ইদানীং ঘুম ভাঙলে অয়ন খুব আগ্রহ নিয়ে ঘরের সিলিং আর পর্দার ফাঁক গলে আলো আসা খোলা বারান্দার দিকে লোভাতুর হয়ে তাকিয়ে থাকে। খুব আপন মনে হয় সিলিংটাকে। যে ভীষণ যন্ত্রণা আর অস্থিরতায় তখন আচ্ছন্ন হয়ে থাকে সে, তাতে মনে হয় ঐ সিলিঙের বন্ধনে ঝুলে পড়ে আয়েশে দুলতে থাকলে একটু শান্তি মিলবে। কিংবা উঁচু বারান্দা থেকে নীচে ঝাঁপিয়ে পড়ার সময় যে ক্ষণিকের মুক্তি মিলবে চিরমুক্তির আগে সেটাই বা কম কী!
“...which does not kill us makes us stronger.”
দার্শনিক ফ্রেডরিক নীৎশের এই বিখ্যাত উদ্ধৃতিটি আমি মাঝে মাঝেই নানা জায়গায় পড়ি আর ভাবি, কথাটা কি আসলেই সত্যি? সত্যিই কি আঘাত আমাদের এতোটা শক্ত করে তোলে? অনেক ভেবে উত্তর পেয়েছি- হয়তো তোলে। তবে কিছু আঘাত আছে, যা আমাদের শক্ত করে তোলে না- বরং এতোটাই বিধ্বস্ত করে দেয় যে, মরে যাওয়াটাকে অনেক কাঙ্ক্ষিত মনে হয়। ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতা এমনই এক আঘাত।
বাবা খুব পাগলা কিসিমের লোক ছিলেন। খালি বই পড়তেন, টুকটাক লেখালেখি ও করতেন। তার ছাত্র ছাড়া ও অনেক তরুণ প্রতিদিন আসতো আমাদের বাসায়। কেউ সাহিত্যকর্মী, কেউ বামপন্থী আন্দোলন করে... আমি যখন ক্লাস ফাইভ বা সিক্স এ তখন একটা পাগলা ছেলে আসতে শুরু করলো যে পাগলামিতে অন্যদের চে কয়েক কাঠি এগিয়ে...গলা ফাটিয়ে কথা বলে, হাহা করে হেসে সবকিছু উড়িয়ে দেয় এমন ই উদ্ধত আর বেপরোয়া। একবার রোজার সময় খুব ঝামেলা হ...