বাংলাদেশের বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আইন বহির্ভূত কর্মকান্ড, দেশের সাধারণ জনগনের মানবাধিকার এর বিষয়টিতে একটি বড়সড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন এঁকে দিয়েছে| দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা যা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে সাধারণ জনগনের নজরে এসেছে, তাতে আমাদের দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্ষমতা প্রসঙ্গে আরেকবার বেশ ভালো ভাবে বিবেচনা করার সময় এসেছে বলে মনে হয়| আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলতে দেশের পুলিশ ও রেপিড একশন ব্যাটালিয়ন (RAB) এর কার্যক্রম সবসময় প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে| দেশের সাপ্রতিক কিছু ঘটনায় বর্তমানে দেশে পুলিশের কার্যক্রম তাদের অতীত ইতিহাসকে ছাড়িয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের চরম পর্যায়ে অবলোকন করা গেছে| বাংলাদেশ যখন দুর্নীতির দায়ে বারংবার বিশ্বে এক নাম্বারে স্থান পাচ্ছিলো তখনও বিভিন্ন কমিটির রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করলে দেখা গেছে, দেশের সর্বচ্চো দুর্নীতিগ্রস্থ সরকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে এই পুলিশ| তত্কালীন ক্ষমতাসীন সরকার পুলিশের ভাবমূর্তি বদলানোর জন্য তখন তাদের পোশাক পরিবর্তন করলেও এসব দুর্নীতির প্রশ্নে ছিলো চুপ, কোনো ধরনের কমিটির মাধ্যমে এই অভিযোগ গুলো যাচাই করার নুন্যতম প্রচেষ্টাও দেখা যায়নি| পোশাক বদল হলে কি হবে, পোশাক যে পরিধান করছে সে অপরিবর্তনীয় থাকায় যেই লাউ, সেই কদুই থেকে গেছে|
আব্রাহাম লিঙ্কনের গণতন্ত্র নিয়ে সব থেকে জনপ্রিয় বাক্য হচ্ছে- “Democracy is the government of the people, by the people, for the people”| গণতন্ত্র নিয়ে ধারণা থাকুক আর নাই থাকুক কিন্তু লিঙ্কনের এই বাক্য জীবদ্দশায় শোনেনি এমন মানুষ কম আছে,মোদ্দা কথায় এখন পর্যন্ত গনতন্ত্র পৃথিবীতে সব থেকে সার্থক ও জনপ্রিয় শাসন ব্যাবস্থা| সাদা বাংলায় জনগনের সরকার| জনগণ তার গণতান্ত্রিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করে তাকে ক্ষমতায় পাঠায় দেশ ও দশের দেখাশোনা করার জন্য, কিন্তু সমস্যা শুরু হয় ক্ষমতায় যাওয়ার পরেই, জনপ্রতিনিধিদের তখন জন কম,ক্ষমতা বেশি প্রিয় হয়ে যায়, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে যেয়ে আইন দিয়ে নিজের আসন প্রতিষ্ঠা করতেই ব্যাস্ত হয়ে পরেন তারা|জনগনের দুর্ভোগ শুরু হয় সেখান থেকেই|
পৃথিবীতে আজকাল যে দুটি শব্দের জয়জয়কার তা হল যোগাযোগ আর তথ্যপ্রযুক্তি । প্রায় সাত বিলিয়ন মানুষ আর আরও হাজার কোটি প্রাণীর একমাত্র আবাসস্থল এই বিশাল পৃথিবীটাকে এই দুটো শব্দ যেন খুব ছোট করে ফেলেছে। এখন আমাদের বেশি অপেক্ষা করতে হয়না, ইন্টারনেট নামক এক মহা জালের সাহায্যে নিমিষেই আমাদের প্রিয়জনদের কণ্ঠ শুনতে পারি , দেখতে পারি তাদের। একবিংশ শতাব্দীতে তাই সবচেয়ে বড় শক্তি তথ্য।
