৪ জুলাই ২০১৫
প্লুটোগামী মহাকাশযান ‘নিউ হরাইজন্স’ এর পৃথিবীর কন্ট্রোল রুমে টানটান উত্তেজনা। মিশন প্রধান এলান স্টার্ন পায়চারী করছেন চিন্তিত মুখে – বেশ ক’ মিনিট হয় মহাকাশযান থেকে কোন সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছেনা। তবে কি সাড়ে নয় বছর ধরে তিন বিলিয়ন মাইল পাড়ি দিয়ে এই ছিলো কপালে? আর সাড়ে ছয়শ’ মিলিয়ন ডলার অনুদান? তার শেষমেষ এই পরিণতি? তীরে এসে তরী ডোবার কি এর চেয়ে ভালো কোন উদাহরণ হতে পারে?
প্রান-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা, দেশের 'বিশিষ্ট' শিল্পপতি মেজর জেনারেল আমজাদ খান চৌধুরী মারা গিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনার ডিউক মেডিক্যাল হাসপাতালে বুধবার ভোরে তার দেহান্তর ঘটে। তার মৃত্যুর খবর দেশে পৌছানোর পরপরই দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছ থেকে সমবেদনার ঢল বয়ে যায়। ফেসবুকে অগনিত সাধারন মানুষতো বটেই, মোস্তফা সারওার ফারুকি থেকে সাইখ সিরাজ থেকে এমনকি প্রধানমন্ত্রীও শোক প্রকাশ করেছেন। এত
আমাদের প্রিয় ছিল ছাদটা, মেয়েদের পাঁচটি হলের মধ্যে একমাত্র আমাদের হলেই ছিল তালা চাবি বিহীন খোলা ছাদ। অন্য মেয়েদের সকরুণ ঈর্ষাকে অবলীলায় তুড়ি মেরে আমরা কী দিন, কী রাত সেই ছাদে হুল্লোড় করতাম, আড্ডা দিতাম, ফোন কানে হাঁটতে হাঁটতে প্রেম করতাম, ক্লাস প্রেজেন্টেশনের মহড়া করতাম। হল খোলা থাকার বিকেল ১ম ব্লকের বিচ্ছিন্ন একলা একা ছাদ বা অন্য তিনটা ব্লকের সংযুক্ত ছাদ বসে, দাঁড়িয়ে, ঝুঁকে কিংবা চিলেকোঠায় শুয়ে থা
ট্যাক্সি ধরলাম রিসোর্টের সামনে থেকে। ক্লান্ত, তাই উঠেই সিটে শরীরটা এলিয়ে দিলাম। অনেক রাত হয়ে গেল আজ। হঠাৎ ড্রাইভারের সিটের পেছনে লেখা ট্যাক্সির নম্বরটা চোখে পড়ল।
AB2F1979।
২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯। মিরার জন্মদিন। AB – আশা বোস। মিরার ভালো নাম। গা-টা কাঁটা দিয়ে উঠল হঠাৎ।
মিরা ডাকছে।
“ব্রিজের ও'পাশে চলো।“ আপনা আপনিই কথাটা বেড়িয়ে এল।
আমার কেবলমাত্র এ বছরের বাজেট পড়া শেষ হল। ভাবলাম কিছু খুচরো তথ্য বা ট্রিভিয়া সেখান থেকে এখানে টুকে রাখি। তথ্য বাছাইয়ের একমাত্র ভিত্তি হল পাঠক হিসেবে আমার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া।
১। আমরা যদিও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র বাজেটটি শুরু হয়েছে ধর্মীয় প্রথা দিয়ে।
“...which does not kill us makes us stronger.”
দার্শনিক ফ্রেডরিক নীৎশের এই বিখ্যাত উদ্ধৃতিটি আমি মাঝে মাঝেই নানা জায়গায় পড়ি আর ভাবি, কথাটা কি আসলেই সত্যি? সত্যিই কি আঘাত আমাদের এতোটা শক্ত করে তোলে? অনেক ভেবে উত্তর পেয়েছি- হয়তো তোলে। তবে কিছু আঘাত আছে, যা আমাদের শক্ত করে তোলে না- বরং এতোটাই বিধ্বস্ত করে দেয় যে, মরে যাওয়াটাকে অনেক কাঙ্ক্ষিত মনে হয়। ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতা এমনই এক আঘাত।
মূমূর্ষূ রোগীটিকে চারদিকে পরিবেষ্টন করে আছে তার স্বজনেরা । কবিরাজ বলিলেন, লক্ষণ ভাল নহে । তাহাকে বাঁচানোর পথ একটাই । এমন এক লোকের একটা স্মার্ট ফোন এনে রোগীর কপালে ঘষা দিতে হবে- যে লোকটির চোখ ও কানে কোন সমস্যা নাই, ঘাড় বা মাথায় কোন ব্যাথা বেদনা নাই এবং মনমেজাজে কোন তিরিক্ষি ভাব নাই । রোগীর লোকেরা বলিল, এইটা কোন ব্যাপার ? আপনাকে গন্ডায় গন্ডায় সেই রকম ফোন আনিয়া দিতেছি ।
প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে প্রবাল দ্বীপপুঞ্জ। চারপাশে হাজার মাইল জুড়ে শুধু জল আর জল- নীল অতল মহাসাগর। কিন্তু ১৯৪২ সালের এক শান্ত সকালে আমেরিকা এবং জাপান প্রশান্ত মহাসাগরের দখল নিয়ে যুদ্ধ করে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নতুন ইতিহাস রচিত হয়।
কয়েক দিন আগে সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায়ের ফলে সমগ্র আমেরিকায় সমকামী বিয়ে বৈধ হয়েছে। ফেসবুক ও অন্যান্য সোশাল মিডিয়ার কারণে এই সংবাদ বহুদূর ছড়িয়েছে, এবং এই রায়ের কারণে বিভিন্ন দেশ ও সমাজে সমকামিতা নিয়ে উচ্চকিত বিতর্ক এখনও চলছে। বিভিন্ন জনের মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য অনুসরণ করে দুঃখের সাথে পর্যবেক্ষণ করলাম যে আলোচনাগুলো তথ্যের অভাবে প্রায়ই অকথ্য গালিগালাজ এবং আন্দাজে ঢিল ছুঁড়ায় পর্যবসিত হচ্ছে। লাইন ছাড়া ছুটে বেড়ানো সেই রেলগাড়িকে পথে আনার প্রচেষ্টা হিসাবেই এই লেখা। যেই সমাজ এবং যেই সময়ে এই রায় এসেছে, সেটার স্বরূপ না জেনে আমরা রায়ের মর্ম বুঝতে পারবো না।