দিরের মাঝখানে একটু উঁচুতে নানান দেবতার ছবি। আর মন্দিরের শিখরের উপর লাল কালিতে ওঁ লেখা। মন্দিরের গায়ে বিভিন্ন রকম ফুল, ফল, লতার সঙ্গে সংস্কৃত শ্লোক আর দেবতাদের প্রতীক দিয়ে
কার্তিক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক, বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান, সুলতানপুর গ্রামে। চট্টগ্রামের অন্য বহু জায়গার মতই এই গ্রামও রাজাকার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সন্ত্রাসের এলাকা ছিল একসময়। ঘন্টাদুয়েক আগে কার্তিক ফেইসবুকে লিখেছে, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সন্ত্রাসীগণ তার মামলার সাক্ষী দেয়ার জন্য ভীতি প্রদর্শন করছিল তাদের গ্রাম এবং পরিবার কে। কুখ্যাত রাজাকারটার ফাঁসির রায় বহাল রয়েছে। প্রত
ফেসবুক এবং বাংলা ব্লগগুলোয় অনেক লেখা দেখা যায় যেখানে বাংলা বানানের যথেচ্ছ ব্যবহার করা হয়, যতি চিহ্নের বংশ ধ্বংস করা হয়। যারা ফেসবুকে বা ব্লগে লিখেন, ধরে নেওয়া যায় তারা বেশীরভাগই অন্ততপক্ষে দশম শ্রেণী পাস করেছেন। তাই দশম শ্রেণী পাস করা একজনের কাছ থেকে ভুল বাংলা বানান দেখতে পাওয়া কোন স্বাভাবিক ব্যাপার নয়।
[justify]গাঢ় সবুজের ঢেউ খেলানো সারি সারি পাহাড়ের ঢল খাড়া গিয়ে নেমেছে তুঁতরঙা এক সাগরের পাড়ে। তীরের এই কাছটায় বড্ড শান্ত স্থবির যেন এই সমুদ্র। সবুজের গালিচা ঘেরা এই পাহাড়ের দল আর সেই পাহাড়ের পাদদেশে থম মেরে থাকা জমাট নীল সমুদ্রের এই চিত্রটি যে কোনও কৃত্রিম চিত্র নয়, বরং এই ধরাধামেরই কোনও কারসাজি সেটি বোঝাবার জন্য মাঝে মাঝে হুটহাট করে
এমআইটিতে ছাত্রদের বিভিন্ন গ্রুপ আছে, ফ্রেটার্নিটি বলে এগুলোকে। প্রত্যেক ফ্রেটার্নিটিই নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্রদের দলে নিতে নবীন বরণের মত একটা অনুষ্ঠান করতো, সেই অনুষ্ঠানকে বলা হত স্মোকার পার্টি। ইহুদি ছাত্রদের একটা ফ্রেটার্নিটি ছিলো, নাম ‘ফাই বেটা ডেল্টা’। এমআইটিতে যাবার আগেই নিউ ইয়র্কে তাদের একটা সভায় ডাক পেয়েছিলাম। তখনকার দিনে ইহুদি অথবা ইহুদি পরিবারে বড় হওয়া ছেলেদের জন্য ওই একটাই জায়গা ছিলো। ইহুদিদের সাথে যোগ দেওয়ার জন্য আমার আলাদা করে তেমন কোনো ইচ্ছা ছিলো না, আর দেখলাম ধর্মীয় ব্যাপারে ফাই বেটা ডেল্টার খুব একটা কড়াকড়িও নেই। সত্যি বলতে কি, আমি ধর্ম বিশ্বাস বা পালন কোনোটাই করতাম না। ওখানকার কয়েকজন আমাকে এটা সেটা জিজ্ঞেস করলো, তারপর দুয়েকটা উপদেশও দিলো। একটা উপদেশের কথা মনে আছে - ওরা বলেছিলো আমি যেন প্রথম বছরেই যেন ক্যালকুলাস পরীক্ষা দিয়ে দিই, তাহলে পরে আর ক্যালকুলাস কোর্সটা নিতে হবে না। উপদেশটা কাজে লেগেছিলো। ওই ফ্রেটার্নিটির ছেলেদের ভালোই লাগলো, তাই আমি ওদের সাথেই যোগ দিই। আর যে দুজন আমার সাথে কথা বলতে এসেছিলো, পরে আমি তাদেরই রুমমেট হয়েছিলাম।