প্রথমে ভাবলাম আস্ত একখানা এসো নিজে করি লিখে ফেলি। কিভাবে বড় আওয়ামীলীগ হবেন? How to be a Shomser Uncle নামে।পরে হাই তুলে মনে হল অত কথায় কাজ কি। অল্প কথায় কাজ সেরে ভাগি বরং। জাফর ইকবাল কে সেটা আমরা সবাই জানি। দেশের জনপ্রিয় লেখকদের একজন, নামকরা শিক্ষক, কলামিস্ট, বিজ্ঞানী, বুদ্ধিজীবী ইত্যাদি নানা পরিচয় দেয়া যায়। আমার কাছে তার পরিচয় একটাই। তিনি আমাদের আশার বাতিঘর। একের পর এক ভয়ঙ্কর সব অন্যায় হয়ে যাবার পর যখন দেশের সব বড় বড় লেখক বুদ্ধিজীবীরা গাছ ফুল লতা পাখি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে তখন এই জাফর ইকবালের মতো অল্প কিছু লোককে দেখি সহজ কথাটা সহজে বলে ফেলতে। বাকিরা যখন রাজামশাই সিল্কের কাপড় পড়েছেন নাকি মসলিন সেই নিয়ে নানা গবেষণা করে যায় তখন এরকম দুই একজন বোকা লোককে এসে মুখের উপর বলতে দেখি, রাজামশাই তো ন্যাংটো! তারপরেও অনেক কারণে অনেক লোকের মন ভরে না। তিনি কেন এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন না, তিনি কেন ওই করলেন না, নিশ্চয়ই তবে তিনি সেই দলের বলে হেঁচকি তুলে কেঁদে যায়। এই বাতিঘরের কি কি সমস্যা, তার আলো কত উজ্জ্বল, তার দেয়াল কত শক্ত এসব নিয়ে যারা আলোচনা করতে চান করে যান। আমার লেখার উদ্দেশ্য বা বিষয় তা নয়। আমার কাছে দোষত্রুটি মিলিয়ে এই বোকা, আবেগপ্রবণ, আশাবাদী লোকটি এখনও আশার বাতিঘর। তাই সেটা মেনে নিয়ে এবারে বরং মোশতাকের এর কাছে যাই।
[justify]
ছ্যাঁক দিছিল নাদিয়া,
মনের দুঃখে পাড়ার দোকান
বিস্কুট খাই চা দিয়া।
বিল দেই না, ঐটা আমার
চান্দা, মানে হাদিয়া!
জোয়ান পোলা, আর কয়দিন
বেড়াই ডিমে তা দিয়া?
মাইয়াগুলা ঘুইরা বেড়ায়
ওড়না বুকে না দিয়া,
আমগো মতো মমিন
মুসলমানের বুকে ঘা দিয়া...
শিক্ষা অগো দেওন লাগে--
এমন যুক্তি ফাঁদিয়া,
দল বাইন্ধা সুযুগমতো
টিএসসিতে পা দিয়া,
পয়লা বোশেখ প্রচণ্ড ভিড়
কী যে গাদাগাদি--আঃ!
