"জর্জ, আমার মনে হয় নার্সারিটা তোমার একবার দেখা উচিত।"
"ওটার আবার কী হলো?"
"আমি জানি না।"
"ঠিক আছে, হবে।"
"আমি চাই তুমি ওটা একটু দেখো, এটাই, আর নয়তো একজন সাইকোলজিস্ট ডেকে আনো।"
"সাইকোলজিস্ট নার্সারি দেখতে চাইবে কেন?"
"তুমি খুব ভালো করেই জানো ও কী চাইবে।" ওর বৌ রান্নাঘরের মাঝখানে থেমে গেলো আর দেখতে লাগলো নিজের কাজে ব্যস্ত স্টোভটার গুনগুনানি, চারজনের জন্যে রাতের খাবার বানাচ্ছে ওটা।
"ঘ...
[তাসরিভা]
পয়লা বৈশাখে বাঙ্গালি কন্যাদের সে কী আয়োজন। রকমারি শাড়ি,রঙবেরঙয়ের চুড়ি,গয়না,আলতা,কপালের টিপ সহ কত বাহারি রূপে সাজে কন্যারা। আর হ্যাঁ, সাজুগুজুর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ, মাথায় কিন্তু তরতাজা সতেজ ফুল থাকতেই হবে। এ না হলে আর সাজ কী!
সকালে ঘুম থেকে উঠেই হুড়োহুড়ি পড়ে গেল আমাদের হলের সব কন্যাদের। সাজুগুজু নিয়ে তাদের বিশাল ব্যস্ততা। শুরুতে আমার অবশ্য তেমন কোনো ব্যস্ততা ছি...
জহিরুল ইসলাম নাদিম
এখানেই হোক তবে প্রথম প্রেমের সমাধি
স্মৃতির মায়ায় প’ড়ে পথ ভুলে এসে পড় যদি
দু’ফোঁটা চোখের জল ফেলে যেও শাহজাদি।।
পাইনি তো যা ছিল পাওয়ার
আর কিছু নেই তো চাওয়ার
সাজানো বাগানে বয়ে যায় এ কোন কালো আঁধি।।
বুঝি না কী ভুল যে আমার
জিত্ হয়ে যায় শুধু হার
খেলাঘর ভেঙ্গে গেছে এক বিধুর সুর সাধি।।
[মিঁয়াও এর গল্পগুলো আলাদা আলাদা, একটা পড়লে আরেকটা পড়তেই হবে এমন কথা নেই। তবে পড়তে চাইলেও দোষ নেই কোন, মিঁয়াও খুশীই হবে। চাইলে দেখে নেয়া যেতে পারে পর্ব ১, পর্ব ২ আর পর্ব ৩]
৩
যুক্তি ভ্যান রিটেনের পক্ষে এবং গতিপথও তার সুনির্দিষ্ট। এশাম শ্রদ্ধাভরে ক্ষমাপ্রার্থনার ভঙ্গিতে বসেই রইলো, যেন ক্লাস ফোরের একটা বাচ্চা বসে আছে হেডমাস্টারের সামনে। ভ্যান রিটেন উপসংহার টানলো।
“নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পিগমিদের খুঁজে বেড়াচ্ছি, পিগমিদের পেছনেই থাকবো আমি।”
“তাহলে হয়তো জিনিসগুলো আপনাকে টানবে,” খুব শান্ত গলায় বলে এশাম...
“যুক্তিতে এটাই বলে,” টোম্বলি বলে চলে, “যে নিজের চোখে দেখা প্রমাণ মেনে নিতেই হয়, আর যখন চক্ষুকর্ণের বিবাদভঞ্জন হয়, তখন সেখানে কোনো সন্দেহ থাকা উচিতই না। যা শুনেছে আর দেখেছে মানুষের সেটাই বিশ্বাস করা উচিত।”
“সবসময় না,” সিঙ্গলটন মৃদু গলায় যোগ দেয়।
ঘরের প্রতিটি লোকের মুখ সিঙ্গলটনের দিকে। টোম্বলি দাঁড়িয়ে আছে ফায়ারপ্লেসের সামনে-রাখা পাপোশটার ওপর, আগুনের দিকে তার পিঠ, পা দু'টো ছড়ানো...
১.
সন্ধ্যার পর পর বাসার অবস্থা সবসময়ই জমজমাট থাকে।
ছোড়দা তার নিত্যকার আড্ডা সেরে বাড়ী ফিরে মা র বিছানার রাজত্ব নিয়ে বসে জোরেশোরে হাঁক দেয়, ওরে আমার কিন্তু চা চাইনে! অনি জানে এর মানে হলো - এক্ষুণি চা চাই!
দেখতে দেখতে বড়ভাইজানও ফেরে, কোন্ এক কোম্পানীর বেচা বিক্রি নিয়ে ভেবে মাথা আউলা করে ফেলছে, তাও ভালো সকাল সকাল ফিরতে পারে বাসায়- সূয্যি ডোবার পরেই।
বাবা ফেরে আর একটু আগে, কাছেই আপিস...
ধুত্তুরি ছাই! ভাল লাগেনা!
কিচ্ছু করার কাল লাগেনা!
ফালতু কথার জাল লাগেনা,
চিলেকোঠায় চাল লাগেনা,
নৌকাতে আর পাল লাগেনা,
তিলের পিছে তাল লাগেনা,
কথায় কোন গাল লাগেনা,
আড্ডাতে আর হাল লাগেনা,
নদীর বুকে খাল লাগেনা,
ভাতের সাথে ডাল লাগেনা,
পিঠের 'পরে ছাল লাগেনা,
লাল মরিচে ঝাল লাগেনা,
লড়াই করার ঢাল লাগেনা,
চিলমচি আর থাল লাগেনা,
দোকানভরা মাল লাগেনা,
ইতিহাসের সাল লাগেনা।
“তোর জঙ্গলে একটা বুনো জানোয়ার আছে”, বললো ছবি-আঁকিয়ে জিহান করিম, তাকে তখন স্টেশনে গাড়ি চালিয়ে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। পুরো রাস্তাটা জুড়ে এই একটা বাক্যই সে উচ্চারণ করলো, কিন্তু যেহেতু অরণ্য অবিরাম বকবক করেই যাচ্ছিলো, তাই তার সঙ্গীর নীরবতা তেমন একটা নজরে পড়ে নি।
“ছুটকো দু’একটা শেয়াল আর গন্ডাখানেক ভাড়াটে বেজি, এর চেয়ে বেশি হিংস্র আর কিছু নেই,” অরণ্য বললো। আঁকিয়ে বললো না কিছুই।
“বুনো জ...
কোন এক অজানা কারণে সেই পিচ্চিকাল থেকেই চোখের দ্বিতীয় জোড়া মানে চশমার দিকে আমার দুর্নিবার ঝোঁক।