১)
অপারেশন শেষ হয়েছে। হাসপাতালের বিছানায় আধশোয়া, হাতে গল্পের বই, সুনীলের লেখা ভ্রমণ কাহিনী - ছবির দেশে কবিতার দেশে। সামনের বারান্দায় চোখ পড়তেই ধাঁধা লাগলো - আমার সামনে দাঁড়ানো শামসুর রাহমান!
২)
১
একটি গল্প বলি। উনিশ বছরের তৌহিদের গল্প। পড়াশোনায় খারাপ ছিলো না কোনো কালেই তবে মাধ্যমিকের পরে তার বাবার কাজের বদলিতে অন্য শহরে পাড়ি জমালে তাদের পরিবার সে একা হয়ে পড়ে, আগের বন্ধুবান্ধবদের হারায়, খানিকটা বিষণ্নতায় ভুগে, পড়াশোনায় তেমন মন বসে না। অথচ ছোটবেলা থেকে সে স্বপ্ন দেখতো সে “সুপারহিরোদের” মতো কিছুটা করে একদিন সবাইকে তাক লাগিয়ে দেবে।
গত ১ জুলাই ২০১৬ ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে দেশি বিদেশি নাগরিকসহ আনুমানিক ৩৩ জনকে জিম্মি করে। জিম্মি ঘটনার প্রায় ১২ ঘণ্টা পর কমান্ডো অভিযান চালিয়ে ওই রেস্তোরাঁর নিয়ন্ত্রণ নেয় সশস্ত্রবাহিনী। ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলেও ২০ জনের লাশ পাওয়া যায় জবাই করা অবস্থায়। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটাই প্রথম জঙ্গি হামলা যেখানে জিম্মিদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। পাঁচ জঙ্গির পর
সানগ্লাসটার জন্যই যা একটু মন খারাপ হয়।
ভারি ফ্রেম আর বড় কাঁচ, এইধরনের সানগ্লাস ক'টাই বা চোখে পড়ে আজকাল? মানুষের রুচি বদলায়, সেই সাথে প্রযুক্তি। এখন সময় মিনিয়েচারের। টুথপিকের মতো ফিনফিনে ডাঁটি, তার সাথে কোনমতে আটকে থাকা দুফালি সরু কাঁচ - রিমলেস। ওতে কি আর চোখ ঢাকে? সানগ্লাস তো নয়, যেন নাকের বিকিনি।
একজন পুরুষ কেন তার মস্তিষ্কের এক বিরাট জায়গা নারীর বুকে ঝুলে থাকা ঐ দুইটি পৃথুল, সুডৌল, স্নেহভরা থলীর প্রতি ব্যয় করে?
ঘাটতলা লোকারণ্য মহা ধুমধাম
মুক্তচিন্তক হত্যা শেষে হাত ধোয়ার প্রোগ্রাম
জঙ্গী বলে 'আমি ধোবো', শান্ত্রী বলে 'আমি!'
মন্ত্রী বলে 'ধোবো, একটু রিসার্চ কইরা নামি'।
১৯৮৮ সালের ৭ই জুন। মিলিটারি স্বৈরশাসক লেঃ জেঃ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামল। তৎকালীন সংসদে পাশ করা হলো বাংলাদেশের সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী বিল। এই সংশোধনী দিয়ে ইসলামকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। ইসলাম এখনও বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বহাল আছে। কিছুদিন আগে এই অষ্টম সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা একটা [url=http://www.ittefaq.com.bd/court/2016/03/28/61524.html]রিটের আবেদন খা
অনেকদিন আগে এইদেশে একটি নদী ছিল। সে নদী প্রমত্তা, এ পারে দাঁড়িয়ে ওপার দেখতে পাবেননা - এমন তার বিস্তার। আমার দাদা-পরদাদারা গয়না নৌকায় নদী পার হয়ে গঞ্জে যেতেন, সোনাপুর গঞ্জ তখন অনেক দুরের পথ, যেতে আসতে পাক্কা দুই দিন। গয়না নৌকা দেখেননি তো? বিশাল সে নৌকা, এই যে মান্দার গাছটা দেখছেন - তা ধরেন নৌকার হালটাই হবে অত বড়, দুইজন মাল্লা লাগে সে হাল নাড়াতে। নৌকার মাঝখানে বেশ বড়সড় একটা ঘর, সে ঘরে দরজা আছে, জানালা আছে, আছে মাথার উপর খড়ের ছাউনি। ছাউনি থেকেই বোধকরি নাম হয়েছে ছই।
১
তাঁবু থেকে লেক পর্যন্ত সহজ কোন রাস্তা নেই। অনেক খুঁজে পেতে সরু একটা ঢাল মিলেছে কিন্তু এবড়ো থেবড়ো পাথরে বোঝাই সে পথ। পাথরের চাঁই গুলো পেরিয়ে নেমে আসতেই পায়ে ঠেকল নরম বালি। সামনেই ইংরেজি এস এর মতো আঁকাবাঁকা সরু লেক, পরিষ্কার টলটলে পানি, খানিকটা নীলচে সবুজ। লেকের একটা বাঁক ঘিরে রয়েছে এভারগ্রিনের জঙ্গল। উপর থেকে জঙ্গলটা চোখে পড়েনা। আশেপাশের ধূসর বালি, রুক্ষ পাথর আর পাতাঝরা গাছেদের ভিড়ে দারুণ বে