মুসান্দামে প্রথম বার ঘুরে আসার অভিজ্ঞতা আগেরবার বলেছিলাম - দ্বিতীয়বার যাওয়ার গল্পটা লিখব লিখব করেও হয়ে উঠে নি। আজ মনে হলো লিখেই ফেলি - ঘুমের ঘোরে লিখা, অজান্তে কোনো ভুল চুক হয়ে গেলে পাঠক নিজ গুনে ক্ষমা করে দিবেন দয়া করে।
একঘেয়ে ছকবাঁধা জীবন থেকে মুক্তি পেতে ফেব্রুয়ারির এক সকালে চারটি গাড়ির কাফেলা নিয়ে আমরা বেড়িয়ে পড়লাম মুসান্দামের উদ্দ্যেশে।দুবাইতে সেই সাত সকালেই খটমটে রোদ্দুর - আবহাওয়া পূর্বাভাস বলছিল বৃষ্টি হবে, কিন্তু মেঘের তো ছিটে ফোটাও চোখে পড়ছে না। তবু কেন যেন জ্যাকেটটা নিয়েই নিলাম । চারটে গাড়ির কাফেলা নিয়ে যাত্রা শুরু করলাম - শারজাহ পেরুতে না পেরুতেই দেখি মেঘের আনাগোনা শুরু। রাস আল খাইমাহ তে ঢুকতেই মুষলধারে বর্ষণ - ছুটির দিনে খালি হাইওয়ে ধরে আমাদের গাড়ি ঝুম বর্ষায় চলছে – দু’পাশে ভেজা বালির মরুভূমি - যারা ড্রাইভিং পছন্দ করেন তাদের জন্য দারুন ভালো লাগার আবহাওয়া।
[একটু ভূমিকা করি। এই সিরিজে আমি মূলতঃ চট্টগ্রাম অঞ্চলে সংগঠিত মুক্তিযুদ্ধের অপারেশান সমূহে ভূমিকা রাখা কিছু ব্যক্তিকে নিয়ে লিখতে শুরু করেছি। আমি অল্প কজন মানুষের আত্মবিসর্জনের কথা জানি। কিন্তু সারা দেশে এরকম আরো কত লক্ষ মানুষ তাদের জীবন দিয়েছেন। তাই আমি চাই এই সিরিজে আরো কেউ কেউ যুক্ত হোক। এই সিরিজে যে কেউ অংশগ্রহন করতে পারে, করলে ভালো হয়, করা দরকার। কেননা বাংলাদেশের আনাচে কানাচে মুক্তিযুদ্ধের ছোট
গতকাল সন্ধ্যায় ট্রাস্ট পরিবহনের বাসে মিরপুর যাচ্ছিলাম। এয়ারপোর্ট রোড এবং কচুক্ষেত রোডের সংযোগস্থলে বাসগুলো সুযোগ পেলেই ইউটার্ণ নিয়ে অনেক খানি রাস্তা কমিয়ে ফেলে। নয়তো বনানী ১১ থেকে বাঁক নিয়ে সেই মহাখালি ফ্লাই-ওভারের নিচ থেকে ঘুরে এসে কচুক্ষেতের রাস্তায় ঢুকতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী সেটাই করার কথা। গতকাল বাসটা সুযোগ পাওয়ার পরেও যখন ট্রাফিক আইন না ভেঙ্গে সেই মহাখালি দিয়ে ঘুরিয়ে আনতে গেল তখন বাসের প্রতিটা যাত্রী ক্ষেপে উঠলো। এই পরিস্থিতিতে প্রথম আক্রমন করা হয় বাস ড্রাইভার আর কন্ডাক্টরকে। বাংলা ভাষায় সর্বনামের তিনটি রূপ থাকায় মানুষের জন্য রাগ বা ঘৃণা প্রকাশের কাজটি বেশ সহজ। প্রথমে আমরা বাস ড্রাইভারকে আপনি আর কন্ডাক্টরকে তুমি দিয়ে শুরু করি এবং এক সময় রাগ আর ক্ষোভের মাত্রা বাড়াতে দুজন'কেই তুই বলা শুরু করি।
