১.
জানি, তুমি আর আমি আমাদের হাতে
হাতে রঙে রঙ মেখে জীবনের তৈলচিত্র এঁকে
নেবো বলে ক্যানভাসে নেমে আসে ঝড়;
অথচ রাতের সাথে একা হলে পরে
দেখি তেলরঙ মুছে গেছে জলছাপে।
জল এর কাছে ঋণী সখা -
আমাদের মৃৎপাত্র সব!
(পটুয়াখালী, ২৭.০৯.২০১১)
২.
ভালোবেসে শালিকের মত একা হলে টের পাই
হরিণী পৃথিবী তার চোখ থেকে মমতা হারায়;
শালিকের সংখ্যায় ব্যাকরণ গড়েছে পৃথিবী।
আর আমাদের চোখে জল-ছায়া ঘিরে
মহুয়ার বনে মেতেছে যখন ফাগুনের ঝোড়ো হাওয়া
পাতায় পাতায় শিশিরের মতো ঝরে গেছে দিনগুলো
পাখিদের ভিড়ে উড়ে গেছে কারা ফেলে সব চাওয়া পাওয়া
ক্লান্তির ভারে কুঁজো হয়ে আছে হৃদয়ের ঋণগুলো
ধূসর মলিন স্মৃতির পালক পড়ে আছে আঙিনাতে
সে কি প্রেম নাকি বিরহ বিলাস সময়ের রূঢ় হাতে?
[justify]ভাগ্যিস বাংলায় একটি খণ্ড-ত (ৎ = হসন্ত ত) আছে, তাই এই বর্ণযুক্ত শব্দের উচ্চারণে ভুল হয় খুবই কম। অর্থাৎ 'কুৎসিত'-কে আমরা 'কুৎ-সিত'-ই উচ্চারণ করি, 'কু-তসিত' নয়। তবে প্রায়ই উল্টো ফ্যাকড়া বাঁধে যখন 'ত'-য়ের বদলে 'ৎ' লিখে ফেলি। বলার অপেক্ষা রাখে না, বাংলায় অন্ত্য অ-কারের উচ্চারণ না থাকাতেই এই অনাসৃষ্টি। যেমন, উচিত, কুৎসিত ইত্যাদি শব্দে ত-য়ের উচ্চারণ হসন্ত ত-য়ের মতো। ফলে হরহামেশাই এ-জাতীয় শব্দে [
সাজেদুল চৌধুরী রুবেল
পেশাগত ব্যস্ততায় দরুন যথাসময়ে সঠিক লিখাটা লিখে উঠতে পারিনা। লোকাল ট্রেনের মতোই যেনো আমার লেখার গতি। লেখক হিসেবে এটা আমার এক ধরনের ব্যর্থতাই বলা চলে।
নদী কি পারে- তার গহীন অতলে
জন্মান্তরের যত সঞ্চিত ব্যথা
উপচে দিতে ঢেউয়ের ছলাৎছলে ?
নারী কি পারে- এমনি অবহেলে
মুছে ফেলতে দেহের সন্তাপ
ঐ খরস্রোতা নদীর জলে ?
যদিও পূণ্যার্থী ছিলাম না কখনোই,
তবুও নদীকে নারী ভেবেই গিয়েছিলাম তীর্থস্নানে
ছুতেঁ চেয়েছিলাম জলের শরীর, মৃত্তিকা পলল,
অঞ্জলি পেতে নিতে বেহুলার খোঁপা থেকে খসে পড়া ভাঁটফুল-
হায়- সেখানে ভাঙ্গনের উল্লাস, শোনিতের ধারা ,
বন্ধু সমেত ছোট ভাই জাবেদের ফোন পেয়ে জানতে পারলাম বন্ধু বর তাজুর মা আর নেই। খবরটা শুনেই আমার বুকটা কেন জানি কেঁপে উঠলো। কখন যেনো আমাকেও এ নিষষ্ঠুর খবরটা শুনতে হয়! বাবার কবরেতো মাটি দেয়ার সৌভাগ্য হয়নি। এ যে কত বড়ো যাতনা, যার জীবনে ঘটে গেছে এ মরমন্তুদ নিষঠুরতা সেই কেবল উপলব্দি করতে পারে।
সবুজ বৃত্তের মমতা ছেড়ে ভিনদেশের পথে
পা বাড়ানোর ইচ্ছে কোনদিনই ছিলোনা আমার
স্বজনদের মায়াবী সুতোর গিঁট,
সবুজ রংমালের দোলা
সব আজ মুল্যহীন।
খুব বেশী আখাংক্ষা ছিলোনা আমার, পাখী্র মতো
মাটির গন্ধ চেয়েছিলাম
দিতে পারেনি স্বাধীন এ স্বদেশ।
যে দেশ তার সন্তান্দের পঙ্গু বানায়, সে ভূখণ্ড
কতোটুকু স্বাধীনতার স্বাদ ভোগ করে?
সাজেদুল চৌধুরী রুবেল
এপ্রিল, মধ্য দুপুর। গনগনে আগুন ঢালছে চৈত্র মাসের সূর্য। আমি আর আরো ছয়জন অপেক্ষা করছি। কোথায় যেন শুনেছিলাম, অপেক্ষা করার মত যন্ত্রণা নাকি আর কোন কিছুতেই নেই। আর যদি কিসের জন্য অপেক্ষা, তা না জানা থাকে, তাহলে তো কথাই নেই। আমি যন্ত্রণা বোধ করছি না। আমি জানি কিসের জন্য আমার অপেক্ষা। আমাদের। বদির চিপ দিয়ে এক ফোঁটা ঘাম বেয়ে নামছে। আমি পুর্ণ মনযোগ দিয়ে শুধু ঐ বিন্দুটা দেখছি। এমন একটা ফিগার যেন কি একটা শব