[justify]সেই কোন ছোটবেলায় প্রথম শুনেছিলাম একটি গান "যদি হিমালয় আল্পসের সমস্ত জমাট বরফ একদিন গলেও যায়, তবুও তুমি আমার " কথার থেকে বেশী ভালো লেগেছিল সুর (বড় হয়ে বুঝেছি শুধু সুর নয়, গানটিকে প্রকৃত গান করে তুলেছিল গায়কি)। ছোটবেলার সেই মুগ্ধতা বড়বেলায়ও যায়নি আমার, বরং দিনে দিনে আরো বেড়েছে। আমার কৈশোর আর তারুণ্যের উদ্দাম দিনগুলিতে অবিচ্ছেদ্য সঙ্
খামরঙা বড় বড় সব কার্টুন বাক্সগুলো বাইরের বারান্দায় রাখা হয়েছে। একে একে বাড়ির প্রায় সব মালামাল ওই কার্টুনে ভরে ফেলেছে বাবা আর মতিন কাকু। এখন চলছে টেপ ফিতে দিয়ে মুখ আটকানোর কাজ। ‘ক্যাঁচ ক্যাঁচ’ শব্দ করে মতিন কাকু ইয়া লম্বা একটা টেপ টেনে বের করলেন রোল থেকে। এদিক ওদিক তাকিয়ে বিরক্ত কণ্ঠে বললেন, ‘আরে দূর, কাঁচিটা কই রাখলাম?’
(এই মিথটিও শুধুমাত্র রোমান মিথলজিতে পাওয়া যাওয়ায় সবজায়গায় রোমান নাম ব্যবহার করা হয়েছে, তাই দেবী আফ্রোদিতি এখানে দেবী ভেনাস।)
সব গ্রীক মিথলজির গল্পের মতো এটাও অনেক অনেক বছর আগের কাহিনী। কিন্তু পার্থক্য একটি আছে! গ্রীক মিথলজির কাহিনীগুলো সাধারণত গ্রীসের নগররাস্ট্রে বা ইতালীর পেনিনসুলাতে, নিদেনপক্ষে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের অন্তর্গত হলেও পিরামাস এবং থিসবির কাহিনীটি বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সভ্যতা ব্যাবিলনীয় অঞ্চলের, সেখানে তখন শাসন করছিলেন রানী সেমিরামিস। এই সেই রানী সেমিরামিস, যিনি ব্যাবিলনের মিথিক্যাল রাজা এবং ব্যাবিলনের রাজধানী নিনেভেহ-এর প্রতিষ্ঠাতা নিনাসের স্ত্রী ছিলেন (এবং সেমিরামিস নিনাসকেই হত্যা করে ব্যাবিলনের শাসন ক্ষমতা হাতে নেন)।
দিকে দিকে রটে গেল হারু মাঝির বাঁশির কথা। আগে তো কেবল মাঝ নদীতে বাঁশি বাজাত। কখনো বর্ষার সন্ধ্যায় বা পূর্ণিমার রাতে একাকী লাগলে বাজাত। সেই বার যখন রাজার মন্ত্রী গ্রামে আসছিলেন, তখন মাঝ নদীতে তাঁর বজরার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল হারু মাঝির ডিঙি। তার ছেলে দাঁড় বাইছিল। মাঝি বোকাসোকা লোক। মন্ত্রীর বজরা দেখে কোথায় নৌকা থামিয়ে প্রণাম ঠুকবে আর সেবায় এগিয়ে আসবে, তা না। সে যেন এতবড় বজরাটা খেয়ালই করে নি এমন
কি? উপরের নাম দেখে থমকে গেলেন? ভাবছেন পিঙ্ক ফ্লয়েড , স্করপিয়ন্স এর পর হুট করে একেবারে বাংলায়?!
এককালে আমরা সামার ভ্যাকেশনে আম্মুর সাথে ঈশ্বরদী যেতাম। আব্বু আমাদের রাখতে না গেলেও আনতে ঠিক যেত। আমরা ম্যালা দিন আব্বুকে ছাড়া ঈশ্বরদী থাকার প্রস্তুতি নিয়ে নাচতে নাচতে চলে যেতাম। আর আব্বু সাত দিন পার হতে না হতেই অফিস থেকে ছুটি নিয়ে আমাদের নেবার জন্য ঈশ্বরদী চলে যেত। সে এক ভারী বিরক্তিকর অবস্থা ছিল। আব্বুকে দেখলে তখন খুব রাগ হতো! কী দরকার ছিল আসার?!
স্মার্টফোন নিয়ে আগ্রহ আছে, কিন্তু অতগুলো টাকা খরচের আগে ভালভাবে জেনে নেয়া দরকার, তাই প্রায়ই বিভিন্ন ফোনের রিভিউ পড়ি। রিভিউগুলোতে টেকনিক্যাল দিকগুলো বেশ বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। তবে সেই তথ্যগুলো আমার সিদ্ধান্ত গ্রহণকে প্রভাবিত করতে পারেন না -- কারণ আমার নিজের আসলে কতটুকু এই অতিরিক্ত স্মার্ট-চাহিদাগুলো আছে (চাহিদা = যার জন্য খরচ করা যায়, অর্থনীতির ভাষায়) তা ঠিক
যাঁরা বড়ো হয়ে গেছেন তাঁদের জন্যে নয় কিন্তু !
.
[প্রাককথনঃ মিঁয়াও-কে যাঁরা চেনেন তাঁদের তো বলার নেই কিছু, যাঁরা চেনেন না, তাঁরা ‘মিঁয়াওচরিত’ দেখে নিতে পারেন চাইলে। পরিচয়টা হয়ে যাবে তাতে। তাঁরাও আর সবার মত করে জানবেন মিঁয়াও-কাহিনী মোটেও কল্পকাহিনী নয়, বরং সত্যমিশ্রিত কল্প-গল্প বলা যেতে পারে একে!
এটাও জানা থাকা দরকার, মিঁয়াও-এর পর্ব আরো থাকলেও এক এক পর্বে গল্প একটাই, একটা পড়লে আরেকটা পড়তেই হবে এমন কথা নেই- তবে পড়লে মিঁয়াও-কে আরেকটু চেনা যায়, এই যা লাভ!
সবার মিঁয়াও-পরিক্রমা আনন্দময় হোক,
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।]