আদিতে নারী-পুরুষ ছিলনা, ছিল মানুষ। পরবর্তীতে সেই অখণ্ড মানবসত্তা নারী-পুরুষে বিভাজিত হয়।
ভাষা: লিঙ্গায়েত নির্মানে একটি শক্তিশালী প্রপঞ্চ।
জীবন চলছে, ভাল ভাবে চলছে না খারাপ ভাবে চলছে তার বিচার করিনা। যেমন চলছে চলুক, যা হবে দেখা যাবে টাইপ একটা ব্যাপার এসে গেছে। এ্যামবিশনের খ্যাতা বালিশ পুড়িয়ে সেটার ছাই গাঙের পানিতে ভাসায় দিয়ে মোটামুটি নির্ভার আছি। টুকটাক বই পড়ি, আর অবসরে একটা গেম খেলি, মাঝে মাঝে কিছু ছবি তুলি। ২ মাসের মধ্যেই জীবনে আরেকটা বিরাট পরিবর্তন আসবে, ব্যাপক টেনশনের ব্যাপার স্যাপার, তাই সুযোগ পেলেই ঘুমিয়ে নিচ্ছি বেশি করে। ঘুমাল
কাঁটা চামচ দিয়ে একজনের চোখ গেলে দেয়ার ক্রিটিক্যাল মুহূর্তে আমার বেশ কিছুদিন আগের একটি অনুভূতির কথা মনে পড়ে যাবে এবং প্রতিবেশির বদলে নিজেকেই মেরে ফেলতে ইচ্ছে হবে, মনে হবে আমিই তো চেয়েছিলাম, এরা উৎসব নিয়ে আসুক, দু একটা ভালো-মন্দ কথা বলুক; এখন এই নিস্ফল আক্রোশের কোন মানে নেই, তবে এই চিন্তাটি আসতে কিছুক্ষণ দেরি হয়ে যাবে এবং হাতের রিফ্লেক্সকে ফিরিয়ে আনা যাবে না, শেষ সময়ে ভিকটিম মাথা নাড়িয়ে ফেললে কাঁট
হ্যারি হুডিনি! পৃথিবী বিখ্যাত জাদুকর। একবার ইউরোপ ভ্রমণে গিয়ে পুরু ইটের দেওয়ালের এপাশ ভেদ করে ওপাশে গিয়ে শার্লক হোমসের জনক স্যার আর্থার কোনান ডোয়েলকে নির্বাক করে দেন। সেই থেকে তাঁদের মধ্যে অসাধারণ এক বন্ধুত্বের সূত্রপাত হয়েছিলো, যদিও এই বন্ধুত্বের শেষটা খুব হৃদয় বিদারক ছিলো। হুডিনি নিয়ে এই লেখার ভূমিকার কারণ তাইওয়ান থেকে বাংলাদেশে আসার সময় বিমানে হুডিনিকে নিয়ে দেখা দুই পর্বের এক মিনি টিভি সিরিজ। তন্ময় হয়ে যাত্রার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দেখছিলাম!
দেখুন আমি বরাবর বলে আসছি যে কোন ধরণের উগ্রতা আমার বড়ই অপছন্দ। আজকে আমাদের সমাজে যে এত হানাহানি, এত কাটাকাটি তার মূলে রয়েছে আমাদের উগ্র আচরণ। আমরা দিন দিন কথায়, আচরণে, কাজেকর্মে উগ্র হয়ে যাচ্ছি। পরপর বেশ কয়েকটি নাস্তিক হত্যা হবার পর আমি ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখলাম, উগ্র নাস্তিক আর আর উগ্র আস্তিক কেউ কারুর থেকে কম নয়। একজনে ধারে কাটে তো অন্যে ভারে। কিন্তু কেউ কারো থেকে কম উগ্র বা সমাজের জন্য কম ক