এপ্রিল ১৭, ২০০৩ তারিখে লেখা দেখতে পাচ্ছি। সচলায়তনে প্রথম প্রকাশিত, নাকি? পাঠকের কর্তব্য মন্তব্য করা।
‘আলবাত!’ গদাম করে একটা কিল বসালেন মামা পুরানো নড়বড়ে একটা টেবিলের ওপরে, যার এপাশে আমরা তিনজন বসে, আ...
এক গ্রুপে এতো বেশি ছাত্র যে সবার সাথে পরিচিত হওয়া অসম্ভব। তবে দু'দিনেই আমার সিটকে বিন্দু আর চারপাশের পাঁচটা সিটকে একটা ব্যাসার্ধ ধরে সেই বৃত্তের সবার সাথে পরিচয় হয়ে গেল। যা বুঝলাম ধানমন্ডি গভঃ বয়েজ স্কুলের একটা সুনাম সবার ভালোই জানা আছে। স্কুলের নাম শুনেই সবাই ভয় আর সমীহ নিয়ে তাকায়, যে কোন বিষয়ে আমার মতামতটা ওদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। আমি ...
গ্রীষ্মকালীন পাঠ কোনকালেই আমার ঠিক মনমত হয়ে ওঠে না। কানাডাতে গ্রীষ্ম মানে মোটে চারটে মাস, তারপর তাপমাত্রা আবার সেই ঋণাত্বকে গিয়ে নামে। এই চারটে মাস যুক্তি যতই বই-খাতা নিয়ে বসতে বল...
প্রথম দিন গ্রুপ সেভেনের ক্লাসে ঢুকেই মনটা তেতো হয়ে গেল। গ্রুপের ১৫০ জন ছাত্রের প্রত্যেকেরই নাকি পূর্ব নির্ধারিত আসন, সবাইকে সেখানেই বসতে হবে। এই আসন নাকি আবার আমাদের উপস্থিতি অনুযায়ী প্রতি হপ্তা...
আমাদের সময় সরকার ঠিক করে দিল কোন ভর্তি পরীক্ষা হবে না, এস.এস.সি.র নাম্বার অনুযায়ী কলেজে অ্যাডমিশন হবে। নিজেই বলি, নাম্বারটা আমার ভালই ছিল। তাই সুযোগের সদ্যবহার করে আমি ধুমায় কিশোর পত্রিকাতে লেখা পা...
নটরডেমের গেটের কাছে দাড়িয়ে বিতৃষ্ণা নিয়ে ভেতরে তাকাই। বাবা-মার পীড়াপীড়িতে নটরডেমে পড়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে, আমার ইচ্ছা ছিল ঢাকা কলেজে পড়ার, স্কুলের সব বন্ধুরাও ঢাকা কলেজেই। বাবা-মার ধারনা আমি যে রকম ট্যাটন, ঢাকা কলেজে ঢুকে গোল্লায় চলে যাব। আমার জন্য দরকার শক্ত হাতের শক্ত তদারকি।
কলেজটা লাল-নীল কাগজে বেশ ভালই সাজিয়েছে। ভেতরে কয়েকজন দোস্ত থাকার কথা। ঢোকার পথেই ব...
আমি পড়তে শিখেছি অল্প বয়সে। বড় ভাইবোনেরা অনেকদিন পর একটা ছোট ভাই পেয়ে বেশ সময় দিতেন আমাকে, অনেকটা খেলনার মতো, তাই হুড়োহুড়ি করে লেখাপড়া শিখিয়ে দিয়েছিলেন। তাই আমি মাসুদ রানা পড়তে শুরু করি ফেলুদারও আগে, ক্লাস ফোরে পড়ার সময়। তার আগে অ...