ইন্টারনেট জগতের বিপ্লব সাধনকারী ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগের এক পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে। ফেসবুকের কল্যাণে বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বন্ধু-বান্ধব, আত্নীয়-স্বজন আজ একসাথে।পারস্পরিক যোগাযোগ, মতামত বিনিময়, সম্পর্ক ও জনমত তৈরি, ব্যাবসার প্রসার প্রভৃতি ক্ষেত্রে ফেসবুকের অবদান অপরিসীম। ভার্চুয়াল জগতে আপনার পরিধি বৃদ্ধি করলেও বাস্তবিক অর্থে ফেসবুক ব্যাবহারে রয়েছে নানা পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া। এসব নিয়েই আজকের এই লেখা।
"HBO Documentary Films " এর কাজগুলো আমার সবসময় পছন্দের তালিকার শীর্ষে থাকে, এক বন্ধুর কাছ থেকে পাওয়া এই তথ্যচিত্রটি দেখার পর লেখার ইচ্ছে হলো| সামরিক জান্তার শোষণ ও ভয়াবহ অত্যাচার এবং জাতিগত বিদ্বেষে জর্জরিত দেশ বার্মা বর্তমানে মায়ানমার, ৪০ বছররেও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধে সামরিক বাহিনীর আগ্রাসনে প্রাণ হারিয়েছে অগুনিত মানুষ, বর্তমান পৃথিবীর অন্যতম দরিদ্র ও চরম মানবিক বিপর্যয়ে আক্রান্ত এই দেশটির কথা অনেক আগে থেকে শুনে আসলেও এতটা ভালো ভাবে জানার উপায় হয়নি কখনই, সামরিক সরকারের অধীনে থাকা এই দেশটি থেকে কোনো ধরনের তথ্য কিংবা তথ্যচিত্র দেশের বাইরে যাওয়াটা খুবই কঠিন এবং ধরা পড়লে শাস্তিযোগ্য একটি অপরাধ, তাই চরম সাহসিকতার সাথে এই কাজটি করেছেন কিছু মানুষ|
ব্রিটেনের সাম্প্রতিক বিক্ষোভ, লুটতরাজঃ সরল সমীকরণ
একটি অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুকে ঘিরে ব্রিটেনের বড় বড় শহড়গুলোতে যে ভয়াবহ বিক্ষোভ, লুটতরাজ সংঘটিত হল তার নানাবিধ কারন অনুসন্ধান করা হচ্ছে। সামাজিক, অর্থনৈতিক, জাতিগত বৈষম্য, উপযুক্ত শিক্ষা এবং কর্মসন্থানের অভাব ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু, অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর, তরুণদের বিক্ষোভ এবং এর নামে আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার এরকম প্রবল উৎসাহের পেছনে আর কি যুক্তি থাকতে পারে, ইংলেন্ডের মত একটি উন্নত সমাজে?
গত প্রায় একবছরে মধ্যপ্রাচ্য সহ বেশ কিছু দেশে স্বৈরশাসক সরকারদের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগনের ব্যাপক বিক্ষোভ এবং আন্দোলন চলছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা সফলও হয়েছে।
[ঘুম ভেঙ্গে লেখাটা শেষ করতে করতে 'একটু' দেরি হয়ে গেল! প্রথমাংশ'র পর এই রইলো মুরগোটের শেষাংশ ]
গোসল সেরে বেরিয়েই অন্তু আম্মুর মেজাজ খারাপ করার কারণ বিলক্ষণ আন্দাজ করতে পারল।
১.
'আপু, আপু, ওই জিনিসটা আমাকে কিনে দাও।'
'কোনটা? ওটা তো বার্বিডল। মেয়েদের খেলনা। ওটা দিয়ে তুই কি করবি?'
'না না না। আমাকে দিতেই হবে, দিতেই হবে। দাও দাও, এক্ষুণি দাও।'
এই হচ্ছি আমি। আমার অনেক রাগ। কেউ কিছু না শুনলে আমার অনেক রাগ হয়। আমার কেউ নাই। শুধু রানু আপা আছে। রানু আপারও কেউ নাই। খালি বাবা আছে। রানু আপার বাবাকে আমি পছন্দ করি না। কিন্তু রানু আপাকে পছন্দ করি। অনেক অনেক।
১
মুখ ও মনের মাঝে থাকে
ব্যস্ত অনুপাত
জেনেও আমি তোমার ভাল-
বাসায় হলাম কাৎ!
এক ভরদুপুরে, জনারণ্যে -
খুঁজে পেয়ে নির্জনতা
তোর হাতে আলতো ছুঁয়ে,
ঝিলিক চোখে চোখ লাগিয়ে,
বলেছিলাম একটু কথা।