ভিড়ের ভিতর মাইয়াগুলার
বাস্তব আর ভার্চুয়াল জগৎ
ধরা যাক, দুর্ঘটনাগ্রস্থ এলাকায় পাঠানো রোবটের সাথে যোগাযোগ করে তাকে প্রতিনিয়ত নির্দেশ দিতে হবে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে। এখানে সমস্যা বেশ কয়েকটি। রোবট আর তার মানুষ চালকের মাঝের যোগাযোগের মাধ্যমটি খুবই অনির্ভরযোগ্য, কিছু ডাটা হারিয়ে যাবে, কিছু আসবে বিকৃত হয়ে। ধরা যাক রোবটটি মেল্টডাউনের সম্মুখীন হওয়া কোন পারমাণবিক কেন্দ্রের কোন কক্ষে গিয়ে কিছু একটা মেরামত করার চেষ্টা করছে। যেহেতু দুর্ঘটনার সম্মুখীন, কক্ষের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আগে থেকে কিছু জানার উপায় নেই যে রোবটটিকে আগে থেকে শিখিয়ে পড়িয়ে দেয়া যাবে। রোবট ধীরে ধীরে যখন চলাফেরা করতে থাকবে সে আশেপাশের পরিস্থিতি সম্পর্কে তার নানা সেন্সর দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে সেটা মাস্টারকে পাঠাবে। চালকের কাজ সেই ডাটাকে বিশ্লেষণ করে রোবটের চারপাশকে বুঝে নিয়ে তাকে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে কমান্ড পাঠানো। সেটা হতে পারে ডানে যাও, বামে যাও, স্ক্রুটা ঘুরাও এর মত সাধারণ কিছু কমান্ড।
অনেক দিন ধরেই খেয়াল করছিলাম আশেপাশে বন্ধুবান্ধবরা তাদের ছেলেমেয়েদের খুব অদ্ভুত অচেনা শব্দযুক্ত নাম রাখছে, নির্দিষ্ট করে বললে আরবি শব্দের নাম রাখছে। আরবির প্রতি আমার কোন ঘৃনা নাই, কিন্তু হিব্রু যেমন আমি বুঝি না, তেমনি আরবিও আমি বুঝি না। তাই ছেলেমেয়েদের এই নাম রাখার সংস্কৃতি আমার কাছে খুবই অদ্ভুত ঠেকত। নাম বাংলায় না রেখে কেনো আরবিতে রাখা হচ্ছে সেটাতে অবাক হতাম।
জেনেছি জন্ম আর মৃত্যু সৃষ্টিকর্তার হাতে। কিন্তু এই বঙ্গে জন্মে দেখছি মৃত্যু মৌলবাদীদের হাতে। মৌলবাদীদের চুরির তলে নিজ মস্তক বিছিয়ে দিয়ে পৃথিবীকে বিদায় জানাতে হবে এমন অলিখিত নিয়ম প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশে প্রতিটি সূর্যদয় আর সূর্যাস্তের সাথে। না এখন সাম্প্রদায়িক শক্তির দল ক্ষমতায় নেই, না এখন রাজাকারের দলও ক্ষমতায় নেই। এখন ক্ষমতায় যারা তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল, তারা ধর্মনিরপেক্ষ অসম্প্রদায়িক মান
কাহিনী-১
আমাদের এক দূরসম্পর্কের আত্মীয় বদরুল খালু সপরিবারে আমাদের নানু বাড়িতে বেড়াতে আসলেই দেখতাম খালা-নানু মহলে হাসির রোল পড়ে গেছে। সবাই বলাবলি করত বিড়াল আসছে, সাবধান! নানুরা অনেক ভাই-বোন ছিল, সবাই একই শহরে খুব কাছাকাছি থাকতো। আমরাও অনেক খালা-মামা আর নানা-নানুর সাথে হাসিঠাট্টা করে বড় হয়েছি। যাইহোক, ছোটকালে ভাবতাম বদরুল খালুকে বেড়াল ডাকা হয় উনার চেহারার কারণে, কিন্তু একটু বড় হওয়ার পরেই আসল কাহিনী ধরতে পারলাম। এক খালা এসে একদিন বত্রিশটা দাঁত বের করে হাসতে হাসতে বলল যে উনার কিন্তু একটু খামচানোর স্বভাব আছে, নিজের পশ্চাৎদেশ বাঁচিয়ে চলো, কিছু হইলে আবার আমাদের দোষ দিয়ো না!
তানভীর আহমেদ।
প্রিপারেটরী গার্লস স্কুলে যৌন নিগ্রহ প্রসঙ্গে
শামীম রুনা
ঢাকায় বসে ছোট ভাই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে এখন নাকি ভূমিকম্পের দোলাতে আর ভয় লাগেনা, গত কয়েকদিন ধরে এত বেশি দোলা খাচ্ছে ঢাকা শহর ভয় যেন কেটে গেছে। তার এই স্ট্যাটাসে কোন লাইক দিতে বা কমেন্ট করতে পারিনি। খুবই ভয় লাগে যদি ভাবি ঢাকা শহরে ভূমিকম্পের কথা। আমার ধারনা যে কোন মাঝারি মানের ভূমিকম্পের জন্য ঢাকার চেয়ে অন্য কোন ঝুঁকিপূর্ন শহর পৃথিবীর অন্য একটি নেই। এখন সেই ঢাকাই হচ্ছে অন্যতম একটি ভূমিকম্পপ্রবণ