[justify]ঘটা করে মা দিবস পালন করা নিয়ে আমাদের সমাজে দুই রকমের প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। কেউ দিবসটি উপলক্ষে মা´র প্রতি সেদিন একটু বেশি ভালবাসায় সিক্ত হন, আবার কেউ হয়ত বছরে এই দিনটিতে ভক্তি-ভালবাসা প্রকাশের অতিসাহ্য কে কিছুটা বিরক্তির চোখে দেখেন। যদিও বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে পুরো ব্যাপারটাই এখনো খুবই শহুরে এবং দিবসটি সরকারি ভাবে কোনো ছুটির দিনও নয়। তারপরও বিগত ১০/১২ বছর ধরে এই দিবসটি নিয়ে পত্
পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের নখ ভেঙে যাওয়ায় ডাক্তার দেখাবার প্রয়োজন দেখা দিল। নখটা তুলে ফেলতে হবে। অভিজ্ঞ জনেরা বললো নখ তুলে ফেললে সেখানে আবার নতুন নখ গজায়। তাই দৌড় দিলাম মেডিকেল এ। কোন কাজ আমি সাধারনত একাই করি। এক্ষেত্রেও আমি একাই মেডিকেল এ গেলাম। সরকারী মেডিকেল গুলোতে খরচ অনেক কম তাই মানুষও প্রচুর। আমি ১০টাকা দিয়ে জেনারেল সার্জারীর একটি টিকেট কাটলাম। টিকেটটাই প্রেসক্রিপশন। জেনারেল সার্জারীতে তুলানা মূলক
তাইলে পাউডা কাটাই লাগবো, ভাইজান? মেয়েটা আকুল হয়ে প্রশ্ন করে।
আজ আষাঢ়ের প্রথম দিন। আকাশ মেঘলা থাকার কথা কিন্তু আকাশ মেঘলা না। প্রচন্ড রোদের তাপ। মাঝে মাঝে মৃদু বাতাস বইছে। কিছুক্ষন আগে ওহাব সাহেবের চাকরীটা চলে গেল। ওহাবের চাকরীটা চলে যাবে এটা জানা কথা। প্রতিদিন দেরি করে অফিসে আসলে চাকরী থাকার কথা না। অবশ্য এই নিয়ে ওহাব সাহেবের কোন আফসোস নেই। এবার একটু অবসর পাওয়া গেছে। অনেক দিন দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়না। ঘোরা-ঘুরির শখটা ওহাব সাহেবের ছোট বেলার। এখন দুপু
অরিন্দম দা বহু আগে একবার বলেছিলেন “Un Chien Andalou ” নিয়ে লিখতে। বহুবার লিখতে বসেছি এবং তা অবধারিতভাবে বাস্কেটে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছি, এই অত্যন্ত উদ্ভট অসাধারন সিনেমা নিয়ে আমার মত একটা ক অক্ষর কোমাংশের লিখতে বসাটা আরো বেশি উদ্ভট, স্যুরিয়ালিজম এ তা দালি কেও হার মানিয়ে যায়- তারপরেও ব্যপারটা আমার মাথার ভেতরে ঢুকে গেছে সুতরাং
ঘরের বাতিটা নিভিয়ে তারাতারি শুয়ে পড়ল কামরুল। আগামীকাল তার ইন্টারভিউ আছে। এর আগেও সে দুটি ইন্টারভিউ দিয়েছে। কোনটাতে তার চাকরী হয়নি। শুয়ে শুয়ে ঘরের চালের দিকে তাকিয়ে সে ভাবছে পুরনো দিনের কথা। কত তারাতারি সময়গুলো চলে গেল। ভাবতেই অবাক লাগে। মশাড়ির ভিতর কয়েকটা মশা ভনভন করে উড়ছে। চাকরিটা পেলে একটা মশারি কিনতে হবে। ইতিমধ্যে মশারীতে কয়েকটি তালি মারা হয়ে গেছে। এই মশারি থাকা আর না থাকা একই কথা। চাকরি পেলে ত
১।
হাসনাত আবদুল হাই বিষয়ে প্রথম থেকেই একটা তিক্ত ধারণা মনের ভেতর ছিল। একবার এক সাহিত্য পুরস্কারের অনুষ্ঠানে, হাই সাহেবের জুনিয়র একজন সহকর্মীকে কেন তার সামনের সারিতে বসতে দেওয়া হলো এই নিয়ে তিনি ভয়ানক ঝগড়া করে সেই কলিগকে নানাবিধ "....বাচ্চা...." টাইপের নানান চূড়ান্ত বাজে গালি দিয়ে চলে গিয়েছিলেন, যে ব্যক্তি সামান্য বসার আসন নিয়ে এইরকম করতে পারে, সে যে আসলে আস্ত একটা ছোটলোক তাতে কোনও সন্দেহ নাই। গালাগালির শিকার হয়েছিলেন যে সরল মানুষটি, তাঁকে আমি চিনতাম, তাঁর কাছে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতির কথা শুনে দুঃখই লেগেছিল। পরে আরেকটি কান্ড জানতে পারি। হাই সাহেব "নভেরা" উপন্যাসটি লিখে খ্যাতিমান, আমাদের চেনাজানা অনেকেই এই উপন্যাসের ভক্ত। তো যাঁকে নিয়ে এই উপন্যাস রচিত, সেই অসামান্য শিল্পী নভেরা আহমেদকে ফ্রান্সে আমাদের খুব চেনা একজন সিনিয়র অভিনেতা বইটা পৌঁছে দিয়েছিলেন, নভেরা সেই বই একটুখানি পড়েই ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বলেছিলেন, "এই বইয়ের কথা যে বলবে বা এই বই যে সাথে নিয়ে আসবে সে আমার ঘরে ঢুকতে পারবে না, কেননা গোটা বইটাই অসত্য আর মনগড়া কথায় ভরা।" এবং, পরে বইটার কিছু তথ্য নিয়ে পরিচিত কিছু সূত্র ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে দেখেছি, কথা ঠিক, হাই সাহেব মনগড়া বাক্য লিখতে ওস্তাদ।
প্রিয় গল্পকার শাহাদুজ্জামানকে
১।
লক্ষ্য করলে দেখা যাবে প্রাথমিক পর্যায়ে কওমী মাদ্রাসায় ছাত্র ভর্তির হার সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ২য়-৩য় শ্রেণিতে এবং ষষ্ঠ শ্রেনিতে। এসএসসি পাশ করে কেউ কওমী মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে এমন নজির খুব একটা পাওয়া যায়না। কওমী মাদ্রাসাকে মূল শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে এক করার মতো বিতর্কে যাবার মতো পরিপক্কতা আমার এখনও আসেনি। তবে প্রাথমিক পর্যায়ের কিছু সমন্বয় নিয়ে লিখতে আগ্রহী।