আমার ফটুকবাজি শুরু হয় ফিল্মি । যুগে। ছবি তোলার পর ফিলম শেষ হলে পরে ডেভেলপ করো, এই করো, সেই করো তারপর দেখতে পাব কি ছবি আসলো। ফিল্মের র ASA কমবেশি হলে পরে তার সাথে অ্যাপারচার, সাটার স্পীড মিলানোর নানা ঝামেলা। তাও কেন জানি ছত্রিশটা স্ন্যাপ নিতে যত মজা লাগত, তত মজা পাইনা ডিজিটাল ক্যামেরায় ছবি তুলে। এখন শুধু ক্লিক ক্লিক তুলেই দেখ কেমন ছবি আসলো। একই ছবি দশটা তোল কি বারটা কোন সমস্যা নেই।
এক
নুসরাত মধ্যপ্রাচ্যের একটা এয়ারলাইন্সে জয়েন করেছিলো দুইটা জিনিসের আকর্ষণে। ফ্রি টিকেটে বিদেশে ঘোরা আর বিদেশে ট্রেনিং। চাকরির চারমাসের মাথায় যখন বিদেশে ট্রেনিং এর ব্যাপারটা নিশ্চিত হলো, নুসরাত পুরোপুরি ঘাবড়ে গেলো। আড়াই বছরের বাবুইকে রেখে পনেরোদিন থাকতে হবে। বাবুই এর তেমন অসুবিধা হবেনা, সারাদিন তো এমনিই মাকে দেখেনা। মাঝে মাঝে খুঁজবে হয়তো,মাকে সে মা ডাকেনা, বলবে নুতলাত কই? কিন্তু নুসরাত নিজে মেয়েকে না দেখে থাকতে পারবে? তার ভয়াবহ মানসিক অবস্থা হয়, কতোক্ষণে বাসায় ফিরবে আর কতোক্ষনে রাহাতের সাথে কথা বলবে...
ধান কাটা হয়ে গেছে শেষ―
বিরান ধানের ক্ষেতে
টুথব্রাশের গুচ্ছ গুচ্ছ ব্রিসলের মতো আটকে আছে
কবন্ধ নাড়ার অবশেষ;
গল্প শুনতে চিহ্নর ভাল লাগে খুব।
ছোট ছোট গল্প না, বড় বড় গল্পই ওর বেশি পছন্দের। কিন্তু বড় গল্প কেউ জানে না। আম্মু জানে না, আব্বু জানে না, খালামনি জানে না, মামা জানে না, ভাইয়া জানে না, আপু জানে না, নানা জানে না- নানু জানে কেবল। কিন্তু নানু বলে না।
নায়াগ্রার অসাধারন নয়ানিভরাম সৌন্দর্য যুগে যুগে অগনিত ভ্রমনবিলাসী মানুষকে কাছে ডেকেছে বার বার, করেছে মুগ্ধ। নায়াগ্রা জলপ্রপাত ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা আমার বহুদিনের। উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে কানাডা আসা হল ২০১০ এ এবং দীর্ঘ এক বছর অপেক্ষার পর নায়াগ্রা জলপ্রপাত ঘুরে এলাম গত সেপ্টম্বর ২০১১ ।
ছবিতে নায়াগ্রার অসাধারন সৌন্দর্য তুলে ধরার একটা ব্যর্থ প্রয়াস।
"বেয়াদব! এত লেখাপড়া শিখে, দেশী বিদেশী ডিগ্রী নিয়ে এই শিখছ! এটা একটা কাজ হলো! অসভ্য বেতমিজ কোথাকার! "
মেয়েটির মাথা নত। চোখ নত। জড়োসড়ো হাতদুটি কোলের উপর নেতিয়ে। অদৃশ্য হাতকড়া দৃঢ় মুষ্ঠিতে চেপে আছে ওর অসাড়, আহত হাতদুটো। পায়ে শেকল পরা ছিল সেই শৈশব থেকেই। মুষলধারে গালিবর্ষন হচ্ছে মেয়েটির ওপর।
মদিনা ট্রাভেলস এর অফিসের এক কোনায় জবুথবু হয়ে বসে থাকা লোকটাকে নিয়ে ট্রাভেলসের ম্যানেজার আকরাম খুব ঝমেলায় পড়েছে। সপ্তাহে দুইবার করে লোকটা আসছে আর সারাদিন বসে থাকছে। এইভাবে চোখের সামনে মূর্তিমান ঝামেলা ঘুরঘুর করলে কাজে মন বসেনা। লোকটার নাম জামশেদ, বছর পঁয়তিরিশ বয়স। জামশেদ কথা বলার চেষ্টা করলে আকরাম কাজে ব্যস্ত হয়ে যায়, নয়তো ফোনে কথা বলা শুরু করে, নয়তো উঠে বাইরে চলে যায়। তারপরও এই লোক নিয়মিত আসছে, সারাদিন বসে থাকছে। এই ঝামেলার আজকেই একটা সুরাহা করবো ভেবে আকরাম জামশেদকে ডাক দেয়।
বয়সন্ধির ছয়টা বছর ছিল কবর আজাবের মত বিভীষিকাময়। আর নির্মমভাবে উপুর্যপুরি গজব প্রদানকারী ব্যক্তিটি হলেন 'ঘরের শত্রু বিভীষণ' আমার মা। টক-ঝাল-মিষ্টি আমার কিশোরীবেলা নিমতিতা হয়ে গিয়েছিল ওনার অত্যাচারে। নিয়মিতভাবেই আমাদের ভেতর অনুষ্ঠিত প্রচন্ড উত্তপ্ত বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে আমি ওনাকে ঘায়েল করতে এ্যাটম বম্ব মারতাম,
"তুমি আমার সাথে এরকম ঘসেটি বেগমের মত আচরন কর কেন?!"
(১) আমার এই লেখাটি শুরু করতে চাই ডিসিসি ও স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে, কারন তারা জলাতঙ্ক প্রতিরোধের নামে কুকুর নিধনের মতো অমানবিক কাজে এখন আর উৎসাহী নয়। দেরিতে হলেও কুকুর নিধনের মত অমানবিক কাজের পরিবর্তে বন্ধাকরন, পালন এবং টীকা প্রদান এর মাধ্যমে জলাতঙ্ক প্রতিরোধের সিদ্ধান্ত যুগোপযোগী।
গত শুক্রবার আসরের নামাযের পর সৌদি আরবের রিয়াদে “কেসাস”-এ আট বাংলাদেশীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এই কেসাস শব্দটা প্রথম শুনি ২০০৫ সনে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়ার ভাই বাবার কর্মসূত্রে অনেক দিন সৌদি আরবে ছিলেন। তাঁর মুখেই প্রথম শুনি কেসাসের বর্ণনা। সৌদি আরবে নামাযের পর (সাধারণত জুম্মার পর) মসজিদের পাশেই জনসম্মুক্ষে অপরাধীদের শিরশ্ছেদ করে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।